পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুসলিম দেশগুলোর সন্ত্রাস বিরোধী সামরিক জোট সন্ত্রাসীদের অর্থের উৎস বন্ধের শপথ গ্রহণসহ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক, যোগাযোগ, অর্থায়ন ও সামরিক ফ্রন্টের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।
‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ’ থিমের আওতায় রবিবার সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদে সন্ত্রাস বিরোধী ইসলামী সামরিক জোটের (আইএমসিটিসি) মন্ত্রী পর্যায়ের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদস্য ৪০টি দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা এতে যোগ দেন। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নুরুদ্দিন কানিকলি সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই ও সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন বন্ধের পন্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। মন্ত্রীরা সন্ত্রাসীদের অর্থের উৎস বন্ধ করতে আর্থিক নীতি, আইন ও আর্থিক নিয়ন্ত্রণ প্রচলনের আহবান জানান।
সভার পর প্রকাশিত চ‚ড়ান্ত ঘোষণায় জোট সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবেলায় যৌথ প্রচেষ্টা, সংগঠিত সমন্বিত পদক্ষেপ ও ব্যাপক কৌশলগত পরিকল্পনার গুরুত্বের উপর জোর দেয়া হয়।
সামরিক জোটের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা বলেন, উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় অবশ্যই সম্ভাব্য সকল পন্থা ব্যবহার করতে হবে।
তারা সন্ত্রাসবাদ সরাসরি মোকাবেলায় শিক্ষা ও জ্ঞানের ভ‚মিকার গুরুত্ব উল্লেখ করেন।
তারা মধ্যপন্থী ইসলামের সত্য প্রতিষ্ঠায় সঠিক ইসলামী ধারণার গুরুত্বের উপরও জোর দেন যা মানব প্রকৃতি ও অভিন্ন মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
মন্ত্রীগণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও তাদের কর্মসূচি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে মিডিয়ার গুরুত্ব ও ভ‚মিকার উপর জোর দেন।
ঘোষণায় বলা হয়, আমরা সন্ত্রাসীদের প্রভাব খর্ব করতে তাদের ভিত্তি ধ্বংসের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের প্রচারণা মোকাবেলায় মিডিয়ার সাথে কাজ করব। এতে আরোা বলা হয়, সন্ত্রাসীদের তাদের বার্তা প্রচারে মিডিয়ার করতে দিতে বাধা দিতে হবে।
তথ্য বিনিময়
ইসলামী সামরিক জোটের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা তথ্য ও উপাত্ত বিনিময়ে অধিকতর সমন্বয় এবং কারিগরি ও নিরাপত্তা সহযোগিতার আহবান জানিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা হস্তান্তরের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
চূড়ান্ত ঘোষণায় সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো যাতে পুনর্গঠিত হতে না পারে সে জন্য তাদের শক্তিহীন, ছত্রভঙ্গ, নির্মূল ও সুবিধা বিহীন করতে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে সউদী আরবের উদ্যোগে ৪০ জাতি এ জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। অন্যদের মধ্যে তুরস্ক, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও মিসর এ জোটে রয়েছে।
মে মাসে রিয়াদে আরব-যুক্তরাষ্ট্র-ইসলামী সম্মেলনের এক ঘোষণায় বলা হয়, ইসলামী সামরিক জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে অভিযানে সমর্থন দিতে ৩৪ হাজার সৈন্য মোতায়েন করতে প্রস্তুত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।