পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবু তালহা সজীব, শেকৃবি সংবাদদাতা : একদিকে জনসংখ্যার বৃদ্ধি অন্য দিকে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এই অধিক জনসংখ্যাকে খাদ্যের যোগান এবং এদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে বাড়াতে হবে উৎপাদনের পরিমাণ। তাই চাহিদা পূরণের জন্য ভিন্নধর্মী খাদ্য উৎপাদন আজ জরুরি হয়ে পড়েছে। এই চিন্তাকে সামনে রেখেই জমিতে উন্নত প্রযুক্তির হাইড্রোফনিক চাষের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন করা যায় কিনা সেই চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তেমনি একজন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুর রহমান। তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সাইন্সেস (বাস) ও ইউএসডিএ’র একটি প্রকল্পের অধীনে বাংলাদেশের চাষিদের জন্যে হাইড্রোফনিককে লাভজনক করতে কাজ করে যাচ্ছেন। সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুর রহমানের সাথে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এস-এর শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম।
হাইড্রোফনিক হলো মাটি ছাড়া ফসল উৎপাদনের একটি পদ্ধতি। যার মাধ্যমে প্লাস্টিকের বালতি, পানির বোতল, মাটির পাতিল ইত্যাদি ব্যবহার করেও বাড়ির ছাদ, বারান্দা এবং খোলা জায়গায় অনেক কম খরচে ফসল উৎপাদন করা যাবে। এক্ষেত্রে পাত্রের মধ্যে গাছের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানগুলো পরিমিত মাত্রায় সরবরাহ করতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যেমন- জাপান, তাইওয়ান, চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে এই পদ্ধতিতে সবজি ও ফল উৎপাদন করা হলেও সম্প্রতি আমাদের দেশেও এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। হাইড্রোফনিক পদ্ধতিতে মাটি ছাড়াই টমেটো, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, ক্যাপসিকামসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করা সম্ভব। গাঁদা, গোলাপ, অর্কিড, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষও করা যাবে। একই জায়গাতে অনেকগুলো লেয়ার করে চাষ করা যায়, যে কারণে একই জমিতে ৯ গুণ পর্যন্ত উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। এ বিষয়ে শেকৃবির সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ‘আমি আগামী বছরের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাষিদের হাইড্রোফনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের প্রশিক্ষণ দিবো। আশা করি চাষীরা এটিকে খুব দ্রুত গ্রহণ করবে। অতিদ্রুত এই প্রযুক্তিতে চাষাবাদ শুরু হবে।’ শহরের বাসাবাড়িতে চাষাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতিতে শহরের প্রতিটি বাড়িতে সবাই সবজীর চাষ করতে পারবেন। বসত বাড়ির যে কোন জায়গাতে (ডাইনিং রুম, বেলকনি, বাসার ছাদেও) এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা যাবে।’ আলো না পড়া জায়গাতে চাষের ব্যাপারে এ গবেষক বলেন, ‘এলইডি লাইটের আলো নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই পদ্ধতিতে ডাইনিং এবং যেখানে সাধারণত আলো পড়ে না সেখানেও চাষ করা যাবে।’ এ বিষয়ে শিক্ষার্থী মো: মাজহারুল ইসলাম বলেন, হাইড্রোফনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে একই জমিতে ৯ গুণ পর্যন্ত উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবজি জমিতে চাষ করা সবজির চেয়ে সুস্বাদু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।