পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি দেখে মনে হচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল তা কেটে গেছে। ইসি প্রস্তুত। নতুন বছরের শুরুতেই জানুয়ারির দ্বিতীয় সাপ্তাহে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে ভোট। ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছে ইসি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও চলছে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি। উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন এমন প্রায় দুই ডজন ব্যক্তির নাম নিয়ে মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণা চলছে; আলোচনা হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাজনীতিকের নাম; তেমনি রয়েছে ব্যবসায়ী, সঙ্গীত শিল্পী, সিনেমার নায়ক ও প্রেশাজীবীর নাম। প্রশ্ন হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় নমিনেশন পাচ্ছেন কারা? কারাই বা মেয়র পদে প্রার্থী হচ্ছেন?
৩০ নভেম্বর নন্দিত মেয়র আনিসুল হকের ইন্তেকালের পর নিয়ম অনুযায়ী ডিএনসিসি মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন জানায়, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে আর নির্বাচন হবে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে। কিন্তু দুই সিটিতে যোগ হওয়া নতুন ১৬ ইউনিয়নের কমিশনার ভোট ইস্যুতে আইনি জটিলতার কারণে উপনির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার সঙ্গে আলোচনা করে ইসি পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ায় বার্তাই জানান দেয় ডিএনসিসিতে উপনির্বাচন যথাসময়ে হচ্ছে।
মেয়র পদে উপনির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিরা নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। ঢাকায় বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নামে পোস্টারিং করা হয়েছে। তাদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় নমিনেশনের জন্য চেষ্টা-তদবিরও করছেন। এখন পর্যন্ত ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচনে যাদের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং যাদের নাম আলোচনায় এসেছে তারা হলেন- ব্যবসায়ী নেতা এবং পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ডা: এইচ বি এম ইকবাল, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ এইচ এম গোলাম রেজা, বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, মেজর (অব:) কামরুল ইসলাম, ২০ দলীয় জোট নেতা ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, যুক্তফ্রন্টের মাহমুদুর রহমান মান্না, মাহী বি চৌধুরী, (এনডিএম) পক্ষ থেকে ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী শাফিন আহমেদ, সিনেমার নায়ক অনন্ত জলিল, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার জোনায়েদ সাকিসহ প্রায় দুই ডজন সম্ভাব্য প্রার্থী।
ডিএনসিসিতে এখন নির্বাচনের আবহ। ভেতরে ভেতরে সর্বত্রই চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনী প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে অনেক আগেই। এ জন্যই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ করছে। ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যবসায়ী আনিসুল হককে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে চমক দেখিয়েছিল আওয়ামী লীগ। ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে কেন্দ্র দখলের কারণে নির্বাচনে জনগণের ভোট দেয়া নিয়ে বিতর্ক থাকলেও দায়িত্ব গ্রহণের পর আনিসুল হক সফল মেয়র হিসেবে নন্দিত হন। সাহসের সঙ্গে তিনি কিছু কাজ করায় নগরবাসী তার মৃত্যুতে চোখের পানি ফেলেছে। তার মৃত্যুর পর থেকেই ডিএনসিসির মেয়র পদে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে ক্ষমতাসীন দলে। গতবারের মতো মেয়র প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রে এবারও চমক আছে সেটা জানিয়েছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আর গণমাধ্যমে বেশ কিছু নাম ঘুরে বেড়াচ্ছে নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরামের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, রংপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় হলেও ঢাকা উত্তর সিটিতে জয়ী হতে চায় দল। কোনো কারণে ফলাফল ভিন্ন হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূলে নেতা-কর্মীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে। যা আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। তা ছাড়া আগের মতো ‘কেন্দ্র দখল’ করে নিজের প্রার্থীর প্রতীকে সিল মেরে বিজয়ী হওয়া সম্ভব নয়। কারণ দেশী-বিদেশী সব মহলের দৃষ্টি থাকবে ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচনের দিকে। ভোটের কারচুপি কেউ মেনে নেবে না। এ ছাড়াও স্থানীয় নির্বাচনে ‘কেন্দ্র দখল করলে’ বিএনপির নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আরো যৌক্তিকতা পাবে।
অন্যদিকে সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হলে সাংগঠনিকভাবে চাঙ্গা হবে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। হামলা-মামলায় দলটির বর্তমানে নাজুক অবস্থা। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ হাজার হাজার নেতাকে নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। জুলুম- নির্যাতনকে পুঁজি করে বিএনপি মেয়র নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে চায়। বিএনপি নেতারা বলছেন, যদি ফেয়ার নির্বাচন হয় তাহলে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে নির্বাচনে ধানের শীর্ষের প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতির কারণেই আওয়ামী লীগ উপনির্বাচনে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে বেছে নিতে চায়। স¤প্রতি একাধিক ব্যবসায়ী নেতা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। গত শনিবার রাতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা তাদের মতামত তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে। এ সময় বৈঠকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান জানান, তার সঙ্গে প্রার্থী হতে আগ্রহী অনেকেই দেখা করেছেন। গণমাধ্যমেও অনেক নাম এসেছে। তিনি অনেকগুলো নামও তুলে ধরেন। এ সময় শেখ হাসিনা আলোচিত নামগুলো সম্পর্কে জানতে চান।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আতিকুল ইসলাম মেয়র প্রার্থী হিসেবে রাজধানীর ফার্মগেট, বিজয় সরণি ও মিরপুর এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছেন। আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা পেয়েছি। আর সেই নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের মাঠে নেমে গেছি। উচ্চপর্যায় থেকে আমাকে মেয়র নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ডা: এইচ বি এম ইকবালের নাম আলোচনায় রয়েছে। এরশাদের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এবং নবম জাতীয় সংসদের হুইপ এইচ এম গোলাম রেজা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন মিরপুর এলাকায়। মিরপুরের অনেক এলাকায় তিনি নিজেই ঘুরছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে। তিনি জানান, জাতীয় পার্টির সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। তিনি জানেন ব্যক্তিগত জীবনে আমি সৎ ও কর্মঠ। মরহুম মেয়র আনিসের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে দলীয় নমিনেশন দেবেন এ প্রত্যাশা করছি। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে রাজধানীর যানজট দূর করব এবং ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করব। ব্যবসায়ী আতিকুল হক আওয়ামী লীগ থেকে গ্রিন সিগন্যালের কথা বললেও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল রাজধানীতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ ও ত্রাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করার আগে কিছুই বলতে পারব না দল থেকে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউকে ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থী করার কথা বলতে পারেন। সেটা আমার জানা নেই। নির্বাচনের বাজার পরীক্ষা করে দেখার জন্যও কাউকে বলতে পারেন। যেন আগে থেকে বোঝা যায় তিনি জনগণের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন কি না। তবে দল থেকে কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’
বিএনপি সূত্র মনে করছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার ডিএনসিসিতে মেয়র পদে উপনির্বাচন দেবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরও নির্বাচন হবে কি না সন্দেহে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে হাঁকডাক শুরু করেনি দলটি। তবে উপনির্বাচন হলে প্রার্থী দেবে এটা নিশ্চিত। দলের নেতাদের মধ্যে মেজর (অব:) কামরুল ইসলাম, ২০ দলীয় জোট নেতা ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ও আবদুল আউয়াল মিন্টুর পুত্র তাবিথ আউয়ালের নাম আলোচনা হচ্ছে। গত মেয়র নির্বাচনে তাবিথ আউয়াল ভোটের দিন বেলা ১১টায় কেন্দ্র দখলের অভিযোগ তুলে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও ভোট পেয়েছেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮০ ভোট, যা ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের জন্য ভাবনার কারণ হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত ভোটে এই অবস্থা ভোট বর্জন না করলে তাবিথ কত ভোট পেতেন কে জানে? এ জন্যই এবার তাবিথকে প্রার্থী করা হলে ভোটারের সহানুভূতি কাজ করবে বলে মনে করেন দলের নীতিনির্ধারকরা।
এদিকে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) পক্ষ থেকে শাফিন আহমেদকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে ববি হাজ্জাজ। এই ববি হাজ্জাজ ২০১৫ সালের মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তার আগে তিনি এরশাদের জাতীয় পার্টিতে ছিলেন। উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগম ও সুরকার কমল দাশগুপ্তের সন্তান ব্যান্ড শিল্পী শাফিন আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে ববি হাজ্জাজ বলেন, আমরা এক ব্যক্তি, এক পরিবারকে ক্ষমতায় রাখার রাজনীতি চাই না। ক্ষমতা দখলের নির্লজ্জ লড়াই, এক ব্যক্তির কাছে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার পারিবারিক রাজনীতি চাই না। আমরা জনগণের প্রতিষ্ঠিত প্রতিনিধিত্বশীল সরকার দেখতে চাই। ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী হিসেবে আমরা শাফিন আহমেদকে মনোনয়ন দিচ্ছি।
এদিকে ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচনের জন্য এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সচিব বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত পরীক্ষা মার্চে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন হেলালুদ্দীন আহমদ। বৈঠকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, বাংলাদেশ মাদরাসা এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন।
সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, উপনির্বাচন ও এই সিটির সঙ্গে ১৮টি নতুন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও ছয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সাধারণ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সঙ্গে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর, ছয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সাধারণ নির্বাচন বিষয়ে তিন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বোর্ডের কন্ট্রোলারের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে এসব নির্বাচনের জন্য ২৪ ও ২৫ ও ফেব্রুয়ারি তারিখের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মার্চে নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। এতে তারা সম্মত হয়েছেন। ফলে ঢাকা বোর্ডের এসএসসি ও সমমানের ওই দু’দিনের নির্ধারিত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করা হচ্ছে। বোর্ডের চেয়ারম্যানরা বলেছেন, পরীক্ষা পেছাতে কোনো সমস্যা নেই। তফসিল ঘোষণার পর মার্চে পরীক্ষার নতুন তারিখ দেয়া হবে। আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভোট করতে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। স¤প্রসারিত সীমানায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবগঠিত ৩৬টি সাধারণ ও ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদেও একই দিনে ভোট করতে চায় ইসি। কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার যে সূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে ২৪ ও ২৫ তারিখও পরীক্ষা থাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ড কর্মকর্তাদের নিয়ে এই বৈঠক ডাকে কমিশন। সূচি অনুযায়ী ২৪ ফেব্রুয়ারি ভূগোল ও পরিবেশ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি সঙ্গীত বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, যা এখন পিছিয়ে যাবে। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে হয়, শিক্ষকরা থাকেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই ভোটের তারিখ নির্ধারণ করবে কমিশন। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সব ধরনের জটিলতা পেরিয়ে তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ২৪ ফেব্রুয়ারির পর সুবিধানজনক দিনে ভোটের তারিখ ঠিক করে এই তফসিল হবে। নিয়ম অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। তার আগে ২৪ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোটের তারিখ চূড়ান্ত হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা। হেলালুদ্দীন বলেন, তফসিল ঘোষণার আগেই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনী এলাকায় লাগানো সব ধরনের আগাম পোস্টার ও ব্যানার সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেবে কমিশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।