পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
চীনের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে নেপাল। পাহাড়ি এই দেশটির অনুরোধ মেনে তিব্বত হয়ে নেপাল পর্যন্ত স্ট্র্যাটেজিক রেললাইনও গড়বে চীন। স্থলভূমি দিয়ে ঘেরা নেপালের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারতের ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্যই এই রেলপথ নির্মাণের অনুরোধ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলি। এছাড়াও ওলির চীন সফরে গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট চুক্তিসহ ১০টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ট্রানজিট চুক্তির ফলে সমুদ্রপথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নেপালের ভারতের ওপর সার্বিক নির্ভরতার অবসান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সাত দিনের সফরে গত রোববার চীনে গেছেন ওলি। গ্রেট হল অব পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খ্যাজিয়াং তাকে সাড়ম্বর অভ্যর্থনা জানান। নেপালের প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গেও দেখা করেন।
উল্লেখ্য, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মধেশিদের আন্দোলনের কারণে ভারত-নেপাল বাণিজ্য পথগুলো প্রায় ছয় মাস অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। এতে নেপালের জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় নেপাল এখন বিকল্প সরবরাহ পথ খোঁজার চেষ্টা করছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের একটা বড় উদ্দেশ্য এটাই বলে মনে করা হচ্ছে।
লি-র সঙ্গে বৈঠকে ওলি তিব্বত পর্যন্ত চীনের বর্তমান রেললাইন নেপাল পর্যন্ত প্রসারিত করার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে চীন রাজি হয়েছে বলে জানা গেছে। চীনের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, চীন ইতিমধ্যেই তিব্বতের শিগাস্টে শহর থেকে নেপালের সীমান্তবর্তী গাইইরোঙ পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নিয়েছে। এই রেলপথ নেপাল পর্যন্ত করার বিষয়টি ভৌগলিক-প্রযুক্তিগত ও আর্থিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। ভবিষ্যতে দুটি দেশ রেলপথে যুক্ত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সূত্র : এবিপি আনন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।