Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সবজি মূল্যে নেই মৌসুমের প্রভাব

প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শীতকালিন সবজির মৌসুম এখনো শেষ হয়নি। দেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়ী গাড়ী সবজি আসছে রাজধানীর কাঁচাবাজরে। আশানুরুপ দাম না কমে মাস খানিক স্থিতিমীল থাকার পরে পুরো মৌসুমেই বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। এদিকে সরকারের ঘোষণার এক সপ্তাহ পার হলেও খুচরা বাজারে কমছে না ভোজ্যতেলের দাম। এছাড়া নতুন ধান কৃষকের ঘরে, তবুও দাম কমছে না চালের দাম। সর্বাধিক চাহিদার দুই পণ্যের দাম প্রান্তিক এলাকা জিরো সর্বনিম্ন হলেও প্রভাব নেই রাজধানীর বাজারে। ফলে এই দামের তফাতকে সিন্ডিকেটের কারসাজি হিসাবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও ব্যবসায়িরা বলছেন সবজির মৌসুম শেষ পর্যায়ে তাই দাম বাড়তি, আগামীতে দাম বাড়তে পারে। আর ধান উঠা শুরু হলেও এখেেনা নতুন চালের সরবরাহ সেইভাবে শুরু হয়নি তাই চালের দাম কমতে আরো দুই সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে ঘুরে দেখা চিকন চাল ছাড়া অধিকাংশ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চালবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গুটি চাল ২৬ থেকে ২৮ টাকা, স্বর্ণা ২৮ থেকে ৩০ টাকা, পাইজাম ৩১ থেকে ৩৩ টাকা, আঠাশ (নতুন) ৩৫ টাকা, আঠাশ (পুরান) ৩৯ থেকে ৪২ টাকা, উনত্রিশ চাল ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা, মিনিকেট ৪৬ থেকে ৫০ টাকা এবং নাজিরসা ৪৮ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম গত সপ্তাহের মতোই। যদিও কৃষকের ঘরে ধান উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে কমে গেছে ধানের দাম। যার প্রভাব পড়ার কথা চালের দামে কিন্তু কমার পরিবর্তে গত সপ্তাহে চিকন চালের দাম আরেক বেড়েছে। এই গত রয়েছে স্থিতিশীল বাজার। তবে বাজারে উনত্রিশ চালের দাম গত সপ্তাহের থেকে কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে উনত্রিশ বিক্রি হয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায়।  
হাজী রাইস ট্রেডার্সের মালিক ফিরোজ আলম জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় নাজিরশাইল বস্তায় এক থেকে দেড়শ’ টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে।
এদিকে, প্লাস্টিকের বস্তার পরিবর্তে পাটের বস্তায় চাল বিক্রির ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হলে পাইকারি চাল বিক্রেতারা গত দুই মাস আগে থেকেই চালের বস্তা প্রতি ২৫ টাকা দাম বাড়িয়ে দেন। তবে গত সপ্তাহ থেকে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কমেছে কেজি প্রতি ১০ টাকা।
এদিকে গত গত ১৪ জানুয়ারি ভোজ্য তেলে দাম কমানোর ঘোষণা দেন ব্যবসায়িরা। যা ১৬ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর এক সপ্তাহ পার হলেও খুচরা বাজারে দাম কমেনি। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ৮৮ টাকায়, পামঅয়েল ৬০ টাকায় ও সুপার পামঅয়েল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  যদিও পাইকারি বিক্রেতারা প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন দিচ্ছেন ৭৪ টাকায়।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, খোলা সয়াবিন তেল খুচরা বাজারে ৮৪ থেকে ৮৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে, গত সপ্তাহে যা ছিল ৮৫ থেকে ৮৬ টাকা। অথচ দাম কমানোর পরে লিটার প্রতি ৫ টাকা কমার কথা থাকলেও কমেছে ১/২ টাকা।
গত সপ্তাহ থেকে রাজধানীর বাজারে শীতের সবজি ২ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি, পাতাকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা গত সপ্তাহের থেকে ২০ টাকা বেশি দামে এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ৫ টাকা কেজি প্রতি বেড়ে জাতভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে শালগমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকা।
এ সপ্তাহে বাজারভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৮ থেকে ৩০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
রাজধানীতে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে বলেও জানান সবজি বিক্রেতারা।
গত বছরের শেষ দিকে মাংসের বাজারে কিছুটা চড়া ভাব দেখা দিলেও নতুন বছরে তা কিছুটা কেটেছে। বাজারে গরুর গোসত ৩৮০ টাকায়, খাসির গোসত ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ টাকায় এবং পাকিস্তানি মাঝারি সাইজের মুরগির জোড়া ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাতিহাঁসের জোড়া ৫০০ টাকায়, চীনাহাঁসের জোড়া ১১০০ টাকায় ও রাজহাঁস প্রতিটি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় শোল ৫০০ টাকা ও মাগুর ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ছোট শিং পাওয়া গেছে ৪০০ টাকায়, ৮০০ গ্রামের ইলিশের জোড়া পড়েছে ৯০০ টাকা এবং প্রতি কেজি রূপচাঁদা ৯০০ টাকা। বড় কাতল ৪০০ টাকা, রুই ৩৫০ টাকা ও বোয়াল ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সবজি মূল্যে নেই মৌসুমের প্রভাব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ