পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719784463](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি চারজন মানুষের মধ্যে একজন ক্ষুধার্ত।’ গত ১০ বছরে দেশে ক্ষুধার্ত মানুষের অবস্থা সূচক ৩ দশমিক ৭-এ নেমেছে বলে জানিয়েছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা। গতকাল রাজধানীর কৃষি গবেষণা মিলনায়তনে কৃষি অর্থনীতি সমিতির ১৫তম জাতীয় সম্মেলন ও সেমিনারে এ তথ্য উঠে এসেছে। অনুষ্ঠানে মানুষকে পুষ্টি ও মানসম্মত খাদ্য দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে প্রতি ৯ জনের একজন অভূক্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়। এ দেশে প্রতিদিন ৫ হাজার ২৪৭ জন শিশু জন্ম নিচ্ছে। সেই হিসাবে প্রতি বছর ১৯ লাখ ২৫ হাজার লোক যুক্ত হচ্ছে। তাই আমরাও পুষ্টি ও মানসম্মত খাদ্য দিতে পারি না।
সেমিনারে একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের কৃষিতে রূপান্তর বিষয়ে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ইনস্টিটিউশন্স অ্যান্ড পলিসিস, ইন্টারন্যাশনাল ক্রপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর সেমি-এরিড ট্রপিকসের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ড. উত্তম দেব।
প্রবন্ধে বলা হয়, ১৯৯০ সালে দেশের প্রতি দুইজনে একজন (অর্ধেক) মানুষ ক্ষুধার্ত। বর্তমানে এ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি চারজনে একজন। একে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে অভিহিত করা হয়। উত্তম দেব বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ক্ষুধার্ত মানুষের অবস্থা সূচক ৩ দশমিক ৭-এ নেমেছে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও তার প্রয়োগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। তবে এ কাজ সরকার একা করতে পারবে না বলে জানান মন্ত্রী। এজন্য কৃষিবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণকে কৃষি সম্পৃক্ত প্রকল্প গড়ে তুলতে হবে। ৪০ বছর আগে এদেশে কৃষি উৎপাদন ছিল ১১ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এখন মোট কৃষিজ উৎপাদন ৩৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন।’
কৃষিকে অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তার কারণে নানামুখী খাবার সরবরাহ করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর খাদ্যের উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ, জনসংখ্যা বেড়েছে দুইগুণ। ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক প্রতি আয়ের কার্যকারিতার কারণে ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় যে প্রবৃদ্ধি ছিল, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রবৃদ্ধি অপেক্ষাকৃত কম হারে হবে এটাই স্বাভাবিক।’ মন্ত্রী বলেন জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও কৃষিকে অটোমেশন করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।