পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : বেলারুস বাংলাদেশে ভারী যানবাহন এবং নির্মাণ যন্ত্রপাতি উৎপাদনে যৌথ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সে দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান আমকদর বাংলাদেশের সার্বিক কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার যান্ত্রিকীকরণে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ারও আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।
বেলারুস জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ও আমকদরের প্রধান সাকোটিন আলেকজান্ডারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত সে দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তা প্রতিনিধিদল গতকাল শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা জানান। বরিশাল শহরের বগুড়া রোডে অবস্থিত শিল্পমন্ত্রীর বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ইমতিয়াজ হোসেন চৌধুরী, বেলারুস প্রতিনিধিদলের সদস্য সুলিয়াক সিয়ারাই, পজনিয়াক আন্দ্রেই এবং বাংলাদেশের আরএমএম গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায় ও প্রকৌশলী কিশোলয় পাল উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের শিল্প খাতে বেলারুসের সরাসরি এবং যৌথ বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা শিল্পমন্ত্রীকে জানান, আমকদর বেলারুসের একটি খ্যাতনামা রাষ্ট্রায়ত্ত ভারী যন্ত্রপাতি ও যানবাহন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এর উৎপাদিত ট্রাক্টর, ভারী ট্রাক, খনন, কৃষি ও সড়ক নির্মাণ যন্ত্রপাতি বেলারুস ছাড়াও সিআইএসভুক্ত দেশগুলোতে বিপুল পরিমাণে বিক্রয় হচ্ছে। প্রতি বছর এ প্রতিষ্ঠান ৫ হাজারেরও বেশি ভারী যন্ত্র ও যানবাহন উৎপাদন করছে। তারা বাংলাদেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, বায়ো ফার্টিলাইজার উৎপাদন, মহাসড়ক ও বিমানবন্দর নির্মাণ, ফার্নিচার এবং সেবা প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত শিল্প খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানান। শিল্পমন্ত্রী তার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেলারুস সফরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান। তিনি একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের পুনর্গঠনে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশে ভারী যানবাহন এবং নির্মাণ যন্ত্রপাতি উৎপাদনে তাদের বিনিয়োগ আগ্রহকে স্বাগত জানান।
আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রæত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়নে বাংলাদেশ নি¤œমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দেশে পদ্মা সেতু, বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে উড়াল সেতুসহ বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলে দেশে হালকা ও ভারী যানবাহনের চাহিদা বেড়েছে। বাংলাদেশে নির্মাণ যন্ত্রপাতি ও ভারী যানবাহন উৎপাদন খাতে যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে এলে উভয় দেশ লাভবান হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সরকার আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। কৃষি উৎপাদন সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী শিল্প কারখানাকে কর রেয়াতসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এ খাতে বিনিয়োগ করলে বেলারুসের উদ্যোক্তাদেরও একই সুযোগ দেয়া হবে। তিনি বলেন, উসমানিয়া গøাস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেড, কর্ণফুলী পেপার মিলস্, চিনিকলসহ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়নে বেলারুসের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে যৌথ বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।