বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’র অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হয়, মুক্তিযোদ্ধা দল আজকের এই অনুষ্ঠানটি পালন করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে যখন অনুমতি চেয়েছে, তখন তাদের সঙ্গে অনেক রকম গড়িমসি করা হয়েছে।’
ফখরুল বলেন, এই কিছুক্ষণ আগে মাত্র বোধহয় আধাঘণ্টা আগে তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে। মাইক ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয় না। হল ভাড়ার অনুমতি দেয়া হয় না। শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
ভবিষ্যতে মুক্তিযোদ্ধা দলের কোনো অনুষ্ঠানে সরকার বা সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো বাধার সৃষ্টি করবে না বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন
বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের আহ্বানের মধ্য দিয়ে যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং অস্ত্র হাতে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল সেই সংগঠন। দীর্ঘকাল ধরে এই সংগঠন তারা তাদের কাজ করে আসছে।
তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন তারাই এই সংগঠনের সদস্য। যারা দীর্ঘকাল ধরে আন্তরিকতার সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা বা আদর্শ এবং যার ওপর ভিত্তি করে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো; সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরছেন। মানুষের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সুসংগঠিত করাই হচ্ছে তাদের প্রধান কাজ।
তিনি বলেন, সারাদেশে এই সংগঠনের শাখা আছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের কথা, চেতনা এবং যে মূল লক্ষ্য, সে সম্পর্কে অবহিত করে। সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব এবং স্বনির্ভর দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তারা কাজ করে চলেছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা দলে অনেক সেক্টর কমান্ডার রয়েছেন, অনেক বীর উত্তম, বীর প্রতীক, বীর বিক্রম রয়েছেন; যারা অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন।
অনুষ্ঠানের মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত,
সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান,
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুসন সালামসহ মুক্তিযোদ্ধা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।