Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এ মামলা রাজনৈতিক কালিমালিপ্ত

যুক্তিতর্কে খালেদা জিয়ার আইনজীবী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্কে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, এই মামলা ‘রাজনৈতিক কালিমালিপ্ত’। এর আগে রেজাক খানের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বেগম খালেদার জিয়ার খালাস দাবি করেছেন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের আপর আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় মন্তব্য করেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলায় ‘ভুয়া তথ্যপ্রমাণ’ দাখিল করেছে। বকশীবাজারে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলায় ষষ্ঠ দিনের মত যুক্তিতর্ক শুনানি চলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপস্থিতিতে। আগামী ৩ ও ৪ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ রাখেন এ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান।
এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী আবদুর রেজাক খান মোট চার দিন যুক্তি উপস্থাপন করার পর গত বুধবার খন্দকার মাহবুব তার যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছিলেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হওয়ার পর খন্দকার মাহবুব পঞ্চম দিনের মতো তার বাকি বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন।
মামলায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতকে বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। এই মামলায় রাজনৈতিক কালিমা লিপ্ত আছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করার জন্যই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের দেশে ক্ষমতাসীনরা আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। তবে আমরা আশা করছি, আল্লাহকে হাজির-নাজির রেখে আদালত ন্যায়বিচার করবেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মামলা দিয়ে ধাওয়া করা হচ্ছে। তিনি নিঃশ্বাস ফেলার সময় পাচ্ছেন না। তারপরও মাথা ঠান্ডা রেখে তিনি এই মামলা লড়ছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া একটি সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে এসেছেন। তিনি তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী। তিনি কখনো রাজপ্রাসাদে বসবাস করেননি। তিনি মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। সেই খালেদা জিয়ার নামে কেন এই মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা ইতিহাসের কাছে প্রশ্ন হয়ে থাকবে। জনগণ এই মামলার বিচার করবে।
এদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে বলেন, ‘বিদেশ থেকে টাকাটি এসে দুইটি ট্রাস্টে দুই ভাগ হয়েছে। এর মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের টাকা হালাল দেখানো হয়েছে এবং খালেদা জিয়ার টাকা হারাম দেখানো হয়েছে। মাননীয় আদালত, এটি সব রাজনৈতিক।’
খন্দকার মাহবুবের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুরু করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে এম মোহাম্মদ আলী। আগামী ৩ জানুয়ারি তিনি আবারো যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। মামলায় বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকে আসামি করা হয়।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।



 

Show all comments
  • সৌরভ ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭, ৬:১০ এএম says : 0
    আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন একদম ঠিক কথা বলেছেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ