পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে ভয়ানক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ই-বর্জ্য। বাতিল হওয়া কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ফটোকপি মেশিন, মাইক্রোওভেন, ব্যাটারী ইত্যাদি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুষ্ঠু আইনি কাঠামো জরুরি হয়ে পড়েছে।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম যৌথভাবে ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আইনি কাঠামো : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা’ শীর্ষক এক সেমিনারের এ কথা বলা হয়।
বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম-এর মহাসচিব খায়রুজ্জামান কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাকসুদ। প্রবন্ধে বাংলাদেশের পৌর বর্জ্য ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত মানুষ ও তাদের অমানবিক জীবন, জাতীয় অর্থনীতিতে বর্জ্যজীবী, ময়লার ভ্যান কর্মী, সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মী ও রিসাইক্লিং কর্মীদের অবদান, পৌর ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিদ্যমান আইনি কাঠামো এবং পৌর ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভবিষৎ উন্নয়নের জন্য আইনি কাঠামোতে সুনির্দিষ্টভাবে কী কী থাকা প্রয়োজন সে বিষয়সমূহ গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির খন্দকার রিয়াজ হোসেন, এ বি কে রেজা, মোসাম্মৎ তাহমিনা আক্তার, ইমতিয়াজ রসুল, সৈয়দ মাহবুবুল আলম, সায়মা সাইদ প্রমুখ। সভায় বিটিআরসি-এর তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, বাংলাদেশে ১১ দশমিক ৬৫ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহার হচ্ছে যার ওজন ১১২৫ টন। এক হিসেবে দেখা যায় যে ২০১৩ সালে ঢাকাবাসীরা বছরে গড়ে মাথাপিছু শূণ্য দশমিক ২৬ কিলোগ্রাম ই-বর্জ্য তৈরি করছে। আমেরিকা তার সৃষ্ট ই-বর্জ্যরে শতকরা ৮০ ভাগই দরিদ্র উন্নয়নশীল দেশে ফেলে আসে বা রপ্তানী করে দেয়। যেগুলো অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকেরা স্বাস্থ্য ও পরিবশেগত ঝূঁকি নিয়ে পুনচক্রায়ন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করে থাকে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ই-বর্জ্য সৃষ্টি দ্রæতহারে বেড়ে চলেছে। প্রতিবছর বিশ্বে এই ই-বর্জ্য শতকরা ৫ থেকে ১০শতাংশ হারে বাড়ছে এবং এই বর্জ্যর শতকরা ৫ ভাগের বেশী পুনরুদ্ধার করা যায়না। মানুষ ও পরিবেশের জন্য বর্জ্যর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণেই এখন আইন করে নিয়ন্ত্রিতভাবে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কেননা, ই-বর্জ্য যে কোন সাধারণ পৌর বর্জ্য থেকে অধিক ক্ষতিকর। বেশী ক্ষতির শিকার হয় দরিদ্র শ্রেণির শিশু ও নারীরা। এক গবেষণা তথ্যে জানা যায়, যে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ যারা ই-বর্জ্য নাড়াচাড়ার সাথে জড়িত তারা এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানে না। তাই সভায় দ্রæততম সময়ের মধ্যে সরকারের পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ও পৌর কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা চুড়ান্তকরণের দাবি জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।