পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে কমেছে
চলতি অর্থবছরের নভেম্বর মাসেও বেড়েছে প্রবাসী আয়। এ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১২১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার; যা নভেম্বর মাসের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ বেশি। এটি গেল অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় সাড়ে ২৭ শতাংশ বেশি। এ সময়ে বেসরকারি ও বিদেশী খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স বাড়লেও কমেছে সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর। এদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ।
দীর্ঘদিন ধরেই রেমিট্যান্সের প্রবাহে নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত অর্থবছরেই রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ। এর পিছনে বেশ কয়েকটি কারণকে দায়ী করছেন সংশ্লিস্টরা। প্রথমত, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দীর্ঘ অস্থিরতা ও তেলের দর পড়ায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের আয় কমে গেছে। এতে তারা দেশে কম পরিমাণের অর্থ পাঠাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, দীর্ঘদিন যাবত্ টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য কম থাকায় প্রবাসীরা আগের মতো অর্থ পাঠাচ্ছেন না। তাছাড়া ব্যাংকের তুলনায় খোলা বাজারে ডলারের মূল্য বেশি থাকায় ভিন্ন উপায়ে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে ঢুকছে। তৃতীয়ত: মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহারে হুন্ডিওয়ালারা অবৈধ উপায়ে টাকা দ্রুত প্রবাসীর আত্মীয়ের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। তবে চলতি অর্থবছরের শুরুতে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে ১১১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার ও আগস্টে ১৪১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে। তবে সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স কমে দাঁড়ায় মাত্র ৮৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। তবে অক্টোবরে রেমিট্যান্স বেড়ে হয় ১১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর নভেম্বরে তা আরও বেড়ে হয়েছে ১২১ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এটি অক্টোবর মাসের চেয়ে ৫ কোটি ১৯ লাখ ডলার বা ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে ২৬ কোটি ৩৩ লাখ ডলার বা ২৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদনে আরো দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৭৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৫২০ কোটি ৮১ লাখ ডলার। সে হিসেবে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে ৫৬ কোটি ডলার বা প্রায় ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রীয় খাতের ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৬ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এ মাসে বিশেষায়িত খাতের ব্যাংক দুটির মাধ্যমে এসেছে প্রায় ৯৯ লাখ ডলার। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৯২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৬-১৭ দেশে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ডলার; যা গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল। এটি আগের অর্থবছরের তুলনায় সাড়ে ১৪ শতাংশ কম ছিল। আগের অর্থবছরে রেমিটেন্স আসে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার। এদিকে, প্রবাসী আয়ে মন্দাভাবে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিস্ট সব পক্ষ। তাই প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে সম্প্রতি সময়ে নানান উদ্যোগও নিয়েছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।