পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের গণতন্ত্র আবারো গভীর খাদের কিনারে গিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফের গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় দু:শাসনের করাল গ্রাসে গিলে ফেলা হয়েছে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা। গণতন্ত্রের শত্রুরা গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে গতকাল (রোববার) গণমাধ্যমে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম জিয়া বলেন, শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সামরিক শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় নাম। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। তার শাহাদৎ বার্ষিকীতে আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। তিনি বলেন, একনায়কতান্ত্রিক দু:শাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়েই শহীদ হয়েছেন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। গণতন্ত্রের জন্য তার এই সর্বোচ্চ আত্মদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ডা. মিলন আমাদের অবিরাম প্রেরণার উৎস। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা অপহরণ করা হয়েছে। মানুষের জীবন এখন দুর্বিষহ। মানুষের কথা বলা ও ভোটের অধিকার হরণ করে অতীতের বাকশাল এখন নবসংস্করণে ভয়াল রূপ ধারণ করেছে। গণতন্ত্র ধ্বংসকারী অপশক্তিগুলোর চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভীতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। আর তাহলেই ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
ভিন্ন এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ ডাঃ মিলন দিবসে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তিনি পালন করেছিলেন অকুতোভয় সৈনিকের ভূমিকা। তার আত্মদানের মধ্য দিয়ে নয় বছরের স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চুড়ান্ত বিজয়ের দিকে ধাবিত হয়। বুকের রক্ত ঢেলে তিনি এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ প্রশস্ত করে গেছেন। এখন গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়ার মাধ্যমেই আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি। সে লক্ষ্য অর্জনে শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা জোগাবে। আজকের এই দিনে গণতন্ত্রের পথ চলাকে নির্বিঘœ করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।
কর্মসূচী: এদিকে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টায় বিএনপি এবং ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্ত¡রে অবস্থিত শহীদ ডা: শামসুল আলম মিলনের মাজার এবং টিএসসি মোড়ে মিলন চত্তরে সকাল ৮টায় পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। পুস্পার্ঘ্য অর্পণ অনুষ্ঠানে বিএনপি এবং ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।