পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719771874](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্র্যাজুয়েটরা যাতে তাদের মেধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে তার সুযোগ সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস’র (বিইউপি) ৪র্থ সমাবর্তন-২০১৭’র অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, অপার সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশের এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমাদের প্রয়োজন দক্ষ ও দক্ষ মানব সম্পদ। দেশের জনসংখ্যাকে দক্ষ ও নিশ্চিত করে তুলতে পারলে তা হবে আমাদের জন্য আর্শিবাদ। তিনি নবীন গ্র্যাজুয়েটদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে চাকরির পাশাপাশি স্বকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হওয়ার আহ্বান জানান। বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ ও সম্ভাবনা এখনো সেভাবে ব্যবহার করা যায়নি এ কথা উল্লেখ করে আব্দুল হামিদ বলেন, আমাদের সব প্রয়াসের কেন্দ্রবিন্দু হবে নব প্রজন্মের উন্নয়ন। কারণ একটি জাতির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি তরুন প্রজন্মের শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল। সরকার তরুন প্রজন্মকে দক্ষমানব সম্পদে পরিণত করতে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মমুখী শিক্ষাসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর সুফল আমাদের গ্রহণ করতে হবে। আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অনুষ্ঠান পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনদর্শন, মতাদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে গবেষণার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ নামে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্ (বিইউপি) এর ভাইস চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল মোঃ সালাহ্ উদ্দিন মিয়াজী তাঁর বক্তৃতায় বলেন বর্তমান এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষতা বাড়াতে হবে। উক্ত সমাবর্তনে অনবদ্য ফলাফলের জন্য আট জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল এবং ১৪ জনকে ভাইস চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। পাশাপাশি বিইউপি এবং এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে সাত জন গবেষক সফলভাবে পিএইচডি সম্পন্ন করায় প্রেসিডেন্ট কর্তৃক তাদের সনদ প্রদান করা হয়। সর্বমোট ১৪২৫ জন গ্র্যাজুয়েট উক্ত সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার, সংসদ সদস্য, সচিব, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, সমাজের বিভিন্নস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিইউপির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।