পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইনভঙ্গ করে ফলাফল দেয়ার অভিযোগ এনে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৩, ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোট পূনরায় গণনার দাবি জানিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী চশমা প্রতীকের আরজানা বেগম।
গত সোমবার দুপুরে তিনি নগরীর এসোড ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরজানা বেগম বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সংরক্ষিত-৮(২৩, ২৪ ও ২৫ নং) ওয়ার্ডে চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেছিলাম। এই নির্বাচনে আমি ভোটে বিজয়ী হলেও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্্রাপ্ত ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর সাথে যোগসাজশ করে কেন্দ্রে ফলাফল প্রদানের সময় আমার পোলিং এজেন্টদের আপত্তি গ্রহণ করেন নি। কোন কোন কেন্দ্রে সেকারণে আমার পোলিং এজেন্টগন স্বাক্ষর করেন নি এবং কোন কোন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা আমার পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর নেন নি। এছাড়াও কোন কোন কেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টদের ফলাফল সিটও সরবরাহ করেন নি কর্মকর্তারা। বিষয়গুলো সেই সময় ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের আমার পোলিং এজেন্টগন বললে তারা তাদের প্রশাসনের ভয় দেখান। কেন্দ্রগুলো হলো যথাক্রমে ২৪ নং ওয়ার্ডের সালেমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরুষ ও মহিলা কেন্দ্র, মোসলেম উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র, ২৩ নং ওয়ার্ডের সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, জুম্মাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, নিউ জুম্মাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র , ইউসেপ স্কুল কেন্দ্র এবং বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র।
তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় ভোট গণনায় এই নজীরবিহীন অনিয়ম এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন-২০১০ (সিটি করপোরেশন) আইনের ২৫ উপধারা অনুযায়ী কেন্দ্রেই সকল পক্ষের পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর ওজর আপত্তি গ্রহণ এবং ফলাফল প্রদানের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও কেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা তা করলেন না বিষয়টির আমি সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ফলাফল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে আমার বিজয় কেড়ে নিয়ে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন। আমার প্রকৃত ভোট প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হলেও বেসরকারী ঘোষিত ফলাফলে আমার ভোট দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৭৭৬ ভোট। সেকারণে কেন্দ্রæগলোর ভোট পুনরায় গননার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। তিনি বলেন বিষয়টি জানিয়ে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। এছাড়াও আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্মেলনে আরজানা বেগমের ৮ টি কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টগন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, ওই প্রার্থীর লিখিত আবেদন আমরা পেয়েছি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত দিবেন, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।