পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পরের ধাপে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড নির্ধারণের দাবিতে আমরণ অনশন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল (শনিবার) বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের ডাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই অনশনে বসেন তারা। এতে মহাজোটের অধীনে থাকা ১০টি সংগঠনের শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক এসেছেন এক দফা দাবি আদায়ের অনশন কর্মসূচিতে। জোটের নেতারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।তারা বলেন, এখান থেকে বিজয় না নিয়ে আমরা ফিরে যাব না। বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহীনুর আলম বলেন, এখানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার শিক্ষক উপস্থিত রয়েছেন। এ দাবি আদায় বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পাওয়া গেলে আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কেবলই নীচের গ্রেডে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করতে হবে। প্রধান শিক্ষকরা যদি দশম গ্রেড হয় আমরা এগারোতে থাকব। ওরা এগারো হলে আমরা বারোতে। অথচ আমাদের বেতন গ্রেডে তিনটি ফারাক। এই তথ্যটি হয়তো প্রধানমন্ত্রী জানেন না। আমরা বঙ্গবন্ধুর করা স্কেল ফেরত চাই। তিনি যোগ্যতার ভিত্তিতে স্কেল করেছিলেন। সহকারী আর প্রধানদের মধ্যে আলাদা স্কেল ছিলো না। আজকে আমাদের মধ্যে তিনটি গ্রেডের পার্থক্য। এই বৈষম্য দূরীকরণে আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।
অনশনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এই বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিতে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান। সহকারী শিক্ষক ফ্রন্টের সভাপতি ইউএস খালেদা আক্তার বলেন, আমরা বৈষম্যের শিক্ষার। আমরা সংবাদ সম্মেলনে আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি। আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তা পূরণ করা হয়নি। দাবি পূরণ করা ছাড়া আমরা শহীদ মিনার ছেড়ে যাব না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে খালেদা বলেন, এটা সরকার-বিরোধী আন্দোলন নয়। প্রধানমন্ত্রী আমরা মর্যাদা নিয়ে ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। আপনার একটা আশ্বাসই পারে আমাদের সব সমস্যা সমাধান করতে। সহকারী শিক্ষক ফ্রন্টের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ফেরদৌসী বলেন, দেশের ৬৪টি জেলা থেকেই শিক্ষকরা এসেছেন। অনেকে পথে আছেন। কর্মসূচিতে আমরা এক থেকে দেড় লাখ শিক্ষকের সমাবেশ ঘটাব।
অনশন কর্মসূচিতে সহকারী শিক্ষক সমাজ, সহকারী শিক্ষক সমিতি, সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশন, সহকারী শিক্ষক সমাজ-২, সরকারি সহকারী শিক্ষক সমিতি, সহকারি শিক্ষক সমাজ-৩, সহকারী শিক্ষক সমিতি-২, সহকারী শিক্ষক ফোরাম, সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে শিক্ষকরা অংশ নিয়েছেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক সমিতির চারটি সংগঠন এই কর্মসূচিতে ঐক্য প্রকাশ করেছে।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।