Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাল-জালিয়াতির মহোৎসব

প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪১ পিএম, ২২ মার্চ, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : দলীয় প্রতীকে প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দিনভর হয়ে গেল দখলের মহোৎসব। ক্ষমতাসীন দলের এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দলীয় সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র হামলা, পুলিশের সামনেই ভাঙচুর, দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের মারপিট, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭১৭ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। দেশের বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রে হামলা, গুলি, ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, প্রার্থী ও তার সমর্থকদের কুপিয়ে জখম এবং ভোটের আগেই বাক্সে ব্যালট ভর্তিসহ ভোট কেন্দ্রে নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে জাল ভোটে অংশ নেন প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টরাও। নির্বাচনী সহিংসতায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক। সংঘর্ষ-গোলাগুলি, ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকির কারণে ভোটার উপস্থিতিও কম ছিল। হামলার মুখে অর্ধশতাধিক ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন। সহিংসতার কিছুটা আমলে নিয়ে ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সারাদেশের সহিংসতার মধ্যেও ভোটে সন্তুষ্ট ইসি। কমিশন মনে করছে, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট সুষ্ঠু হয়েছে। রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের পর্যবেক্ষণে ভোট উৎসবমুখর পরিবেশে হয়েছে। তবে বিএনপির অভিযোগ, সারাদেশের সব ইউনিয়নে সহিংসতা হয়েছে। দলটি অন্তত ৫০ ইউপির পুনঃভোট চায়। জাতীয় পার্টিও সারাদেশের সহিংসতার অভিযোগ করেছে। সরকারি দলের বিদ্রোহীদের কাছে টিকতে পারেননি খোদ নৌকার প্রার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশের ৩৪ জেলার ৭১৭ ইউপিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এর আগে সোমবার রাত থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে সরকারি দলের কর্মীরা প্রিসাইডিং অফিসারদের নিকট থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে সিল মেরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোট শুরুর সময় সব বাক্স ও ব্যালটের হিসাব না দিয়েই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রিসাইডিং অফিসারদের সামনেই আবার কোথাও প্রিসাইডিং অফিসাররা নিজেই জালভোট দিয়েছেন। ভোট শুরুর আগে থেকে কেন্দ্রে আসতে বাধা দিয়েছে প্রতিপক্ষের এজেন্টদের। ভোট শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মারধর করে উপস্থিত এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তৃণমূলের নৌকা-ধানের শীষের এ লড়াইয়ে মাঠে দাঁড়াতে পারেনি ধানের শীষ। বেশিরভাগ ইউপিতে বাধাহীনভাবে দখল করেছেন সরকারদলীয় প্রার্থীরা। তবে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বেধেছে সহিংসতা। দেশের বেশিরভাগ সহিংসতা ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে হয়েছে।
জানা গেছে, সারাদেশের প্রায় সব ইউনিয়নে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বরিশালে রাইফেলের গুলিতে আনসার ও ঝালকাঠিতে আবুল কাশেম শিকদার নামে ইউপি সসস্য প্রার্থীর ভাই এবং নেত্রকোনা জেলায় হাওর দ্বীপ খালিয়াজুড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী গোলাম ইসহাকের ছোট ভাই যুবলীগ কর্মী গোলাম আবু কাওসার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
সাতক্ষীরার কলাপাড়ায় ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র হামলায় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। শেরপুরে বিএনপি প্রার্থী ও তার স্ত্রী, সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। সাতক্ষীরার কুমিরায় নৌকা প্রতীকে জালভোট দেওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে আ.লীগ নেতা ও তার ভাই আহত হয়েছেন। কোটচাঁদপুরে ভোট দিতে বাধা দেয়ায় আ.লীগ কর্মীকে কুপিয়েছে ভোটাররা।
ভোট চলার সময়ে কুমিল্লায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। ভোলায় কেন্দ্র নিয়ে ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ। লক্ষ্মীপুরে বোমা ফাটিয়ে কেন্দ্র দখল আহত ২০জন। লক্ষ্মীপুরে কেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছে। বরিশালের কড়াপুরে জালভোট দেওয়ার সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। কেন্দ্র দখল নিয়ে শেরপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪জন। পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৩ ইউনিয়নের সব কেন্দ্র দখল করে নেয় আ.লীগ। ধানের শীষে ভোট দেয়ায় কৃষককে যুবলীগ কর্মীরা মারধর করেন। চরফ্যাশন ও মনপুরায় ৮ ইউনিয়নের সব কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মেরেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রিজাইডিং অফিসারের সামনে জোর করে জাল ভোট দেয় নৌকার সমর্থকরা। বরিশালের রায়পাশায় বাক্সসহ ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ভোট স্থগিত রাখা হয়। নোয়াখালীতে প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্ট গুলিবিদ্ধ। সিলেটে ভোটকেন্দ্রের একপাশে বিজিবি অন্যপাশে সশস্ত্র ছাত্রলীগ। ভান্ডারিয়ায় কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল, দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে ইসি। গাইবান্দার সারিয়াকান্দিতে বিএনপির এজেন্টদের মেরে কেন্দ্র থেকে বের দেওয়া হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলা হয়। সিলেটে বিজিবি-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত ৯৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ পেয়েছে ৮০টি, বিএনপি ৪টি, জাপা শূন্য এবং স্বতন্ত্র পেয়েছে ১১টি আসন।
অর্ধশত চেয়ারম্যান প্রার্থীর বর্জন
বিএনপির ২৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ অন্তত ৫০ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের দুজন, জাতীয় পার্টির একজন প্রার্থী রয়েছেন।
কারচুপির অভিযোগে বরিশালের দরিয়ারচড় খাজুরিয়া ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী আব্দুল কাদের এবং পটুয়াখালীর বগা ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম ইউসুফ নির্বাচন বর্জন করেছেন। আর ঝালকাঠিতে ২৫ জন বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চার ইউনিয়ন ও রামগতিতে ২টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। বি.বাড়িয়ায় বাঞ্ছারামপুরে ৬টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। খুলনার ৩টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। পাবনার বেড়ায় ২টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বিএনপির ৪ জন ও এক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। নেসারাবাদের ৩টি ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
অর্ধশত কেন্দ্রের ভোট স্থগিত
প্রিসাইডিং অফিসার-পোলিং অফিসারের ওপর হামলা, কেন্দ্রে ভাংচুর, ব্যালট ছিনতাই, বোমাবাজিসহ বিভিন্ন কারণে অর্ধশত কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্র্নিং অফিসাররা। অনিয়ম ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
সারাদেশে সহিংসতা ৫০টিতে বাতিল চায় বিএনপি
সারাদেশে ভোটের মাঠে অনিয়ম ও সহিংসতা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি এই অবস্থায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) অন্তত ৫০টির নির্বাচন বাতিলের অনুরোধ করেছে বিএনপি
গতকাল বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে দেখা করে এই অনুরোধ জানায়।
বৈঠক শেষে বের হয়ে বিএনপি ওই ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের দিন সব কর্তৃত্ব থাকে নির্বাচন কমিশনের। পুলিশ বা অন্যান্য অথরিটি তাদের অধীনেই থাকে। এবারই আমরা এটার ব্যতিক্রম দেখলাম। বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় সরকারি বাহিনী, সরকারি দল পুলিশ তাদের সহযোগিতা করেছে এবং সেই সহযোগিতার মধ্য দিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেখানে যা শক্তি সেই শক্তি নিয়ে নির্বাচন করে তারা ফলাফলের জন্য হয়তো অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে একটা অনুরোধ করেছি, সেটা হচ্ছে ৭১৩টি ইউনিয়নের অধিকাংশেই কারচুপি হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো ইউনিয়ন আছে যার সব কেন্দ্রেই এককভাবে শক্তিধর ও সরকারি দলের আনুকুল্যে তারা হয়তো চেয়ারম্যান ডিক্লেয়ারেশন পেতে পারে। আমাদের অনুরোধ ছিল, অন্তত নির্বাচন কমিশন একটা উদাহরণ সৃষ্টি করুক। সেটা হলো, ৫০টি হলেও ইউনিয়নের নির্বাচন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন প্রমাণ করুক যে আমরা আসলেই নিরপেক্ষতা বজায় রাখার চেষ্টা করছি। নির্বাচনগুলো বাতিল করে দিতে পারলে কমিশনের ওপরে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আসবে।
নির্বাচনকে তামাশার নির্বাচন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে যেসব কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কাজ করেছেন তারা যথাযথ ভূমিকা পালন করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতো।
প্রতিনিধিদলে ছিল বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন সুজা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব শাজাহান মিয়া এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন।
কেন্দ্র দখল-জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের অভিযোগ জাতীয় পার্টির
প্রথম ধাপের ভোটের দিনে সাতটি জেলার প্রায় অর্ধশত কেন্দ্র দখল করে জালভোট দেওয়ার অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি। দেশের ৭১৭ ইউনিয়ন পরিষদে আজ ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল করিম ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিত অভিযোগ করেন।
ভিযোগপত্রে বরিশাল, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ ও কুমিল্লায় প্রায় অর্ধশত কেন্দ্র থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেওয়া, জাল ভোট দেওয়া ও হামলার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট ও কর্মীদের মারধর করে অস্ত্রের মুখে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এসব কেন্দ্র দখলমুক্ত করতে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতির খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন বলে জানান রেজাউল।

 



 

Show all comments
  • Saddam Hossain ২৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:৪৫ পিএম says : 0
    কি প্রয়োজন এমন নির্বাচনের?
    Total Reply(0) Reply
  • SN Islam ২৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:৫০ পিএম says : 0
    ছেলে ৯৯% পিওর। দেখতে শুনতে অনেক ভাল। ভ্রিলিয়েন্ট ছাত্র। নামাজি,কর্মঠ, সৎ ও আদর্শবান। কিন্তু ১% সমস্যা হলো মাঝেমাঝে নাইট ক্লাবে যায়। তো নির্বাচন অনেক ভাল ও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গায়,,,,,, থাক বলবো না।। ভয় করে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাল-জালিয়াতির মহোৎসব

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ