পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া আমরা মানি না, বাংলাদেশ মানে না। এটা আমরা গ্রহণ করি না, এটাকে প্রত্যাহার করতে হবে। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির পক্ষ থেকে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদের কথা জানান ব্যারিস্টার মওদুদ।
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির ঘটনায় সরকারকে আরো ‘শক্ত ভাষায়’ প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম বর্তমান সরকার একটা বক্তব্য দিয়েছেন। খুব... মানে এদিক আছে, ঠিক আছে,..... ইত্যাদি। কনডেম করেছেন। কিন্তু না, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সরকারকে একটি অত্যন্ত শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে হবে; এবং অত্যন্ত পরিষ্কার ভাষায় বলতে হবে। তিনি বলেন, সে যতবড় রাষ্ট্রই হউক না কেন, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া আমরা মানি না, বাংলাদেশ মানে না। এটা আমরা গ্রহণ করি না, এটাকে প্রত্যাহার করতে হবে। এই কথাগুলো বর্তমান সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, আরো জোরে-সোরে বলতে হবে।
আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নাকচ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ।
তিনি বলেন, রাজনীতি একটি গতিশীল বিজ্ঞান। রাজনীতির গতিশীলতা এমন একটা পর্যায়ে যাবে, তখন আপনারা সংলাপের আয়োজন করতে বাধ্য হবেন। আর যদি না করেন, তাহলে এর উত্তর রাজপথ থেকে আপনারা পাবেন; এবং সেই উত্তর- তখন আন্দোলনের মাধ্যমে সেই দাবিটা আদায় করবে বাংলাদেশের মানুষ। গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ভাষা ‘অপ্রত্যাশিত’ মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে আমার মনে হয়েছে যে, বাংলাদেশে তিনি আবার ওই ২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে চান। আরেকটু বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখব, বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকারের আর দরকার নেই, ভোট কেন্দ্রে আসার দরকার নাই। ভোটারবিহীন আরেক নির্বাচন করে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসার তাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেই পরিকল্পনার বর্হি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন তিনি তার বক্তব্যে। এই নির্বাচনে যদি সকলের অংশগ্রহণ আর প্রয়োজন নাই, সেজন্য আর কোনো সংলাপেরও প্রয়োজন নাই।
মানবাধিকার পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আসম মোস্তফা কামালের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমীন, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ এবং কল্যাণ পার্টির সহসভাপতি শাহিদুর রহমান তামান্না বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।