Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীতে চলছে রাজউকের অভিযান

প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

উমর ফারুক আলহাদী : রাজধানী জুড়ে চলছে রাজউকের সাঁড়াশি উচ্ছেদ অভিযান। সকল বাধা বিঘœ উপেক্ষা করে পরিচালিত এ অভিযান চলবে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। যদি প্রয়োজন হয়  তাহলে অভিযানের সময় সীমা আরো বাড়নো হবে বলে জানিয়েছেন রাজউকের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এবার কোন প্রভাবশালী মহলই এ অভিযান ঠেকাতে পারবে না। শুধু নকশা বর্হিভুত ভবন বা অনুমোদন বিহীন স্থাপনাই নয়, রাজউকের জায়গা জমিও অবৈধ দখলদার মুক্ত করা হবে। অভিজাত আবাসিক এলাকাসহ মহানগরীর যেসব আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে। আর এ লক্ষ্যেই চলছে রাউকের অভিযান। গত কয়েক দিনে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, ধানমন্ডি, বনানী ও উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজউক প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। দখল মুক্ত করা হয়েছে এসব ভবনের সামনের ফুটপাত, কার পার্কিং ও খালি জায়গা। এত করে নাগরবাসীর মধ্যে বিরাজ করছে স্বস্তির আমেজ। তালিকা ধরে চলছে এ অভিযান। আবার কেউ কেউ বলছেন, এ ধরনের অভিযান এর আগেও হয়েছে। কিন্ত রহ¯্রজনক কারণে প্রায় অভিযান থমকে যায়। তারা আশা করছেন, এবার তেমনটি হবে না।
এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান জিএম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। অবৈধ সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তিনি বলেন, রাজধানীর যেসব ভবনের বেইসমেন্ট এবং কার পার্কিংয়ের স্থান বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান চলছে। তিনি আরো বলেন, এবার রাজউক অবৈধ দখলদার মুক্ত করেই ছাড়বে।
রাজউক জানায়,ধানমন্ডি গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরা এলাকাসহ মহানগরীতে ৫ হাজারের বেশী অবৈধ স্থাপনা সনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ৪৭০টি বহুতল ভবনের বেইসমেন্ট ও কার পার্কিংয়ের স্থানে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে মর্মে ভবনগুলো চিহ্নিত করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সংস্থাটির ৪নং জোনের আওতাধীন এসব এলাকার ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করতে গত সোমবার থেকে ধারাবাহিকভাবে উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে রাজউক। এ অভিযান  চলবে  ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ ছাড়া ৫ নং জোনের আওতাভুক্ত ধানমন্ডি এলাকাতেও  টানা দশদিন এবং ২নং জোনের আওতাভুক্ত উত্তরা এলাকায় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলবে। ধানমন্ডিতে  ােয় ৫শ এবং উত্তরায় ১ হাজার ৩৭৫টি বহুতল ভবনে অভিযান চালানো হবে।
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ আজাহারুল আলম গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, রাজউকের এ উচ্ছেদ অভিযান দেখে আমরা অত্যান্ত আনন্দিত। তবে মাঝ পথে যেন  তা থেমে না যায়। তিনি আরো বলেন, আমাদের কলেজের পাশে রাজউকের জমি জবর দখল করে প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে কাঁচাবাজার গড়ে তোলেছে। এতে করে কলেজের পরিবেশের ওপড় মারাত্মক বিরূপ প্রভাব পড়ছে। কাঁচা বাজারের ময়লা আবর্জনা ও পচা দুর্গদ্ধের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-অভিবাভকদের যাতায়াত করতে হয়। কলেজের পাশেই প্রতিদিন গরু ছাগল জবাই করা হয় এবং জবাই করা পশুর রক্ত ও মলমূত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে। ফলে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে। তাই রাজউকের কাছে এখন আমাদের  সময়ের দাবী,  জরুরী ভিত্তিতে যেন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলদার মুক্ত করে। এতে  রাজউকের  শত শত কোটি টাকা মূল্যের এ জমি উদ্ধার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উত্তরা এলাকার একাধিক অধিবাসী জানান, শুধু উত্তরা মডেল টাউন এলাকাতেই রাজউকের কয়েক হাজার কোটি টাকার জায়গা জমি বছরের পর বছর ধরে বেদখল রয়েছে। এবার রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান দেখে সাধারন মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করেন এবার সত্যিকার অর্থে দখলদার মুক্ত হবে।    
রাজউক জানায়,রাজধানীর গুলশান, উত্তর ও ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার ছয়টি ভবনের কার পার্কিং থেকে অবৈধ স্থাপনা এবং রাস্তার সঙ্গে ভবনের সংযুক্তকারী সিঁড়ি ও র‌্যাম্প উচ্ছেদ করেছে রাজউক। জরিমানা আদায় করা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা। রাজউকের তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিল।
রাজউক জানিয়েছে, গুলশান জোন-৪ এর বিভিন্ন ভবনের সামনে ১২টি র‌্যাম্প ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দু’টি ভবনের কার পার্কিং স্থানে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভবন মালিকদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪ লাখ টাকা। এছাড়া উত্তরা আদর্শ শহরের বাণিজ্যিক এলাকার ৩ নম্বর সেক্টরের ঢাকা ময়মনসিংহ রোডে অবস্থিত কুশল সেন্টারের বেজমেন্টে কাঁচা বাজারও  সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে দোকান ছিল ১৭০টি। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন রাজউকের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
ধানমন্ডির গ্রিন রোড এলাকার তিনটি ভবনের কার পার্কিং থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ টাকা। উচ্ছেদ পরিচালনা করেন অথরাইজড অফিসার শফিউল হান্নান।
রাজউকের কর্মকর্তারা আরো জানান, রাজধানীর আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার যানজট কমাতে ফুটপাতের স্থাপনা, কার পার্কিংয়ের স্থানে থাকা দোকানপাট ও অফিস উচ্ছেদ করতে চলতি বছরের ৩০ জুন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণাণলয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ চিঠি দেন রাজউক চেয়ারম্যান জিএম জয়নাল আবেদীন ভূইয়াকে। চিঠিতে রাজধানীর যেসব বহুতল ভবনের বেইসমেন্ট ও কার পার্কিংয়ের স্থান বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেসব ভবন থেকে বাণিজ্যিক  িেতষ্ঠান উচ্ছেদকরণ এবং সংশ্লিষ্ট ভবন মালিকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত ২২ নভেম্বর মন্ত্রণাললের সভায় সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয় রাজউকের আওতাধীন এলাকায় যেসব ভবনের বেইসমেন্ট ও কার পার্কিংয়ের স্থানে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজউক তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে। তালিকায় গুলশান, বনানী, বারিধারা ও মহাখালী এলাকার ৪০৮টি ভবন স্থান পেয়েছে। রাজউক থেকে এসব ভবন মালিকদের নাম-ঠিকানা ও ব্যবহারকারী বাণিজ্যিক  িেতষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে।
জানা যায়,গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও মহাখালী এলাকার ভবনে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ভবন মালিক ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় রাজউক। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহায়তার জন্য পাঁচজন মহিলা সদস্যসহ এক প্লাটুন পুলিশ চেয়ে গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেন রাজউকের পরিচালক ( শোসন) দুলাল কৃষ্ণ সাহা। চিঠির তথ্য অনুযায়ী, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি গুলশান শুটিং ক্লাব থেকে গুলশান-১ নম্বর পর্যন্ত, ২০ ও ২১ জানুয়ারি গুলশান-১ নম্বর থেকে গুলশান-২ নম্বর পর্যন্ত, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি গুলশান-২ নম্বর চত্বর থেকে উত্তর পাশসহ আশপাশের এলাকায়, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা, ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি বারিধারা হাউজিং সোসাইটি, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি মহাখালী-গুলশান লিংক রোডের রাস্তার উভয় পাশে অভিযান চালানো হবে।
রাজউকের তালিকা অনুযায়ী যেসব ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান হবে সেগুলোর মধ্যেÑ গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার ক্রাউন সিমেন্ট, আফতাব ফুড লিমিটেড, সেন্টার পয়েন্ট হোটেল, কার শোরুম, ডাজলী জিম, বায়িং হাউস, রিক্রেশন ক্লাব, পলমল গ্রুপ, জার্মান ক্লাব, জেড এইচ সিকদার ওমেন্স মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, রিজেন্ট কলেজ, তুর্কি হোসম স্কুল, কোরিয়ান ক্লাব রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড গেস্টহাউস, ব্র্যাক ব্যাংক, ম্যাপলী বেয়ার স্কুল, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ওয়ার্ল্ড এডুকেশন, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, হাই ফ্যাশন, গুলশান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, গ্লোরিয়াস ফার্নিচার, ইউরো কিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, অ্যারোমা ফ্যাশন, টাইম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হোটেল লেক ব্রিজ, লেকসুর হোটেল, সেভ দ্য চিলড্রেন, জেনিটিক লিমিটেড, মুক্তি ক্লিনিক, ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ লি., ব্রিটিশ স্কুল, উইমেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রূপায়ণ গোল্ডেন শপিং সেন্টার, মেরিডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, হোটেল গোল্ডেন ডিয়ার লি., কার-নি-ভাল রেস্টুরেন্ট, এনএ গার্মেন্ট লি., সিলেট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, নিউ ক্লিসেন্ট রেস্টুরেন্ট, বেঙ্গল গ্রুপ, ঢাকা ওয়্যার হাউস লি., অটো করপোরেশন কেয়ার লি., লন্ডন, রতন হেলথ ক্লাব সুইমিংপুল, বেসিক বিল্ডার্স লি., ইতালিয়ান ফার্নিচার মার্ট, শান্তা গার্মেন্ট, এসওআই-৭১ রেস্টুরেন্ট, ব্রাজিল রেস্টুরেন্ট, কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, স্কলারশিপ স্কুল, ইন স্টাইল ফ্যাশন, গ্রিানডেলী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, নাভানা রিয়েল এস্টেট লি., অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ব্র্যাক ব্যাংক গুলশান শাখা, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, র‌্যাংকস  পোর্টিজ লি., শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, অফিস অব সেভরন, ধানসিড়ি রেস্তোরাঁ,  ােইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, গালিমার গার্ডেন রেস্তোরাঁ, এইচবিএম ইকবাল গালফ মেডিক্যাল সেন্টার, নর্দ্দা ইউনিভার্সিটি, রূপসা টাওয়ার, আবেদীন টাওয়ার, পিএমপি প্লাজা, এপেক্স গ্রুপ, শান্তা গ্রুপ, এসটিএস গ্রুপ, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক হেড অফিস, ঢাকা ব্যাংক গুলশান শাখা,  ােইম ব্যাংক, ফারুক ইসলামী সিকিউরিটিজ লিমিটেড, কেএফসি, ভিলেজ রেস্টুরেন্ট, এসটিআই ডিপ্লোমেটিক ওয়্যার হাউস,  ােইম  পোর্টি হোল্ডিং লি., শমসের গার্মেন্ট, হাবিব ব্যাংক, ইসলাম ব্যাংক, নিরবান ফ্যাশন, হাজী রফিক সুপার মার্কেট, বারিধারা সুপার মার্কেট, সিদ্দিক সুপার মার্কেট, দেশ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, গ্রুপ-৪, বারিধারা অটোমোবাইল লি., জেএস কার, জি বাংলা টিভি, এআরটি অটো করপোরেশন, আকতার ফার্নিচার, এবি ব্যাংক, ব্রাদার্স ফার্নিচার, গালফ অটো কারস লি., গ্রিন গ্রেনেট অ্যান্ড মার্বেল লিমিটেড ছাড়াও আরও বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির নাম রয়েছে।
রাজউকের অথোরাইজড অফিসার মিজানুর রহমান জানান, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে উচ্ছেদ অভিযান চালোন হচ্ছে। কোন ধরনের বাধার মূখে রাজউক অভিযান বন্ধ করবে না।তিনি আরো বলেন জনগন এখন সচেতন আশা করি  তেমন কোনো বাধার মুখে পড়তে হবে না। কোন ধরণের সমস্যা দেখা দিলে ¤্রাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় অভিযানে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হবে এমন সিদ্ধান্ত রযেছে রাজউকের।
গত কয়েকদিনে গুলশান-১ এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে রাজউক। এ সময় গুলশান ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮ নম্বর সড়কের অবৈধ ১৯ র‌্যাম্প ভেঙে দেয়া  হয়। নকশা বহির্ভূতভাবে পার্কিংয়ের জায়গা হোটেলের কাজে ব্যবহার করায় অভিজাত হোটেল স্পেকটা কনভেনশন সেন্টারকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে রাজউকের অথোরাইজড অফিসার আদিলুজ্জামান জানান, সকল বাধা বিঘœ উপেক্ষা করে  উচ্ছেদ কার্যক্রম চলছে, তা অব্রাত থাকবে। এ সময় তাদের কোনো ধরনের বাধার মুখে পড়তে হয়নি।
রাজউকের অথরাইজড অফিসার শফিউল হান্নানের নেতৃত্বে ধানমন্ডি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। দিনভর উচ্ছেদ অভিযানে একটি বেজমেন্টে অবৈধভাবে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় ৮টি  িেতষ্ঠানকে উচ্ছেদ এবং একটি  িেতষ্ঠানকে উচ্ছেদসহ জরিমানা করা হয়।
অবৈধভাবে ধানমন্ডি ১৩ নম্বর রোডের একটি ভবনের পার্কিংয়ে জায়গায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় তা উচ্ছেদ করে দেয় রাজউক। একই অবস্থা হয়েছে মেট্রো শপিং মল, ধানমন্ডি ১২ নম্বর সড়কের সেভেন ইলেভেন রেস্টুরেন্টের। এ রেস্টুরেন্টকে উচ্ছেদসহ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া বেসেমেন্টর ক্লেক্রাফট, অঞ্জনস, নাগরদোলার শোরুম উচ্ছেদ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজধানীতে চলছে রাজউকের অভিযান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ