পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর ব্যুরো : বিএনপি জামায়াতের অবরোধ চলাকালে যশোর শহরের মার্কাস মসজিদ ও উপশহর বিআরটিসি কাউন্টারের সামনের বাসে অগ্নিসংযোগ, হেলপার মুরাদ মোল্লাকে পুড়িয়ে হত্যা ও নাশকতার মামলায় সাবেক মন্ত্রী স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামসহ বিএনপি ও জামায়াতের ৬৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে না পাওয়ায় একজনের অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে মঙ্গলবার আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) শেখ গণি মিয়া।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, ঝিকরগাছা উপজেলার বোধখানা গ্রামের হাজী নূর মোহাম্মদের ছেলে শেহাব উদ্দিন, ফুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রুহুল আমিন, লাউজানী গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম, শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে খালিদ হোসেন, অভয়নগরের মাগুরা গ্রামের ইজ্জত আলীর ছেলে মুকুল হোসেন, সদর উপজেলার ঘুনি গ্রামের আতশীডাঙ্গা গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে ওয়াসিম গাজী, উপশহর এফ ব্লকের ১৬২ নম্বর বাড়ির মোস্তফা কামাল বাবুর ছেলে পাভেল, বাঘারপাড়া উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের নিকমল শিকদারের ছেলে মাঈনুল ইসলাম, বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, নগর বিএনপির সভাপতি ও যশোর পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সহ-সভাপতি গোলাম রেজা দুলু, জেলা বিএনপির সদস্য ও তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা যুবদলের সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, ছাত্রদল সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা রিপন চৌধুরী প্রমুখ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে অন্যদিনের মত সারাদিন বাসে হেলপারি করে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার কানুটিয়া গ্রামের তোরাব মোল্লার ছেলে মুরাদ মোল্লা মার্কাস মসজিদের সামনে বাস পার্কিং করে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে অপরিচিত সন্ত্রাসীরা মুরাদের বাসসহ তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে। আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয় মুরাদ। এ ব্যাপারে কোতয়ালি মডেল থানার এসআই শহিনুর রহমানা বাদী হয়ে নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তকালে ১০ জানুয়ারি সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুরাদ মারা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।