পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৩০ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে’ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ আদায়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিশে। গতকাল (বুধবার) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা জানান। গত ৭ ডিসেম্বর গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবারের সদস্যদের সম্পদের খবর নিয়ে কথা বলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ৮ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে ‘ক্ষমা প্রার্থনার’ আহ্বান জানান। অন্যত্থায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি বলেন। এর ১১দিন পর খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এই উকিল নোটিশ পাঠানো হলো। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এট-ল এএম মাহবুবউদ্দিন গত ১৯ ডিসেম্বর রেজিষ্টার্ড ডাকযোগে (উইথ এ/ডি) এবং কুরিয়ার সার্ভিস মাধ্যমে এই উকিল নোটিশটি পাঠিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। নোটিশটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট এর কার্যালয়ের ঠিকানায় পাঠানো হয়। নোটিশের বক্তব্য বলা হয়েছে যে, ‘‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্রদের সম্পর্কে যে অভিযোগ এনেছেন তা সাজানো বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিদ্বেষমূলক। বাংলাদেশে নির্দোষ ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি সম্পন্ন সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার সুনাম বিনষ্ট করার হীন উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে আপনি এসব অভিযোগ এনেছেন।”
‘‘এই মানহানিরকর বিবৃতির কারণে অপূরণীয় লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে যার জন্য আইনত আপনি (প্রধানমন্ত্রী) দায়ী। এই নোটিশের মাধ্যমে আমরা আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) বেগম খালেদা জিয়ার নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করার আহবান জানাচ্ছি।
অ্যাডভোকেট খোকন তার নোটিশে বলেন, ‘‘এই ক্ষমা অত্র আইনি নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধে সকল জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায়, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন সংবাদপত্র এবং সামাজিক মাধ্যমের আউটলেটে যথাযথভাবে প্রকাশ ও প্রচার করার আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় আপনার (প্রধানমন্ত্রী) বিদ্বেষপূর্ণ, মানহানিকর এবং কপট ও কুটিল বিবৃতির কারণে আপনার বিরুদ্ধে ক্ষতিপুরণ আদায়ের নিমিত্তে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমাদের ওপরে নির্দেশ রয়েছে।”
খোকনের পাঠানো উকিল নোটিশে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) অপবাদমূলক দীর্ঘ বিবৃতি পরিকল্পিতভাবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এবং আপনার নিজের রাজনৈতিক সুবিধা লাভের হীন উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা হয়েছে। আপনার এই বেপরোয়া ও বিদ্বেষপূর্ণ কদুক্তি একাধারে পরনিন্দা, অপবাদ, গøানিপূর্ণ ও মানহানিকর যা বেগম খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ সুনাম সন্মান, সততা এবং মর্যাদাকে বিনষ্ট করার এবং দেশে ও বিদেশে তাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে খাটো করার হীন উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এই মানহানিকর বিবৃতির কারণে অপূরণীয় লোকসান ও ক্ষতি হয়েছে যার জন্য আইনত আপনি দায়ী।” উকিল নোটিশের খালেদা জিয়ার ঠিকানা দেয়া হয়েছে সড়ক নং-৮৬, বাড়ি নং ৬, গুলশান-২।
স¤প্রতি দেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে বিদেশি একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে দুর্নীতিত মামলায় বিচারের মুখে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিপুল পরিমান সম্পদ রয়েছে সোদি আরবে। গত ৭ ডিসেম্বর গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে বিএনপি নেত্রীর সম্পদের খবর নিয়ে কথা বলেন। একে ‘বানোয়াট ও ভিত্তিহীন’ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব পরদিনই প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, এই মানহারিকর তথ্য প্রচারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে আমরা বাধ্য হব। গতকাল নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব অভিযোগ করেছেন এর কোনো সত্যতা নেই, কোনো অস্তিত্বই নেই। আর যেসব সংবাদ মাধ্যমকে সোর্স (উৎস) হিসেবে সেই সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে সেসব সোর্সেরও কোন অস্তিত্ব নাই। সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্যের ভিত্তিতে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে। আজকে একটা নোটিশ দেয়া হয়েছে, তার কথাটি আমরা জানালাম।
সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মইন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপিকা সাহিদা রফিক, আবদুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, কেন্ত্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।