পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট অফিস : সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় এর উন্মোচন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এমপি। এসময় তিনি বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার পেছনে কৃষিবিদদের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, “এদেশে কৃষির অর্জন গৌরবজনক।” অর্থমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে সাজসাজ রব পড়ে যায়। ম্যুরাল উন্মোচন শেষে বঙ্গবন্ধু কৃষি চত্বরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং সিলেট ৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, জাতিসংঘের বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি একেএম আবদুল মোমেন, সিন্ডিকেট সদস্য ড. আহমেদ আল কবির, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ, কাউন্সিলার আজাদুর রহমান আজাদ, সিকৃবি পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার, সিকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি ডাঃ শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ঋত্বিক দেব। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম শাহি আলম।
বক্তারা দারিদ্র বিমোচনে কৃষি ক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখার জন্য কৃষিবিদদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সিলেট অঞ্চলের ৭০ হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চাষের আওতায় আনার জন্য সিকৃবির শিক্ষক ও গবেষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য অনুরোধ করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী অলাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান দুগ্ধ খামার, পোল্ট্রি খামার ও ছাগল খামারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভূক্ত করে শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, “কৃষি আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি। দেশের স্বাধীনতার সময় ১ কোটি ১০লাখ টন খাদ্য উৎপাদন হতো। বর্তমানে কৃষি জমির পরিমাণ কমলেও কৃষিবিদদের কল্যাণে প্রায় ৩ কোটি টন খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে।” তিনি বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে কৃষিবিদদের অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে হবে।” তিনি আরো বলেন, “কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হবে। এক্ষেত্রে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।