পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেম ঘোষণা গ্রহণযোগ্য নয়’ অভিমত ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ইস্যুতে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আবহান জানিয়েয়েছেন। তিনি বলেছেন, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ডেনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতি দেয়ায় শান্তির বদলে সেখানে অশান্তির সৃষ্টি করবে। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত মুসলিম বিশ্বের কেউ মেনে নেবে না। তিনি বলেন, জেরুজালেম নিয়ে জাতিসংঘের রেজুলেশন আছে। সেই রেজুলেশন অগ্রাহ্য করা কেউ মেনে নেবে না। গতকাল গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ফ্রান্স, তুরস্ক, সউদী আরবসহ অনেক মিত্র দেশের আহŸান উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার প্রতিবাদে সারাবিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
উল্লেখ জেরুজালেম মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদি সব ধর্মের অনুসারীদের কাছেই পবিত্র নগরী। ইসরায়েল বরাবরই জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বলে দাবি করে আসছে। অন্যদিকে পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করতে চান ফিলিস্তিনের নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত বুধবার হোয়াইট হাউজে এক ভাষণে বলেন, জেরুজালেমকে তিনি ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করতে পররাষ্ট্র দপ্তরকে নির্দেশ দিচ্ছেন।
১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যের পেটের ভিতরে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রই জেরুজালেমকে ইসলাইলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিল। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ায় দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধান প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণার’ শামিল হিসেবে অবিহিত করেছে ফিলিন্তিন। ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছে আরব ও ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘ।
সা¤প্রতিক কম্বোডিয়া সফর উপলক্ষ্যে গণভবনে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলন প্রশ্নোত্তর পর্বে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প সুয়োমোটো যে ঘোষণা দিয়েছেন, আমার কাছে মনে হয় এটা ইসলামিক ওয়ার্ল্ডে কারও কাছে গ্রহণযোগ্য না। জাতিসংঘের রেজুলেশনকে এভাবে অগ্রাহ্য করা কিন্তু কেউ বোধ হয় মেনে নেবে না। এটা ফিলিস্তিনের বিষয়ে আমার বক্তব্য। তিনি বলেন, আমরা মনে করি ফিলিস্তিনের একটা অধিকার রয়েছে। তাদের একটা নিজস্ব রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অবশ্যই দিতে হবে। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের (আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ) পরে তাদের যে ভুখন্ডটা এবং যে সীমানাটা তাদের ছিল, যেটা তাদের রাজধানী হওয়ার কথা, সেটাই থাকা উচিৎ। তিনি আরো বলেন, এখানে এভাবে একতরফাভাবে করা মানে, অশান্তি সৃষ্টি করা। যে শান্তি প্রক্রিয়া যেটা আমেরিকাই শুরু করেছিল। এখন এখন অশান্তির পথে ঠেলে দেওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়। ফিলিস্তিনের জনগণ যাতে তাদের ন্যায্য অধিকার পায় সে ব্যাপারে সকল মুসলিম দেশকে তিনি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহাবন জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।