পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
খুলনা ব্যুরো : আমদানিকারকদের হয়রানি বন্ধ, শুল্কায়ন জটিলতা দূর করে গাড়ি খালাস প্রক্রিয়া স্বচ্ছন্দ করা এবং আটকে থাকা গাড়ির ৮০ শতাংশ অবচয় ধরে শুল্কায়ন করে খালাস দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। গতকাল (বুধবার) খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ শরীফ এসব দাবি জানান। সম্মেলনে পঠিত লিখিত বক্তব্যে বারভিডা সভাপতি বলেন, মংলা বন্দর যখন প্রায় অচল হয়ে পড়েছিল তখন ২০০৯ সালে এ বন্দরের মাধ্যমে আমরা গাড়ি আমদানির সূচনা করি। প্রথম দিকে আমরা সবার সহযোগিতা পেয়েছি। কিন্তু এখন আইনী মারপ্যাচ তুলে আমদানিকারকদের হয়রানি করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের অনুসৃত এইচএস কোড নিয়ে আপত্তি তুলে শুল্কায়ন জটিলতা তৈরি করে নিগৃহীত করা হচ্ছে। শুল্কায়নের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করে পদে পদে অর্থ আদায়ের ফাঁদ পাতা হয়েছে । আমদানিকারকেদের ব্যাপারে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা হয় এবং গাড়ি নিলামে বিক্রির অপচ্ষ্টে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মংলায় শুল্কায়ন জটিলতায় ৫/৬ বছর যাবত অনেক গাড়ি খালাস হয়নি, পড়ে আছে। এখন নতুন গাড়ির চেয়ে সেগুলোর শুল্ক ৩ লাখ টাকা বেশী ধরা হয়েছে। অথচ মুদ্রা বিনিময় হারের তারতম্যের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বহু তদবির এবং সভা মিটিং হবার পর ২০১৫ সালের ৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে অতিরিক্ত অবচয় প্রদান এবং শুল্ককরের উল্লেখযোগ্য অংশ মওকুফ করে গাড়ি খালাস করার অনুমতি দিয়ে একটি অনুশাসন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সে অনুযায়ী গাড়ি খালাসের ব্যবস্থা না করে মংলা শুল্ক কর্তৃপক্ষ আটকে থাকা পায় দেড় হাজার গাড়ি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, গত বছরের ২০ অক্টোবর অর্থমন্ত্রীর কাছে এসব গাড়ির ৭০ শতাংশ অবচয় দেয়ার প্রস্তাব করে ্কটি পরিস্থিতিপত্র দেয়া হয়েছিল। আমরা তা ৯০ শতাংশ করার আবেদন করেছিলাম। পরে এফবিসিসিআই তা ৮০শতাংশ করার প্রস্তাব করে। সংবাদ সম্মেলনে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এমপি, বারভিডার সাবেক সভাপতি আবদুল হক, শাহ সেলিম টিপু, আবু হোসেন রনি ভূইয়া, খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও খুলনা চেম্বারের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, আনিসুর রহমান ও শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।