Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাহজালালের নিরাপত্তায় ব্রিটিশ কোম্পানির সাথে চুক্তি

প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণ কাজের জন্য যুক্তরাজ্যের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রেডলাইন অ্যাসিউরড সিকিউরিটির সঙ্গে সিভিল এভিয়েশনের আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়েছে গতকাল। এই চুক্তির আওতায় আগামী দুই বছর শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে রেডলাইন। চুক্তি মোতাবেক সিভিল এভিয়েশন থাকবে সংস্থাটির নেতৃত্বে।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তরে গতকাল (সোমবার) এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে শাহজালাল বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নুরুল ইসলাম ও রেডলাইনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পল মেসন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত রোববার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে রেডলাইনকে দুই বছরের জন্য বিমানবন্দরের কাজে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন গতকাল বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরামর্শক সেবার জন্য দুই বছরে রেডলাইনকে ৭৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, রেডলাইন মূলত আমাদের নিরাপত্তা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবে এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা করার প্রয়োজন তাই করবে। রেডলাইন কার্গো পণ্য স্ক্যানিংক , যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং এবং এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও দেবে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের। তাদের প্রধান কাজ হলো নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা। রেডলাইন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে অবাধে কেউ বিমানবন্দরে বা কার্গো ভিলিজে ফ্রবেশ করতে পারবে না। এমনটি জানিয়েছেন সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, তাদের কাছে কোনো স্বজনপ্রীতি চলবে না। প্রভাবশালী, ভিআইপি, ভিভিআইপি ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে এখন থেকে যাত্রী ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। এতে করে বিনা কারণে বিমানবন্দরে বাড়তি ভিড় ও ঝামেলা কমে যাবে। শুধু তাই নয়, এলোমেলোভাবে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। বিমান যাত্রীদের সারিবদ্ধ হয়ে সুশৃংখলভাবে বিমানবন্দরে প্রবেশ ও বের হতে হবে। এছাড়া বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ ও কার্গো কমপ্লেক্সে চোরাকারবারিদের অবাধ যাতায়াতও বন্ধ হয়ে যাবে।
সিভিল এভিয়েশনের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা গতকাল ইনকিলাবকে বলেছেন, আমরা এখনও বুঝতে পারছি না আসলে কী হতে যাচ্ছে। রেডলাইন কাজ শুরু করলে তাদের কাজের পরিধি দেখার পর বোঝা যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, রেডলাইনকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়ার পর বিমানবন্দরে কর্মরত সিভিল এভিয়েশন, বিমান কাস্টমস ও বাংলাদেশী অন্য সংস্থাগুলোর কর্তৃত্ব কতটুকু থাকবে, নাকি সবাই পরাধীন হয়ে তাদের হাতে জিম্মি হয়ে যাবে তা সময়েই বলে দেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শাহজালালের নিরাপত্তায় ব্রিটিশ কোম্পানির সাথে চুক্তি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ