পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভেজাল পণ্য বিক্রির অভিযোগে নয় বছর আগে করা দুই মামলায় চেইন সুপার শপ আগোরার চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিমকে কারাদন্ড দিয়েছে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। দুটি মামলাতেই তার এক বছর করে কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক মাহবুবে সোবাহান এই আদেশ দেয়ার পর আগোরা মালিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জরিমানা না দিলে দুই মামলাতেই তাকে আরও এক মাস করে কারাগারে থাকতে হবে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের স্যানিটারি ইনস্পেক্টর ফখরুদ্দীন মোবারক। তিনি জানান, ২০০৮ সালে আগোরার বিক্রয়কেন্দ্র থেকে জব্দ করা দুটি ঘিয়ের নমুনাতে ভেজাল পাওয়া যায়। এরপর আলাদা মামলা হয় দুটি।
বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে করা এই মামলার বিরুদ্ধে আগোরার চেয়ারম্যান বিচারিক আদালতে আবেদন করে হেরে যান। এরপর তিনি উচ্চ আদালতে রিট করলে সেখানেও হাইকোর্ট এই মামলা চলবে বলে নির্দেশ দেন। এরপর আগোরা মালিক যান আপিল বিভাগে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতও তার বিরুদ্ধে রায় দেয়। এরপর মামলাটি চলে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে।
গতকাল বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আগোরা চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম। বিচারক আদেশ দেয়ার পর তাকে সেখান থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মামলায় নিয়াজ রহিমের আইনজীবীরা আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ফখরুদ্দিন মোবারক জানান, ২০০৮ সালে আগোরার মগবাজার শাখা থেকে অনীল ঘোষের স্পেশার গাওয়া ’ি এবং কুষ্টিয়া গাওয়া ঘি নামে দুটি ব্র্যান্ডের ঘিয়ের নমুনা জব্দ করেন তারা। এরপর পরীক্ষায় পাঠানো হলে দুটি নমুনাকেই ভেজাল পাওয়া যায়।
এরপর দুটি ঘটনায় আলাদা মামলা করেন ফখরুদ্দীন মোবারক। এই মামলা যেন চলতে না পারে সে জন্য আগোরার মালিক জজ আদালত এবং উচ্চ আদালতে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এর শুনানি করতে দেরি হয়েছে।
গত দেড় যুগে নগরবাসীর বাজার করার অভ্যাস পাল্টে দিয়েছে সুপার শপগুলো। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দোকান, দামদরের ঝক্কি নেই, এক জায়গায় অনেক ধরনের নিত্যপণ্যের পাশাপাশি ঘরের প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র পাওয়া যায় বলে সুপার শপগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রাজধানীর পাশাপাশি এই ধরনের দোকান এখন বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি জেলা শহরগুলোতেও চালু হচ্ছে।
তবে প্রায়ই সুপার শপগুলোতে মেয়াদউত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্য বিক্রি, ওজনে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ উঠে। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে নামিদামী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা, কারাদন্ডসহ সাজাও দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একাধিকবার সাজা পেয়েছে আগোরাও। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিককে এই প্রথম সাজা দেয়া হলো নিয়াজ রহিমকে।
রাজধানী যে কয়েকটি সুপার শপ পণ্য বিক্রি করে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আগোরা। নিত্য প্রযোজনীয় ও মানসম্পন্ন পণ্য একই ছাদের নিচে পৌঁছে দেয়ার ¯েøাগানকে সামনে রেখে ২০০১ সালের ২৪ আগস্ট ধানমন্ডির রাইফেলস স্কয়ারে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির ১৫টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। ২০১৫ সালে শ্রেষ্ঠ ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড’ পায় প্রতিষ্ঠানটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।