পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভাল্বের ক্ষেত্রে দাম কমেছে সর্বোচ্চ ২৬ হাজার
পেসমেকারের ক্ষেত্রে ৪ লাখ ৭ হাজার
দেশে প্রথমবারের মতো হার্টের ভাল্ব এবং পেসমেকারের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য (এমআরপি) নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সকলের মতামতের ওপর ভিত্তি করে এই মূল্য নির্ধারণ করেছে। মূল্য নির্ধারনে হার্টের ভাল্বের ক্ষেত্রে মডেল ও কোম্পানী ভেদে ৪ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে। পেসমেকারের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা থেকে ৪লাখ ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম কামানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় হার্টের ভাল্ব ও পেসমেকারের এমআরপি নির্ধারনের বিষয়টি জানান প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে হার্টের রিংএর (স্টান্ট) মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ অন্য হাসপাতালগুলোতেও নির্ধারিত মূল্যে রিং ব্যবহার করছেন রোগীরা। একই ভাবে আজ ভাল্ব ও পেসমেকারের মুল্য নির্ধরান হলো। এখন থেকে দেশের সব হাসপাতালে এই মুল্যেই এসব ডিভাইস পাবেন রোগীরা।
জানা গেছে, হার্টের ভাল্ব ও পেসমেকারের মূল্য নির্ধারিত না থাকায় রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো টাকা আদায় করা হতো। বিষয়টি ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের নজরে এলে গত ২৮ নভেম্বর কার্ডিওলজিষ্ট, কার্ডিয়াক সার্জন এবং মেডিকেল ডিভাইস ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সঙ্গে মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে পেসমেকার ও ভাল্বের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। যা আজ প্রকাশ করা হলো।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) প্রফেসর ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মূল্য নির্ধরাণ হয়েছে এটা ভাল কথা। কিন্তু হার্টে ভাল্ব ও পেসমেকার বসাতে রোগীকে আরও আনুসাঙ্গীক ব্যয় বহন করতে হয়। এক্ষেত্রে ঔষধ প্রশাসন যদি ভাল্ব ও পেসমেকারের পাশপাশি প্রতিস্থাপণের সর্বোচ্চ প্যাকেজমূল্য নির্ধারণ করে দিত তাহলে ভাল হতো।
তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্যাকেজ মূল্য নির্ধরাণ করা প্রশাসনের কাজ নয়। এটি হাসপাতালের কাজ।
এ সময় আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. আফজালুর রহমান, প্রাাক্তন পরিচালক প্রফেসর ডা. শাফি আল মজুমদার, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, নায়ার সুলতানা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।