পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সরকারের তরফ থেকে আকাক্সিক্ষত সহযোগিতা পাচ্ছেন না জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, অনেক বড় পরিসরের নির্বাচন। আমাদের এতো কর্মকর্তা নেই। এজন্য অন্য ডিপার্টমেন্টের লোকদের কাজে লাগাতে হচ্ছে। নিয়োগ করতে হচ্ছে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে। তাদের ওপর আমাদের অতটা কর্তৃত্বও নেই। তাদের থেকে যে মাত্রায় সহযোগিতা চাই, কাক্সিক্ষত সে মাত্রার সহযোগিতা পাচ্ছি না। ভোট কারচুপি হলে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্য পুলিশ কর্মকর্তারা দায়ী হবেন।
গতকাল সোমবার প্রথম ধাপের ইউপি ভোটের আগের ইসি সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ দায়িত্ব পালনে অনিয়ম করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বরতদের দায়ী করা হবে। কেন্দ্রে রাতে নিবিড় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে ভোটের আগেরদিন রাতে সিল মারার খবর পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও দায়িত্বরত কর্মকর্তা দায়ী হবেন।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে কয়েকজন ওসি ও ইউএনওকে বদলি ও সতর্ক করা হয়েছে। তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ, সতর্ক থেকে এ ধরণের বে-আইনী কার্যক্রম প্রতিহত করবেন।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া যাচ্ছে, যেন বহিরাগতরা নির্বাচনী এলাকায় না থাকে সে ব্যবস্থা নিন। এছাড়া অবৈধ অস্ত্রধারী, হাঙ্গামাকারী ও প্রতিবন্ধকতাকারীকে যেন গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেন। ভোটাগ্রহণ কর্মকর্তা ও মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। কোনো রকম পক্ষপাতিত্ব না করে যেন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন এ আহ্বান থাকছে।
২০১১ সালের চেয়ে হত্যাকা-ের ঘটনা বেড়েছে, বিষয়টির কিভাবে মূল্যায়ন করছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আপনারা যে তথ্য দিচ্ছেন, তাতে সহিংসতা, হত্যাকা- বাড়ছে। আমাদের দেশে সংহিসতার সংস্কৃতি সৃষ্টি হয়ে গেছে। প্রতিটি স্তরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু সমস্ত পথ থাকা সত্ত্বেও তারা মারপিটের পথ বেছে নিয়েছে। এই কালচার থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তবে এটি একদিনে ভালো হবে না। তবে এটা যেন না হয়, সেজন্য আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচন একটি বড় পরিসরের নির্বাচন। আমাদের এতো কর্মকর্তা নেই। তাই অন্য ডিপার্টমেন্টের লোকদের কাজে লাগাতে হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবেও নিয়োগ করতে হচ্ছে। তাদের ওপর আমাদের অতটা কর্তৃত্বও নেই। তাদের কাছ থেকে যে মাত্রার সহযোগীতা চাই, সে মাত্রার সহযোগিতা পাচ্ছি না। এছাড়া নির্বাচন অনেকটা অর্থের ওপর নির্ভর হয়ে গেছে। যার যত বেশি, তার তত সম্ভাবনা। তবে এ থেকে বেরিয়ে আসতে ভোটারদেরই ভূমিকা রাখতে হবে। তারাই সঠিক প্রার্থী বেছে নিলে এ সংস্কৃতির পরিবর্তন হবে।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমিত নিয়ে প্রবেশ করবেন। তবে গোপনকক্ষে প্রবেশ ও ছবি নেওয়া যাবে না। আপনার সঠিক তথ্য প্রকাশ করে সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করবেন। এ সময় তিনি রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদেরও সহায়তা করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, জাবেদ আলী, মো. শাহনেওয়াজ, ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, জনসংযোগ পরিচালক এএসএম আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।