পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মোবাইল চুরির অভিযোগে আরমান (১২) ও হাকিম (৯) নামের দুই শিশুকে গাছে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাড়াতলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতিত আরমান দক্ষিণ চরপাড়াতলা গ্রামের মো. খুর্শিদ মিয়া ও হাকিম একই গ্রামের আবদুর রশিদের পুত্র। ওই দুই শিশু পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আরমান ও তার পরিবার জানায়, রোববার সকাল ৬টার দিকে একই গ্রামের আবদুল কদ্দুছের পুত্র রাছেল মিয়া মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে আরমানকে তার ঘর থেকে ধরে নিয়ে যায়। নতুন কুঁড়ি বিদ্যানিকেতন স্কুলের সামনে তিন রাস্তার মোড়ে একটি কাঁঠাল গাছে বেঁধে রাছেল ও তার সহযোগি খোকন, পলাশ, রিপন, আনিছ, আবুল, স্বপন, কামাল, হুমায়ূন তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। একই অভিযোগে তার খালাত ভাই হাকিমকেও বাড়ি থেকে ধরে এনে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পেটায় ও উপরে তুলে মাটিতে আছার দেয়। তাদের ডাকচিৎকারে হাকিমের বড় ভাই নয়ন মিয়া ও মা জাহানারা খাতুন এগিয়ে এলে তাদেরকেও বেধড়ক পেটায়। কোন উপায় না দেখে জাহানারা খাতুন দৌড়ে পাকুন্দিয়া থানায় গিয়ে পুলিশ নিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আহত আরমান ও হাকিমকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।
আহত শিশু হাকিমের মা জাহানারা খাতুন বলেন, ছেলেকে গাছে বেঁধে মারপিট করা হচ্ছে শুনে দৌড়ে গেলে রাছেল ও তার সহযোগীরা আমাকেও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠি দিয়ে পেটায়। আমরা গরীব বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের উপর বিভিন্ন সময় ওরা অত্যাচার নির্যাতন করে। আমরা গরীব বলে কি এর কোন বিচার পাব না? এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দিনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কিশোরগঞ্জ থাকায় এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।