পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
বিচার বিভাগকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার জন্য ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ রিভিউ আবেদন করেছেন বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দরা। তারা বলেন, অ্যাটর্নী জেনারেলের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, প্রধান বিচারপতি এস, কে, সিনহাকে শুধুমাত্র ষোড়শ সংশোধনীর কারনেই সরকার জুডিসিয়াল ক্যু করে বিদায় করেছেন। এখন রিভিউ আবেদনটি দাখিল করে তারা পুরো রায়কে বাতিলের চক্রান্ত করছেন। ষোড়শ সংশোধনী রায় কোন ব্যক্তির রায় নয় এটা আপিল বিভাগের সর্বসম¥ত রায়। তারা সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছেন। গতকাল সোমবার ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে রিভিউ এবং অ্যাটর্নী জেনারেলের বক্তব্য নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এক জুরুয়ী সংবাদ সমে¥লন আয়োজন করে। এতে সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, সরকার সুপ্রিম কোর্টকে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিতে সু কৌশলে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ৯৪টি যুক্তি দিয়ে এ রিভিউ করছে। ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায় কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠির বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু সরকার রিভিউ পিটিশন দাখিল করে পুরো রায় বাতিলের চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, নি¤œ আদালতের একটি রায় ঘোষণার পর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন দেশে থাকতে পারেননি। রায় ঘোষণার পর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দেশে থাকতে দেয়া হয়নি। এখন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে কোর্টে মামলা চলছে সেই বিচাকের ওপর প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।
বার সভাপতি বলেন, সরকার নিজেদের স্বার্থে বিচার বিভাগকে পরিচালিত করতে চান। তারা যেভাবে চান সেভাবেই আদালতকে রায় দিতে হবে, যদি তা না করা হয়, বিচারপতি এসকে সিনহার মত তাদেরকেও একই পরিণতি বরণ করতে হবে। এভাবেই তারা অন্যান্য বিচারপতিদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এ কর্মকান্ডের মাধ্যমে সরকার খালেদা জিয়ার মামলার রায়কেও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জয়নুল আবেদীন বলেন, বিচার বিভাগ হচ্ছে সংবিধানের অভিভাবক। এটা স্বীকৃত যে, আইন বিভাগ আইন প্রনয়ন করবেন এবং সে আইন সংবিধান মোতাবেক হয়েছে কিনা এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা এবং কোনো দলের বা ব্যক্তির স্বার্থে কিনা- তা দেখার দায়িত্ব বিচার বিভাগের। অথচ এ রায়ের পর সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে অহেতুক অসৌজন্যমূলক ও আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধামূলক বক্তব্য রেখেছেন, যা অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত। তিনি বলেন, অতীতে বহুবার বে-আইনি সংশোধনীর বিরুদ্ধে অনেক সিদ্ধান্ত সর্বোচ্চ আদালত দিয়েছেন, কিন্তু সে সিদ্ধান্ত এবং আদেশের বিরুদ্ধে সরকার এভাবে ক্ষুব্ধ হয়ে কোনো রিভিউ আবেদন করেছেন বলে আমাদের জানা নাই। এই রায় থেকে স্পষ্ট যে এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। সেজন্যই তারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না, গনতন্ত্র বিশ্বাস করে না। তাই তারা সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করেছেন এবং রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন ।
জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, তাই তারা সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এবং রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছেন। যে ৭ বিচারপতি এ রায় দিয়েছিলেন তার মধ্যে ৫ জন এখনও আপিল বিভাগের দায়িত্বে আছেন। তাই আমরা বিশ্বাস করি তারা পূর্ববর্তী রায়ের আলোকে সরকারের রিভিউ আবেদন বাতিল করবেন। অন্যথায় ভবিষ্যতে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার জন্য কর্মসূচী দেয়া হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন- সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সহ-সম্পাদক শামীমা সুলতানা দীপ্তি, সাবেক সহ-সভাপতি এবিএম অলিউর রহমান খান, রফিকুল ইসলাম মেহেদী, কামরুল ইসলাম সজল, আবেদ রাজা, খোরশেদ আলম, সগীর হোসেন লিয়ন, ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান, এএইচ এম কামরুজ্জামান মামুন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।