পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হালদা পাড়ে মানুষের মাঝে উৎসাহ ও উদ্দীপনা : এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২১২ কোটি ৮ লাখ : কাজ করবে সেনাবাহিনী
রাক্ষসী হালদা নদীর করাল গ্রাস থেকে রক্ষা পাচ্ছে হালদার তীরবর্তী বসবাসরত কয়েক হাজার পরিবার। আগামী ৯ ডিসেম্বর হালদার ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করা হবে। সম্প্রতি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় হালদা নদীর ভাঙন নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে অবশেষে প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি গোচর হলে গত ৪ প্রিল তিনি একনেকের এক বৈঠকে হালদা নদীর হাটহাজারী ও রাউজান সীমানা হালদার উভর তীর রক্ষাকল্পে ‘তীর সংরক্ষণ’ কাজের জন্য তিনি ২১২ কোটি ৮ লাখ টাকা অনুমোদন দেন। উক্ত প্রকল্পই জিওবি (সরকারি) অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। এই কাজটি সম্পন্ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্প্রতি স্মারক স্বাক্ষর হয়। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যেগকে স্বাগত ও সাধুবাদ জানিয়েছেন হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার হালদা নদীর তীরবর্তী বসবাসরত অসহায় মানুষরা।
ত্রিপুরা রাজ্যের উদয় নগরের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হওয়া হাটহাজারী ও রাউজান এই দুই উপজেলার সীমানার উপর প্রবাহিত এই হালদা নদীর পাড় দীর্ঘ দিন ধরে ভাঙতে থাকে। নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে হালদা নদীর আশপাশের কয়েকশ’ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পাশাপাশি দুই উপজেলার কয়েকহাজার পরিবারের ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ এমনকি কবর স্থান পর্যন্ত বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও বহু পরিবারের তাদের বাবদাদা আমলের বসতভিটা পর্যন্ত হালদার করাল গ্রাসে হারিয়ে গেছে। এসব পরিবারগুলো ভিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে। দীর্ঘ দিন পর হালদার তীরবর্তী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের ছোয়া লেগেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। হালদা পাড়ের বাড়ি ঘর রক্ষার্থে দক্ষিণ হাটহাজারী মদুনাঘাট হতে শুরু করে উত্তর হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার সীমানা পর্যন্ত এই তীর সংরক্ষণ কাজ হবে বলে জানা গেছে। গত ৪ এপ্রিল ঢাকার শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। আকবরিয়া হতে নাজির হাট পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার হালদার পাড়ে বেড়িবাধ নির্মাণ করা হবে। তার মধ্যে ৮টি স্পটে জায়গা উচু করা হবে। এ ৪টি স্পটের জন্য ৮ কোটি টাকা বারাদ্দ দেওয়া হয়। এই বেড়ি বাঁধের ওপর সিএনজি টেক্সি চলাচলের ব্যবস্থাও থাকবে। আগমী ৯ ডিসেম্বর হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট এলাকায় হালদা নদী ভাঙন রোধকল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে হালদার তীর সংরক্ষণ কাজের উদ্বোধন করা হবে। পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ একাজের উদ্বোধন করবেন। আরো উপস্থিত থাকবেন রাউজান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ বিএম ফজলে করিম চৌধুরী (এমপি), মহিউদ্দীন খাঁন বাদল এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার ও সংলিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।