পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেতনবৈষম্য নিরসনের দাবিতে তিন দিন অনশনের পর কর্মসূচি স্থগিত করা শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে চলতি সপ্তাহেই আলোচনায় বসবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আলোচনায় শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক মনে হলে তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ রুমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ সপ্তাহেই আমরা আলোচনা শুরু করব। আলোচনার টেবিলে যদি দেখা যায় তাদের (শিক্ষক) দাবি যৌক্তিক, তাহলে মেনে নেয়া হবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন পান, সেখানে একই শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে চাকরিতে ঢোকা সহকারী শিক্ষকরা পান চতুর্দশ গ্রেডে। এই বৈষম্য কমিয়ে দ্বাদশ গ্রেডে বেতনের দাবিতে গত শনিবার থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন পালন করেন সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক। গণশিক্ষা মন্ত্রীর কাছ থেকে স্পষ্ট কোনো আশ্বাস না পেলেও নেতাদের অনুরোধে সোমবার সন্ধ্যায় অনশন ভাঙেন আন্দোলন চালিয়ে আসা সহকারী শিক্ষকরা।
গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা হবেÑ সেই আশ্বাস আমি দেইনি। ওই আশ্বাস দেয়ার কর্তৃত্বও আমার হাতে নেই। কারণ এর সঙ্গে অর্থ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জড়িত। শিক্ষকদের দাবির যৌক্তিকতা বুঝতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের একজন অথিরিক্ত সচিবও থাকবেন। শিক্ষকদের মধ্য থেকে পাঁচ থেকে সাতজনের একটি প্রতিনিধি দল ঠিক করতে বলা হয়েছে। শিক্ষক সংগঠনগুলো নিবন্ধিত না হওয়ায় চিঠি দিয়ে তাদের ডাকা যাবে না।
সোমবার সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষকদের অনশন ভাঙান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী। চার শর্তে আমরণ অনশন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকেরা। এর আগে বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের মিন্টো রোডের বাসভবনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিকের শিক্ষক প্রতিনিধি দলের একটি কমিটি দফতরে দফতরে (প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক অধিদফতরের মহাপরিচালক) গিয়ে শিক্ষকদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। বেতন স্কেলে বৈষম্য দূর করার দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত তিন দিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা আমরণ অনশন করছিলেন। মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের হাজার হাজার শিক্ষক দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে এসে যোগ দেন অনশন কর্মসূচিতে। তাদের দাবি, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ রাখা হয়। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।