দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
প্রশ্ন : ফেরেস্তাগণের কিয়াম এর পরিমান কত?
উত্তর : আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ৭০ হাজার রহমতের ফিরিস্তা সর্বদা প্রিয়নবীজির রওজা মোবারকে দাঁড়িয়ে দুরূদ শরীফ এবং সালাম পেশ করে যাচ্ছেন। অথচ আমরা ফিরিস্তাদের অনুকরণে ১০/১৫ মিনিট দন্ডায়মান অবস্থায় দুরূদ সালাম পেশ করলে, বিদ্আত হয়ে যায় বলে এক শ্রেণীর তথাকথিত আলিমরা ফতোয়া দেয়। উল্লেখ্য যে, ফিরিস্তারাও কি তাহলে বিদ্আতে লিপ্ত! (নাউজুবিল্লাহ)। নিম্নে ফিরিস্তাদের জুলুস ও সালাতু সালামের প্রমাণ দেয়া হল। হযরত নোবাইহাতা ইবনে ওহাব (রহঃ) তাবেয়ী হতে বর্ণিত, একদিন হযরত কা’ব আহবার (তাবেয়ী) হযরত উম্মুল মো’মেনীন আয়েশা (রাঃ) এর খেদমতে উপনীত হলেন। অতঃপর ছাহাবায়ে কিরাম তথায় নবী (সঃ) এর শাসনামলের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে লাগলেন, হযরত কা’ব বল্লেন।
এমন কোন দিন উদয় হয়না, যে দিন ৭০ হাজার ফিরিস্তা নাজিল হয়ে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর রওজা মোবারক বেষ্টন করে তাঁদের নূরের পাখা বিস্তার না করে সন্ধ্যাা পর্যন্ত নবী করিম (সঃ) এর উপর দুরুদ ও সালাম পাঠ না করেন, অতঃপর যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে, তখন তাঁরা আকাশে উঠে যান এবং তাঁদের অনুরূপ সংখ্যায় (৭০হাজার) ফিরিস্তা অবতরণ করে তাঁদের মতই দুরুদ ও সালাম পাঠ করতে থাকেন। আবার কেয়ামতের দিন যখন জমিন (রওজা মোবারক) বিদীর্ণ হয়ে যাবে, তখন তিনি ৭০ হাজার ফিরিস্তা দ্বারা বেষ্টিত হয়ে আসল মাকছাদ্ প্রেমিকের সাথে শীঘ্রই মিলিত হবেন (দারমী ও মিশকাত বাবুল কারামত হাশিয়াসহ)। উপরে উল্লেখিত হাদীসে নিম্নেরর বিষয় গুলো খুবই প্রনিধান যোগ্য ঃ (১) কা’ব আহবার রওজা মোবারকে ৭০ হাজার ফিরিস্তা নাজিল হতে নিজে প্রত্যক্ষ করেছেন, এটি তার কারামতের প্রমাণ (লোময়া’৩)। (২) হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) এর উপস্থিতিতে কা’ব এ সাক্ষ্য দিয়েছেন। (৩) রওজা মোবারকে দিনে ৭০ হাজার, ফিরিস্তা দুরুদ, সালাত, সালাম পাঠ করার প্রেক্ষিতে মুসলমানগণও ফিরিস্তাদের অনুকরণে কেয়াম সহকারে দুরুদ ও সালাম পড়ে থাকেন। (আনওয়ারে আফতাবে সাদাকাত)। (৪) রওজা মোবারকে পালাক্রমে ফেরেস্তাদের দিন-রাত ২৪ ঘন্টা মিলাদ ও কিয়াম হয়। (৫) নবী করিম (দঃ) কে সম্মান প্রদর্শনার্থে দাঁড়ানোর জন্য চোখের সামনে উপস্থিত থাকা শর্ত নহে। কেননা ফেরেস্তাদের চোখের সামনে শুধু রওজা মোবারক পরিদৃষ্ট ছিল। (৬) কিয়ামত দিবস পর্যন্ত কেয়াম সহ দুরুদ সালামের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।