পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সরকারের গৃহীত সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম দেশের প্রান্তিক জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁও বন ভবনে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রকৃতি ও পরিবেশ-প্রতিবেশ স্বাভাবিক রেখে এ ধরণীকে প্রাণিকুলের বাসযোগ্য রাখতে প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, বৃক্ষ অমূল্য সম্পদ। জীবন-জীবিকা ও পরিবেশের জন্য বৃক্ষ অপরিহার্য। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বৃক্ষ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে রাখছে। পৃথিবীর প্রাণিকুল বস্তুত উদ্ভিদরাজির উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল।
পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। অধিক জনসংখ্যা ও দারিদ্র্য আমাদের বনাঞ্চল সংরক্ষণের প্রধান অন্তরায়। এ প্রেক্ষাপটে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বৃক্ষ সম্পদ বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। সামাজিক বনায়ন বাংলাদেশের বন ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসতিয়াক আহমদ বলেন, বন সেক্টরের উন্নয়নে আমরা আমাদের সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো। এ প্রেক্ষাপটে বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যায় আরো সচেষ্ট হওয়ার জন্য তিনি বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আহŸান জানান। প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসতিয়াক আহমদ, অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন সামাজিক বনায়নের অংশীদাররা, বন অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই অনুষ্ঠানে ঢাকা বন বিভাগের গাজীপুর জেলার ১৫১ জন উপকারভোগীর মধ্যে দুই কোটি ৫২ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে ও প্রান্তিক এলাকার দরিদ্র জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এক উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখছে। সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় এ যাবৎ মোট ছয় লাখ ৫২ হাজার ৯৫৫ জন উপকারভোগী সম্পৃক্ত রয়েছে, যার মধ্যে মহিলা উপকারভোগীর সংখ্যা এক লাখ ২৯ হাজার ৫০৭ জন। ইতোমধ্যে সারাদেশে এক লাখ ৫১ হাজার ৯১৫ জন উপকারভোগীকে সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশ বাবদ প্রায় ২৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ৭৭ হাজার ৯৬৮ টাকা প্রদান করা হয়েছে। সরকারি রাজস্ব আয়ের পরিমাণ প্রায় ৩৩১ কোটি আট লাখ ৭৯ হাজার ২৬৫ টাকা। এ ছাড়া সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমকে টেকসই করার জন্য গঠিত ট্রি ফার্মিং ফান্ড বা বৃক্ষরোপণ তহবিলে ইতোমধ্যে প্রায় ৩৫ কোটি এক লাখ ৯৩ হাজার ৩০৪ টাকা জমা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ তহবিল থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় আবর্তের বাগান সৃজন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি কোষাগার থেকে কোনো টাকা ব্যয় করা হচ্ছে না। চলতি বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালিয়াকৈর উপজেলার কদবাণু বেগমের হাতে সাত লাখ ৭২ হাজার ২০০ টাকার চেক তুলে দেন। যা ছিল ২০১৭ সালের একক সর্বোচ্চ লভ্যাংশের টাকা। বর্তমানে সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশের চেক বিতরণ একটি স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে পরিণত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।