Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপন ২৬ ডিসেম্বর এটি যুক্তিহীন সৃজিত মামলা- খালেদা জিয়ার আইনজীবী

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করছেন আদালত। যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য এ দিন ধার্য করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মত খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী। খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে বেলা ১১টা থেকে টানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম চলে। এছাড়াও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার বিশেষ আদালতে হাজিরা ঘিরে আদালত ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আদালতের প্রধান ফটকে স্ক্যানার মেশিন বসিয়ে সবাইকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়। আশে পাশে এলাকায়ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালতের বাইরে আর্চওয়ে বসানো, আশেপাশে মোটর সাইকেলে করে র‌্যাব টহল দিতে দেখা যায়।
গতকাল ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান বকশীবাজারের কারা অধিদপ্তরের মাঠে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে বসে শুনানি নেয়ার পর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর। এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে মোট সাত দিন বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। গত ৫ ডিসেম্বর তার বক্তব্য শেষ হলে বিচারক যুক্তিতর্ক শুনানির দিন ঠিক করেন। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। মাঝে বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত বিরতি দিয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে আদালত। খালেদা জিয়া আদালতে আসার পর তার আইনজীবী শুনানি শুরু করেন।
আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে আবদুর রেজ্জাক খান বলেন, পত্র-পত্রিকায় কী লিখেছে- তা আমরা দেখতে চাই না। রাস্ত-ঘাটে কী ¯েøাগান দেয়া হচ্ছে- তা আমরা শুনতে চাই না। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে যত কোলাহলই থাক না কেন, এই বিচারাঙ্গনে তা প্রবেশ নিষেধ।
তিনি আদালতে বলেন, এটা সম্পূর্ণ রিপোর্ট না অসম্পূর্ণ রিপোর্ট এর তদন্ত আদালত আপনার ওপর। কোনো সাক্ষীর মুখ থেকে আসেনি প্রধানমন্ত্রী (তৎকালীন) বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এর কোনো দালিলিক প্রমাণও নেই। এমনকি কেউ মুখেও বলতে পারেননি যে, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়ার কথায় একাউন্ট খোলা হয়েছে। তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তার একটি রাজনৈতিক জীবন আছে। যাতে এই মামলার মাধ্যমে কোলাহল সৃষ্টি করা হয়েছে। এই মামলার সঙ্গে খালেদা জিয়ার মানসম্মান জড়িত। তাঁর পরিবারের মানসম্মান জড়িত। সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা। এটি একটি অসার যুক্তিহীন সৃজিত মামলা। তিনি বলেন, দুদকের আইনজীবীর পক্ষ থেকে মামলা প্রমাণিত হয়েছে বলে সর্বোচ্চ সাজা দাবি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হলে সর্বোচ্চ কমপ্লায়েন্স দরকার। কিন্তু কীভাবে খালেদা জিয়া সম্পৃক্ত হলেন- কিছুই এখানে নেই। এফআইআর ও চার্জশিটে ঘটনাস্থল ও ঘটনার তারিখ-কিছুই মিল নেই। যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ হলে আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে যান খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ