Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সত্যের সেনানী ইমামগণ কঠোর নিয়ন্ত্রণের মুখেও ছিলেন সোচ্চার

কে. এস. সিদ্দিকী | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সত্য প্রচার এবং হককথা বলার সৎ সাহসিকতা প্রদর্শন করা থেকে যারা বিরত থাকে, ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যারা মৌনতা অবলম্বন করে, অন্যায়-অবিচার ও অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার হতে পারে না এবং সমাজে অনাচার-অবিচার দেখেও যারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে, তাদের আখ্যায়িত করা হয়েছে বোবা শয়তান বলে। অসত্য ও বাতিল দেখেও যারা না দেখার ভান করে চলে তারা দুর্বল বিশ্বাসী। কালের পাতায় এই শ্রেণির লোকের সংখ্যাই অধিক পরিদৃষ্ট হয়। অপরপক্ষে যারা সত্যকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং সত্যসাধনা করে মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তাদের সংখ্যাও নিতান্ত নগণ্য নয়। এরূপ সৎসাহসী বীর সত্যসাধকদের জীবনী পাঠ করলে অসংখ্য ঘটনার সন্ধান পাওয়া যায়, যেগুলি মানবজীবনকে সত্যসাধনার জন্য অনুপ্রাণিত করে। দৃষ্টান্তস্বরূপ এখানে ইসলামী ইতিহাসের পাতা হতে কয়েকটি ঘটনা তুলে দেওয়া হচ্ছে।
(১) ইয়াজিদ-বিন-আব্দুল মালেক ছিলেন দামেস্কের উমাইয়া শাসক। তিনি ওমর বিন হোবায়রাকে ইরাক ও খোরাসানের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। হোবায়রা ছিলেন অতি নৃশংস হত্যাকারী ও অত্যাচারী শাসক। তাঁর নিষ্ঠুর নির্যাতনে জনসাধারণ হয়ে পড়েছিল দারুণভাবে অতিষ্ঠ। তাঁর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কারো মুখ খুলবার সাহস ছিল না। তার নিষ্ঠুর নির্যাতনের কবল হতে হযরত আবু হানিফা (রহ.)ও রেহাই পাননি। একদা ইমাম সাহেবকে ইবনে হোবায়রা তার দরবারে তলব করেন এবং তাকে কাজীউল কোজাত বা প্রধান বিচারপতির পদ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন। ইমাম সাহেব এই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদ গ্রহণ করতে প্রস্তুত ছিলেন না, তাই তিনি হোবায়রার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ইবনে হোবায়রা এতে দারুণভাবে ক্রোধান্বিত হন এবং ইমাম সাহেবকে এগারদিন পর্যন্ত প্রত্যহ দশটি করে দোররা মারার (বেত্রাঘাত) নির্দেশ দেন। ইমাম সাহেব সন্তুষ্ট চিত্তে এই দন্ড মনজুর করে নেন। তথাপি তিনি একটি অত্যাচারী সরকারের পদ গ্রহণ করেননি।
এখানেই ঘটনার পরিসমাপ্তি নয়, বরং এর জন্য ইমাম সাহেবের ভাগ্যে আরও শাস্তি নির্ধারিত ছিল। অতঃপর আব্বাসীয় খলিফা মনসুরের আমলে উক্ত প্রধান বিচারপতির পদটি গ্রহণ জন্য ইমাম সাহেবকে আবারও অনুরোধ করা হয়। তিনি এবারও কঠোরভাবে খলিফার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ইমাম সাহেবের এই অনঢ়-অটল মনোভাব দেখে মনসুর শপথ করে বলেন, অবশ্যই আপনাকে এই পদ গ্রহণ করতে হবে। আমি আপনাকে এই পদে নিযুক্ত করবই। মনসুর পুনরায় তাকে এই পদে নিযুক্ত করতে উদ্যত হলে তিনি সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করে দেন। মনসুর কর্তৃক এর কারণ জিজ্ঞাসিত হলে উত্তরে ইমাম সাহেব বলেন, ‘আমি নিজেকে এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ পদের যোগ্য বলে মনে করি না।’ হাজের বিন রবিয়া মনসুরের দরবারে উপস্থিত ছিলেন। তিনি মনসুরের তোষামোদের সুরে ইমাম সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘আমীরুল মোমেনিন আপনাকে এই পদে নিযুক্ত করার জন্য শপথ করেছেন, আর আপনি তা প্রত্যাখ্যান করেই চলেছেন, এটা কি আপনার পক্ষে উচিত হচ্ছে ? ইমাম সাহেব ইবনে রবিয়াকে ধমক দিয়ে বলেন, ‘খলিফার পক্ষে কাফফারা আদায় করা আমার চেয়ে সহজতর হবে।’ মনসুর যখন ইমাম সাহেবকে প্রধান বিচারকের পদ গ্রহণে সম্মত করাতে পারলেন না, তখন ক্রোধান্বিত হয়ে তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন এবং কারাগারেই তিনি হিজরী ১৫০ সালে ইন্তেকাল করেন।
(২) একদা উক্ত আব্বাসীয় শাসনকর্তা আবু জাফর মনসুর ইমাম আব্দুল্লাহ বিন তাউসকে তাঁর দরবারে তলব করেন এবং তাঁকে অনুরোধ করেন যে, আপনার পিতা কর্তৃক বর্ণিত কোন হাদীস বর্ণনা করেন। ইবনে তাউস মনসুরের অত্যাচার নির্যাতন ও তাঁর দুর্নীতি সম্পর্কে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করার এক সুবর্ণ সুযোগ লাভ করেন এবং তাঁর পিতা কর্তৃক বর্ণিত এই হাদীসটি বর্ণনা করতে থাকেন, ‘আমার পিতা আমাকে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে, কেয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির ওপর সবচেয়ে বেশি আজাব হবে, যাকে আল্লাহতায়ালা তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে অংশীদার করেন এবং সে ব্যক্তি নির্যাতনমূলক শাসন পরিচালনা করে।’ মনসুরের ন্যায় নিষ্ঠুর অত্যাচারী খলিফার সামনে এরূপ মন্তব্যের পরিণাম কী হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এই সময় হযরত ইমাম মালেকও উক্ত মজলিসে উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই উক্তি বর্ণনা করে বলেন, ‘ইবনে তাউসকে মনসুর হত্যা করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মাল। আমি নিজের কাপড় টেনে নিলাম, যাতে তার রক্তের ছিটা আমার কাপড়ে না লাগে।’ মনসুর ইবনে তাউসের উত্তর শুনে কিছুক্ষণ নীরব রইলেন। এবারও ইবনে তাউস অত্যন্ত ধীর-স্থির অথচ নির্ভীকভাবে উত্তর দিলেন, মানুষের ভয়-ভীতি তাঁর মধ্যে বিন্দুমাত্রও সঞ্চারিত হল না। মনসুর ইবনে তাউসের এই দুঃসাহসে বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আপনারা দুইজন (ইবনে তাউস ও ইমাম মালেক) আমার এখান থেকে চলে যান।’ ইবনে তাউস তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল।’ এ কথা বলে তারা সেখান থেকে চলে যান। ইমাম মালেক বলেন, ‘এই দিন হতে আমি ইবনে তাউসের মর্যাদা গুণে বিমুগ্ধ হই।’
(৩) ইমাম ইয়াজিদ বিন হাবিব ছিলেন একজন বিশিষ্ট তাবেয়ী। এক রাত্রে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মিসরের তৎকালীন শাসনকর্তা ইবনে সুহাইল তাঁকে দেখতে আসেন। আলাপ-আলোচনাকালে সুহাইল জিজ্ঞাসা করেন যে, কাপড়ে মশার রক্ত লেগে থাকে, তা দ্বারা নামাজ আদায় করা জায়েজ হবে কি? ইমাম সাহেব এই প্রশ্ন শ্রবণ করে তাঁর মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং কোন উত্তর দিলেন না। শাসনকর্তা যখন চলে যাওয়ার ইচ্ছা করলেন, তখন তার প্রতি গভীর দৃষ্টিপাত করে বললেন, আপনি প্রত্যহ আল্লাহর অসংখ্য বান্দাকে খুন করছেন আর এখানে মশার রক্তের ফতোয়া জিজ্ঞাসা করতে এসেছেন। ইবনে সুহাইল একথা শুনে অত্যন্ত লজ্জিত হয়ে চলে গেলেন।
(৪) খলিফা হারুনুর রশিদ একদা ইবনে ইদ্রিসকে দরবারে তলব করে তাঁকে বিচারকের পদ গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন। ইবনে ইদ্রিস তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে হারুনুর রশিদ উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমি তোমার চেহারা দেখতে চাই না।’ ইবনে ইদ্রিসও অত্যন্ত ভদ্রভাবে উত্তর দেন, ‘আমিও আপনার চেহারা দেখতে চাই না।’ একথা বলে তিনি চলে গেলেন।
(৫) একদা হযরত খাজা হাসান বসরী (রহ.) ইবনে হোবায়রার এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, হোবায়রা! আপনি যদি পাপ কার্যে লিপ্ত হন, তাহলে ভালভাবে মনে রাখবেন যে, আল্লাহতায়ালা তার ধর্মের ও বান্দাদের জন্য আপনাকে রক্ষক নিযুক্ত করেছেন। সুতরাং আল্লাহর ধর্মের বিরুদ্ধে তার নিযুক্ত শাসকের শক্তিতে কোন কাজ করবেন না। কেননা মহান সৃষ্টিকর্তার মোকাবিলায় সৃষ্টির হুকুম মান্য করা কিছুতেই বৈধ হতে পারে না।’
হজরত ইমাম মালেক (রহ.) প্রতি খলিফা মনসুরের নিষ্ঠুর নির্যাতনের ঘটনাটিও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ঘটনাটি এইরূপ:
মনসুরের সময় নফসে জাকিয়া নামে খ্যাত মদীনায় বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। কারণ আবু জাফর মনসুর জোরপূর্বক মদীনাবাসীদের কাছ থেকে তার নিজের জন্য বায়াত গ্রহণ করেছিলেন। নফসে জাকিয়ার বিদ্রোহ করার উদ্দেশ্য ছিল, এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। মদীনাবাসীরা মনসুরের বায়াত সম্পর্কে ইমাম মালেক (রহ.) কে প্রশ্ন করেন। ইমাম সাহেব ফতোয়া দিলেন যে, মনসুর জোরপূর্বক বায়াত গ্রহণ করেছেন এবং এটা জোরপূর্বক তালাকের সমতুল্য। জোর করে তালাক দিলে তা যেমন হয় না, জোর করে বায়াত করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে তা প্রযোজ্য হয় না। সুতরাং মনসুরের বায়াত অবৈধ। এ ফতোয়ার প্রতিক্রিয়া স্বরূপ মদীনাবাসীরা মনসুরের বায়াত প্রত্যাখ্যান করার একটি বিধানসম্মত যুক্তি লাভ করেন। মদীনার শাসনকর্তা ছিলেন মনসুরের পক্ষ হতে জাফর ইবনে সুলায়মান। তাঁর আশংকা হলো যে, ইমাম মালেক (রহ.) এর এ ফতোয়ার ফলে মনসুরের খেলাফতের পতন ঘটতে পারে। তাই তিনি ইমাম মালেক (রহ.) কে এরূপ ফতোয়া প্রদানে বিরত থাকার নির্দেশ দিলেন। ইমাম মালেক (রহ.) এর সত্যবাদিতা ও নির্ভীকতার কাছে এ আদেশ কোনো কাজেই আসল না, তিনি তাঁর ফতোয়ায় অটল-অবিচল রইলেন।
মদীনার শাসনকর্তা সুলায়মান ইমাম সাহেবকে বেত্রাঘাতের শাস্তি দিলেন এবং তা প্রকাশ্য দিবালোকে প্রচারের জন্য ইমাম সাহেবকে একটি উটের ওপর আরোহন করান এবং মদীনা নগরীর রাজপথে তাকে ঘুরানো হয়। আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গোটা শরীরে চাবুকের আঘাত চলতে থাকে। কিন্তু এমতাবস্থায়ও সত্যের সেনানী ইমাম মালেক (রহ.) এর কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছিল এই উক্তি, যে আমাকে চিনেছে সে তো চিনেছে। আর যে আমাকে চিনেনি, তার জেনে রাখা উচিত, আমি আনাসের পুত্র মালেক, আমি ঘোষণা করছি যে, জবরদস্তি বায়াত গ্রহণ অবৈধ, যেমন জোরপূর্বক তালাক প্রদান অবৈধ। একদিকে সত্যের সাধক ইমাম মালেক (রহ.) এর শরীরে অব্যাহত চাবুক মারার ফলে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছিল, অপরদিকে তিনি সেই একই বাক্য উচ্চারণ করে যাচ্ছিলেন। অতঃপর তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়।
সত্যের সাধক ইমাম মালেক (রহ.) এসব অকথ্য নির্যাতন সহ্য করেছেন কিন্তু সত্য বলা থেকে বিরত হননি। যেহেতু খেলাফতের বিরুদ্ধে নফসে জাকিয়ার আন্দোলন অচিরেই দমন করে দেয়া হয়, তাই ইমাম সাহেবকেও মুক্ত করে দেয়া হয়।
এখানে স্মর্তব্য যে, ইমাম মালেক (রহ.) ছিলেন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনীতির সাথে তাঁর কোনো সম্পর্ক ছিল না এবং তিনি সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনেও অংশগ্রহণ করেননি। তিনি সরকারের রোষানলে পতিত হবার কারণ এই যে, তিনি হাদীস বর্ণনা করেছিলেন যে, জোরপূর্বক তালাক হয় না, এটি সম্পূর্ণ ধর্মীয় বিধান, এর সাথে রাজনীতির কোনোই সম্পর্ক নেই। আর এটাই ইমাম সাহেবের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। কেননা সেকালে প্রথা ছিল এই যে, যখন খলিফাদের বায়াত গ্রহণ করা হতো, তখন এই কথাও বলা হতো যে, বায়াতকারী যদি তা ভঙ্গ করে তা হলে তার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। নিকাহ ভঙ্গ হয় এই ভয়ে লোকেরা খলিফাদের অত্যাচার নির্যাতন ভোগ করতো, কিন্তু বায়াত ভঙ্গ করতো না। ইমাম সাহেব কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের কারণে লোকদের মধ্যে এ কথাই প্রসিদ্ধি লাভ করে যে, জোরপূর্বক তালাক হয় না, যার প্রভাব সরাসরি খলিফার বায়াতের ওপর পড়েছিল। তাই মদীনার শাসনকর্তার আশংকা হয়েছিল যে, মদীনাবাসীরা খলিফা মনসুরের বায়াত ভঙ্গ করলে তাকেও বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। ইমাম সাহেবের ওপর নির্যাতনের কারণ এটা বলেই মনে করা হয়।
কথিত আছে যে, ইমাম সাহেবের ওপর যে নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়েছিল খলিফা আবু জাফর মনসুর তা জানতেন না। এ সম্পর্কে খোদ ইমাম সাহেবের ভাষ্য এই:
খলিফা যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন তিনি ক্ষমা প্রার্থনার জন্য ইমাম সাহেবের খেদমতে লোক প্রেরণ করেন। সাক্ষাৎ হলে খলিফা তার ক্ষমা প্রার্থনা করে জানান যে, তাঁর সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তার অনুমতি ছাড়াই হয়েছে। এ অপরাধের জন্য খলিফা নির্দেশ প্রদান করেন যে, মদীনার সেই অভিযুক্ত শাসনকর্তাকে মদীনা থেকে ইরাক পর্যন্ত গাধার পিঠে আরোহন করিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। আর যে প্রকারের শাস্তি ইমাম সাহেবকে দেয়া হয়েছিল তার দ্বিগুণ শাস্তি শাসনকর্তাকে দেয়া হোক। ইমাম সাহেব খলিফার উদ্দেশ্যে বলেন- আমীরুল মোমেনীন! আল্লাহ আপনাকে শান্তিতে রাখুন এবং উচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমি শাসনকর্তাকে এ কারণে ক্ষমা করে দিলাম যে, তিনি একজন আওলাদে রাসুল (স.) এবং আপনার আত্মীয়। খলিফা মনসুর ইমামের এ উচ্চ নৈতিক আচরণ, ক্ষমা প্রদর্শন এবং উদার মানসিকতা দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ হন। হিজরী ১৭৯ সালের ১১ রবিউল আউয়াল সত্যের মহান সেনানী ইমাম মালেক (রহ.) ইনতেকাল করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন