পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেইসবুকে পরিচয়, সেখান থেকে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব থেকে গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। সেই সম্পর্কেই শুরু মন দেওয়া নেওয়া। আর সেই মনের টানেই বাঙালী তরুনের কাছে ছুটে আসে ইন্দোনেশিয়ান এক সুন্দরী তরুনী। এমনই ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের পুরান বাবুর্চি বাড়ি গ্রাম এলাকায়। তরুনীর নাম নিকি উল ফিয়া। সে ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের মি. ইউ লি আন থো এর মেয়ে। ওই তরুনী একটি বেসরকারী বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বাবাও একজন চকুরিজীবী। তরুনের নাম মো. ইমরান হোসেন, উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের পুরান বাবুর্চি বাড়ি গ্রামের দেলোয়র হোসেনের পুত্র। ইমরান পটুয়াখালী সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
ইমরান বলেন, প্রায় এক ব্ছর আগে ফেইসবুকের মাধ্যমে ইন্ধোনেশিয়ান মুসলিম পাবিারের সন্তান নিকি উল ফিয়ার সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের মাধ্যমে বন্ধুত্বের এক পর্যায়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। নিকি উল আমার দেশ ও আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আমার কাছ থেকে জানে। আমার পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনে আমার সাথে সম্পর্কের স্থায়ীত্ব রুপ দিতে চায়। তাই সে গত ১ ডিসেম্বর রাজধানীর হযরত শাহ জালাল বিমানবন্দরে এসে নামলে আমি তাকে আমার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়ায় নিয়ে আসি।
নিকি উল ফিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ইমরানের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি তার সাথে বিবাহে আবদ্ধ হতে চান। বিষয়টি তার মা বাবকে জানিয়েই এসেছেন। তিনি এ দেশের মানুষের আতিথীয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ। ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখানে এসে নিকি উল ফিয়া ফেইস বুকের মাধ্যমে তার বাবা মায়ের সাথে কথা বলেছে। এখন বিয়ের সব কিছুই নির্ভর করবে নিকি উল ফিয়ার ইচ্ছার ওপর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।