পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। পুলিশের এ ঘোষণার ফলে এখন থেকে বৈধভাবে পুলিশের নির্ধারিত করে দেয়া সড়কের ওপর গাড়ি রাখা যাবে।
গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিক এ ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম বলেন, কয়েক মাস আগে থেকেই রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে। তবে গতকাল স্ট্রিট পার্কিংয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং জায়গাগুলোর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জায়গা চিহ্নিত করে দুই সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে। সিটি করপোরেশন ইজারাদার নিয়োগ করে পার্কিং ফি আদায় করবে। ঢাকার রাস্তায় গাড়ি রেখে জরিমানার শিকার হয়েছেন অনেকে। ঢাকার বড় বিপণি বিতান, শিশুদের স্কুল, হাসপাতালের সামনে নিয়মিতই চলে পুলিশের ‘অবৈধ পার্কিং-বিরোধী অভিযান’।
পুলিশ ‘অবৈধভাবে পার্ক’ করা গাড়িগুলোকে পুলিশ মামলা দিয়ে বা রেকার বিল নিয়ে অবৈধ পার্কিং নিয়ন্ত্রণ করে। বিষয়টি নিয়ে নিয়ে মানুষের অসন্তোষ অনেক দিনের। একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মামুন মোল্লা বলেন, এটা ভালো উদ্যোগ। ঢাকার মার্কেট, হাসপাতাল কোথাও পর্যাপ্ত পার্কিং নেই। বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় গাড়ি রাখি আর প্রায়ই জরিমানার টাকা গুনতে হয়। ঢাকার রাস্তায় প্যারালাল পার্কিংয়ের পরও অন্যান্য যানবাহনের চলতে অসুবিধা হওয়ার কথা না।
তিনি আরো বলেন, লন্ডনসহ ইউরোপের অনেক পুরোনো শহরের রাস্তা এর চেয়ে অপ্রস্তত। সেসব দেশে সবাই পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে রাস্তায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য গাড়ি রাখেন। ঢাকাতেও এ রকম পয়সা দিয়ে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা চালু হওয়া উচিত।
ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার রিফাত রহমান শামিম বলেন, তাঁর বিভাগে নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক মাস ধরেই স্ট্রিট পার্কিং করা হচ্ছে।
যেসব জায়গা গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তা এক নজর দেখে নিতে পারেন। স্থানের পাশে উল্লেখ করা আছে কতগুলো গাড়ি রাখা যাবে।
ট্রাফিক পূর্ব :দয়াগঞ্জ মোড় থেকে জুরাইন রেলগেটের (মীর হাজিরবাগ নতুন বাজার) এক পাশে ১০০টি,মতিঝিলের বিনিয়োগ বোর্ড থেকে পিপলস ইনস্যুরেন্স পর্যন্ত রাস্তার এক পাশে ১২০টি , বায়তুল মোকাররমের স্বর্ণ মার্কেট লিংক রোডের এক পাশে ৩০টি ,মতিঝিলের জনতা ব্যাংক প্রধান কার্যালয় থেকে বক চত্বর পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে ৩০টি ,মতিঝিলের বাবে রহমত ক্রসিং থেকে এজিবি কলোনি বাজার পর্যন্ত রাস্তার এক পাশে ৬০টি ,নয়াপল্টনের পলওয়েল মার্কেটের এক পাশে ১৮টি ,মতিঝিলের কমিশনার গলি থেকে মন্দির পর্যন্ত রাস্তার এক পাশে ২৫টি ,মতিঝিলের বন ও শিল্প ভবন থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে ৪০টি ,মতিঝিলের ২৪তলা বিল্ডিং থেকে আলিকো বিল্ডিং পর্যন্ত রাস্তার এক পাশে ৫০টি ,কমলাপুর পীরজঙ্গী মাজার থেকে কমলাপুর পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে ৪০টি,মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের রাস্তার উভয় পাশে ৪০টি,মতিঝিলের আল-হেলাল পুলিশ বক্স থেকে বাবে রহমত পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে ২৫টি,মাতুয়াইল মাতৃসদন হাসপাতাল থেকে হাশিম রোড পর্যন্ত সার্ভিস রোডের এক পাশে ১০০টি
ট্রাফিক-দক্ষিণ
হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল হয়ে নেভি কল্যাণ ফাউন্ডেশন পর্যন্ত রাস্তার এক পাশে ৯০টি ,বেইলি রোডের উত্তর পাশে ১০০টি,এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল থেকে গাউছিয়া মার্কেট পর্যন্ত রাস্তার এক পাশে ৭৫টি,পলাশী থেকে নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত রাস্তা এক পাশে ১১৭টি,নিউমার্কেট ১ নম্বর গেট রাস্তার উভয় পাশে ২৫০টি,নিউমার্কেট ২ নম্বর গেট থেকে ৪ নম্বর গেট পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে ১৫০টি,ধানমন্ডি ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর রোড এবং মিরপুর রোডের সঙ্গে গ্রিন রোডের সংযোগকারী রাস্তার উভয় পাশে ৭৫টি,সাত মসজিদ রোডের পশ্চিম পাশে জিগাতলা থেকে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতাল পর্যন্ত ১০০টি।
ট্রাফিক-উত্তর
উত্তরা জসিমউদ্দীন রোড-সংলগ্ন উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের সার্ভিস লেনে হোটেল মেপললিপ থেকে সাউথইস্ট ব্যাংক পর্যন্ত রাস্তার পূর্ব পাশে ৯০টি, জসিমউদ্দীন রোড-সংলগ্ন উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের সার্ভিস লেনে জিবিটি টাওয়ার (ব্র্যাক ব্যাংক) থেকে সিয়াম টাওয়ার পর্যন্ত রাস্তার পূর্ব পাশে ৩০টি,জসিমউদ্দীন রোড-সংলগ্ন উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের সার্ভিস লেনে এবিসি টাওয়ার থেকে উত্তরা টাওয়ার (লাজ ফার্মা) পর্যন্ত রাস্তার উত্তর পাশে ২৫টি, জসিমউদ্দীন রোড-সংলগ্ন এবিসি টাওয়ার থেকে এস্টনিস্ট শপিং সেন্টার পর্যন্ত রাস্তার পূর্ব পাশে ৩০টি, উত্তরার সিঙ্গাপুর প্লাজা থেকে রাজল²ী কমপ্লেক্স পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে ৫০টি , উত্তরার লতিফ ইম্পেরিয়াল খাজানা হোটেল থেকে কুশল সেন্টার পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে ১০টি, উত্তরার কুশল সেন্টার থেকে বেলী কমপ্লেক্স পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে ২০টি, উত্তরার বেলী কমপ্লেক্স থেকে লন্ডন প্লাজা পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে ২৫টি ,উত্তরার লন্ডন প্লাজা থেকে এসবি প্লাজা পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে ১৫টি ,উত্তরার এসবি প্লাজা থেকে এবি মার্কেট পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে ৩০টি ,উত্তরা এবি মার্কেট থেকে আমির কমপ্লেক্স পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম ও রবীন্দ্রসরণির উত্তর পাশে ২০টি ,উত্তরা আমির কমপ্লেক্সের পশ্চিমে এইচএম প্লাজা পর্যন্ত রাস্তার পূর্ব পাশে ৯০টি।
এছাড়া বনানী ১৭ নম্বর রোডের হাউস নম্বর ৫ থেকে শুরু করে হাউস নম্বর ৩৫/এ পর্যন্ত রাস্তার উত্তর পাশে ৭৫টি। বনানী ১৭ নম্বর রোডের হাউস নম্বর ৮ এবিসি টাওয়ার থেকে শুরু করে হাউস নম্বর ৪২ ইকবাল সেন্টার পর্যন্ত রাস্তার উত্তর পাশে ৭৫টি।
বনানী রোড নম্বর-১৯/এ, হাউস নম্বর ৬২ থেকে শুরু করে হাউস নম্বর ৯৩ পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে ৪০টি।
গুলশান ১০৩ নম্বর রোডের হাউস নম্বর-সিইএন (বি)-৫ থেকে শুরু করে হাউস নম্বর-১ পর্যন্ত রাস্তার দক্ষিণ পাশে ৭০টি, গুলশান রোড নম্বর-১০৯-এর হাউস নম্বর-সিইএন-৪ থেকে হাউস নম্বর-৭ পর্যন্ত রাস্তার উত্তর পাশে ৫০টি।
মহাখালীর স্কয়ার বিল্ডিংয়ের পশ্চিম পাশে স্কয়ার বিল্ডিং থেকে শুরু করে খাবার ঘর হোটেল ৭৭/১ পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে ২৫টি। মহাখালীর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে হাউস নম্বর-৬৭/৮ থেকে শুরু করে মহাখালী কমিউনিটি সেন্টার ব্যায়ামাগার পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে ২০টি।
তিতুমীর কলেজের সামনে (ব্যাংক এশিয়া) হাউস নম্বর-৮২ থেকে শুরু করে হাউস নম্বর-৮২ পর্যন্ত রাস্তার পশ্চিম পাশে ১৫টি,উত্তরা ১২ নম্বর চৌরাস্তা থেকে দিয়াবাড়ি খালপাড় রাস্তার দক্ষিণ পাশে ৪০টি,মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচ থেকে সৈনিক ক্লাবগামী ফিডার রোড পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে ২৫টি। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বিএসটিআইয়ের পূর্ব-পশ্চিম পাশে ৫টি,তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বিটাকের পূর্ব-পশ্চিম পাশে ৫টি,তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সোনালী ব্যাংকের পূর্ব-পশ্চিম পাশে ৫টি।
ট্রাফিক-পশ্চিম
ফার্মগেটের খেজুরবাগান গোল চত্বরের পূর্ব পাশে ৪০টি,মিরপুর স্টেডিয়ামের পাশে মিল্ক ভিটা রোডের উত্তর পাশে (লাভ রোড) ১৫টি,চিড়িয়াখানা রোড (সনি সিনেমা হল থেকে চিড়িয়াখানা) ফুটপাত-সংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশে ২০টি,মিরপুর-১৪ থেকে টেকনিক্যাল (প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম রোডের বশির উদ্দিন স্কুলের গলি থেকে র্যাব-৪-এর কার্যালয়ের গলি পর্যন্ত) মূল সড়কের পূর্ব পাশে ২০টি,কচুক্ষেত রোডের ইব্রাহীমপুর বাজার রোড ও কচুক্ষেত রোডের সংযোগস্থল থেকে উত্তর ও দক্ষিণ প্রধান সড়কের পশ্চিম পাশে ২৫টি,মিরপুর-১৪ বাসস্ট্যান্ড থেকে পুলিশ স্মৃতি স্কুল ও কলেজ পর্যন্ত মূল সড়কের দক্ষিণ পাশে ২০টি,মিরপুর শাহআলী মাজার থেকে মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার উত্তর পাশে ২০টি গাড়ি স্ট্রিট পাকিং থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।