Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

৮ আসামীর সাজা হাইকোর্টে বহাল

কলেজছাত্র মোমিন হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজধানীর কাফরুলের কলেজ ছাত্র মো. কামরুল ইসলাম মোমিন হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদন্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদন্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল বৃহস্পতিবার আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও দন্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। গত বুধবার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শেষে রায়ের দিন রেখেছিলেন আদালত। এক যুগ আগে করা ওই হত্যা মামলায় ২০১১ সালের ২০ জুলাই বিচারিক আদালতের রায়ে ওসি রফিকসহ তিন আসামির মৃত্যুদন্ড এবং পুলিশের তালিকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজসহ ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছিল। কারাবন্দী থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর ওসি রফিক মারা যান। মৃত্যুদন্ড বহাল থাকা অপর দুই আসামি হলেন সাখাওয়াত হোসেন জুয়েল ও তারেক ওরফে জিয়া। এই দুজন পলাতক। বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া ছয় আসামি হলেন হাবিবুর রহমান তাজ, ঠোঁট উঁচা বাবু, জাফর আহমেদ, মনির হাওলাদার, হাসিবুল হক জনি ও শরিফ উদ্দিন। এই ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। ছয়জনের মধ্যে প্রথম দুজন ছাড়া অপর চার আসামি পলাতক।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও সৈয়দা শবনম মুসতারী। আসামিপক্ষে ছিলেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, শেখ বাহারুল ইসলাম ও তৌহিদুর রহমান। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত শফিকুর রহমান।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাফরুলে কমার্স কলেজের ছাত্র মোমিনকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় ওই দিন মোমিনের বাবা বাদী হয়ে মতিঝিল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম রফিকুল ইসলামসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি ওসি রফিকের বিরুদ্ধে নতুন ধারা যুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়। এই মামলায় ২০১১ সালের ২০ জুলাই ঢাকার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায় দেন। রায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদন্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। নিম্ন আদালতের রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে। কারাগারে থাকা দুই আসামি আপিল ও জেল আপিল করেন। এসবের ওপর ১২ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্টে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ