পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট আকারে প্রকাশে সরকারকে আবার এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নতুন সময় অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারকে এই গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
আজ রবিবার সকালে রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে গেজেট প্রকাশে সময় চেয়ে আবেদন ও এর ওপর শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এরপর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে গেজেট প্রকাশের নতুন দিন ধার্য করেন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করতে বারবার সময় দিয়ে আসছেন আদালত। কিন্তু কয়েক দফা সময় নিয়েও গেজেট প্রকাশে ব্যর্থ হয় সরকার। নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর তলবও করেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার চূড়ান্ত খসড়া এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের পর সেটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। এরপর রাষ্ট্রপতি এই বিধির গেজেট জারি করবেন।
বিধিমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের দীর্ঘ টানাপড়েন চলে। শৃঙ্খলাবিধির গেজেট জারিতে সরকার অনেকবার সময়ও নেয়। সেই টানাপড়েন নিরসনে গত ১৬ নভেম্বর আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক হয়। এ বৈঠককে ফলপ্রসূ দাবি করে আইনমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, যেসব মতবিরোধ ছিল সেগুলো নিরসন করেছি। মতপার্থক্য দূর করেছি। আমরা শৃঙ্খলাবিধির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছি।
এরপর বিধিমালার একটি খসড়া গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়। সুপ্রিম কোর্ট খসড়া পাওয়ার পর মতামত দিয়ে তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। গেজেট জারির বিষয়ে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু আজ সেই নির্ধারিত দিন পর্যন্ত গেজেট জারি না হওয়ায় আবার এক সপ্তাহ সময় বাড়ালেন আদালত।
উল্লেখ্য, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ৭ নম্বর নির্দেশনায় জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের জন্য পৃথক শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ বাস্তবায়ন হলেও এখনও পর্যন্ত বিচারকদের জন্য আলাদা শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে তার গেজেট জারি করা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।