Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিলাদ পালনের পুরষ্কার আল্লাহ দিবেন : রাসূল (দ.)’র সুপারিশ নসিব হবে-সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিলাদুন্নবী (দ.) ও শান্তি মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) এর নেতৃত্বে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষ্যে লাখো নবী প্রেমী জনতার উচ্ছ¡াসমুখর অংশগ্রহণে রাজধানীতে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়ার ব্যবস্থাপনায় ৩ ডিসেম্বর রবিবার সকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে জশনে জুলুস শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আন্জুমান কেন্দ্রীয় সভাপতি হযরত শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)। বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহজাদা সৈয়দ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী।
ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও শান্তি মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে হযরত শাহ্সূফী সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, মানবতার ত্রাণকর্তা মহানবী (দ.)। অস্ত্রের শক্তি ও জবরদস্তির মাধ্যমে নয়; বরং দয়া, মহানুভবতা ও ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করে আরবের বুকে ইসলামের ঝান্ডা উড়িয়েছিলেন তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে আজ সভ্যতার অগ্রগতির যুগেও মানবতার অবমাননা ও নিগৃহ-বঞ্চনা চলছে। হানাহানি, যুদ্ধ-সংঘাতে শান্তিকামী মানুষ আজ সত্যিই বিপর্যস্ত ও অসহায়। এ থেকে পরিত্রাণের একটাই পথ মহানবী (দ.)’র জীবনাদর্শের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ। তিনি বলেন, বহুত্ববাদী সমাজ আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্য। এই দেশে সবাই মিলে মিশে থাকবে, কেউ নিজেকে অসহায় ভাববেনা- এটাই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সীমাহীন নিপীড়ন ও বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে তিনি এই বর্বর দেশটির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ কর্তৃক অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের আহ্বান জানান।
শান্তি মহাসমাবেশে মাওলানা মুফতী বাকি বিল্লাহ আল্-আযহারীর পরিচালনায় অতিথি ও আলোচক ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আনিসুজ্জামান, আমরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ, আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব সূফীজমের সম্মানিত উপদেষ্টা শায়খ ড. আহমেদ তিজানী বিন ওমর, তিউনেশিয়া ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব গেøাবাল সিকিউরিটির প্রেসিডেন্ট শায়খ ড. মাজেন শরিফ, মালয়েশিয়া ওয়ার্ল্ড সূফী ফোরামের প্রেসিডেন্ট শায়খ আব্দুল করীম, ইন্দোনেশিয়ার শায়খ আলী মাহফুজান আব্দিল্লাহ, ইয়েমেনের আননূর সেন্টার ফর স্ট্যাডিজ এন্ড রির্সাস, হাজরামাউতের পরিচালক শায়খ জায়েদ বিন আব্দুর রহমান বিন হোসাইন বিন ইয়াহইয়া, আন্জুমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খান, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব কাজী মুহাম্মদ মহসীন চৌধুরী প্রমুখ। আলোচনা শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।
মাহফিলে বিদেশী মেহমানগণ বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)কে যারা বিদায়াত বলে তার জবাব পবিত্র কুরআন ও রাসূল (দ.) জবানে রয়েছে। রাসূল (দ.) নিজেই প্রতি সোমবার জন্মদিবস পালন করতেন এবং রোজা রাখতেন। দয়াল নবীর জন্মদিন পালন করার জন্য কুরআনে নির্দেশ রয়েছে। বিভ্রান্তকারীদের মুখোশ ক্রমেই উন্মোচন হচ্ছে। অপরদিকে মিলাদুন্নবী (দ.) পালনকারীদের কর্মপন্থা, কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী বেড়ে চলেছে। বক্তাগণ বলেন, ঈমান মজবুত করতে রাসূল (দ.)কে সর্বোচ্চ মহবত করতে হবে। সাহাবাগণকে (রা.) ভালোবাসতে হবে এবং অলী গাউছ কুতুব ও সালেহীনদের সংশ্রবে থাকতে হবে। তারা বলেন, রাসূল (দ.)’র মিলাদ পালনের পুরুষ্কার রোজ কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ দিবেন, আর রাসূল (দ.) সুপারিশ আমাদের নসিব হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ