Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে এমন সংঘবদ্ধ লড়াই কেন?

প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:০৯ এএম, ২১ মার্চ, ২০১৬

॥ এ এম এম বাহাউদ্দীন ॥

এক বিস্ময়কর দেশ এই বাংলাদেশ। বড় অদ্ভুত কিছু লোক আছে এদেশে। মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েও ইসলামকে অপছন্দ করেন। মুসলমানের সন্তান হয়েও তারা এই পবিত্র প্রগতিশীল চির আধুনিক ও মহাবিজ্ঞানময় ধর্মকে অবজ্ঞা-হেয় করে। ধর্মবিদ্বেষী ধর্মদ্রোহী হয়ে তারা ইসলাম ত্যাগী মুরতাদ হয়ে যায়। তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষতা আর প্রগতিশীলতার নামে আল্লাহকে অস্বীকার করেন। তারা নিজেরা শান্তির ধর্ম ইসলাম মানুক না মানুক এ নিয়ে জাতির তেমন মাথাব্যথা ছিল না; কিন্তু সমস্যা হল এই যে, তারা নিজেদের মুক্তমনের অধিকারী দাবি করে কারণে অকারণে ইসলামের অবমাননা করে। মহান আল্লাহ ও তার রাসূলকে (সা.) অশালীন ভাষায় গালাগালি করে ঔদ্ধত্য দেখান। মত প্রকাশের নামে নিজেদের ব্লগ ইসলাম নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ লেখালেখি করেন। এদের কথা ও কাজ, লেখায় তৌহিদী জনতা আহতবোধ করলেও অনেকেই আবার প্রভাবিত হয়। কতিপয় নাস্তিক্যবাদী মানুষ এ দেশের রাষ্ট্র, সরকার, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, শিক্ষা, সমাজ, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, মিডিয়াসহ সমাজের নানা পর্যায়ে জায়গা করে বসেছে। এরা শাসকদের উপর ভর করে নানা ইসলামবিরোধী কাজ করিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করেন। যেখানে ইসলামের আবহ সেখানেই তারা বিষোদ্গার করেন, বাধা দেন, ক্ষতি করেন। দাড়ি টুপি এবং ইসলামী ধ্যান ধারণা শুনলেই তারা তুচ্ছজ্ঞান করেন। আর ইসলাম বিবর্জিত সকল কিছুই তাদের ভালো লাগে। এরা ইসলামবহির্ভূত সকল রীতিনীতি অপসংস্কৃতি চালুর পক্ষে ওকালতি করেন। এরা যেন ধর্মহীন বা অমুসলিম শক্তির তল্পীবাহক। ইসলাম ছাড়া অন্য সকল ধর্মের বিষয়েই তারা উদার। রাষ্ট্র ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে তাদের ক্ষমতায়ণ, পদায়ন, প্রতিষ্ঠা, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য তারা আত্মবলিদানে প্রস্তুত। আর শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের সর্বনাশের জন্য এরা সদাসচেষ্ট। দেশের শত সমস্যা-সংকট, সাধারণ মানুষের দুঃখদুর্দশা তাদের কাছে কিছু না। দুর্নীতি, বিচারহীনতা, প্রশাসনিক জুলুম-নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, খুন, গুম, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকট তাদের কাছে আলোচ্য বিষয় নয়। তাদের দৃষ্টিতে এ দেশে সমস্যা একটাই। আর তা হলো ইসলাম ও মুসলমান। দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা, বেকারত্ব, সুশাসনের অভাব, ব্যবসা বাণিজ্যের নি¤œমুখিতা, সংকট কিংবা অর্থনৈতিক পশ্চাদপদতা তাদের কাছে কোন সমস্যা নয়। তাদের চোখে সমস্যা ধর্মপ্রাণ মানুষের জীবনবোধ, তাদের ভাষায় মৌলবাদ আর মানুষের ধর্মীয় পরিচয় তারা যার নাম দিয়েছেন সাম্প্রদায়িকতা। মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, চেতনা, অনুভূতি ও মূল্যবোধকে তারা নাম দেয় ধর্মান্ধতা। বাংলাদেশের ৯২ ভাগ মানুষের উদার সাম্প্রদায়িক সহিষ্ণুতা সহাবস্থান ও সম্প্রীতি তারা চোখে দেখে না। তারা কেবলই সত্য গোপন করে এবং সত্যকে মিথ্যার প্রলেপ দিয়ে বিভ্রম ও সংশয় সৃষ্টি করেন। এদের চোখে চরিত্রহীন মাদকাসক্ত দালাল শ্রেণীও প্রগতিশীল বলে গণ্য হয়। নীতিবান দেশপ্রেমিক, ঈমানদার মানুষ তাদের কাছে পশ্চাদপদ প্রতিক্রিয়াশীল। 

বাংলাদেশের তরুণরা মসজিদে গেলে এদের মন খারাপ হয়। তরুণীরা পবিত্রতা ও নৈতিকতার অনুশীলন করলে, নারীরা হিজাব-নিকাব ও পর্দার বিধান পালন করলে এদের গাত্রদাহ হয়। এরা বাংলাদেশের চিরায়ত সংস্কৃতি প্রবীণদের শ্রদ্ধা, মা-বাবার আনুগত্য, আলেম উলামা, পীর-মাশায়েখ, ওসতাদ ও গুরুর প্রতি ভক্তিশ্রদ্ধাকে সেকেলে মনে করেন। যারা যুগের পর যুগ ধরে ইসলামী ধ্যান-ধারণা লালন করে মুসলিম পরিবার হিসেবে সমাজে খ্যাতি পেয়েছেন সেই ঐতিহ্যবাহী পরিবার যেমন মুনশী, মোল্লা, শিক্ষক, খন্দকার, কাজী ও পীর খান্দানের বৈশিষ্ট্য এবং মর্যাদা বিনাশের মাধ্যমে সমাজকে নীতিহীন উশৃঙ্খল করতে সচেষ্ট। তারা সৎ, নামাজি, আমানতদার, হাজী, গাজী, সুফী ব্যক্তিদের কথায় কথায়  হেয়প্রতিপন্ন করেন; নাক সিটকান। অথচ লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, চরিত্রহীন, মদ্যপ, সন্ত্রাসী ব্যক্তিদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদানে তাদের বাধা নেই। কারণ এদের কাছে তারা প্রগতিশীল।

অপ্রিয় হলেও সত্য যে তথাকথিত এই প্রগতিবাদীরা জনবিচ্ছিন্ন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কহীন। সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশায় এদের কখনো আহতবোধ করতে দেখা যায় না। অথচ আচরণে এরাই যেন সবার ত্রাতা। ক্ষমতা ও জনসমর্থন থাকলে এরা গায়ের জোরে বাংলাদেশে নাস্তিকতা বা বিধর্মীয় ব্যবস্থা চালু করতেন। সোভিয়েত বলশেভিক বিপ্লবের মত মুসলিম নিধন করতেন। তুরস্কের সেক্যুলার বিপ্লবের মত ইসলামী আদর্শ ও সংস্কৃতি সমূলে উৎখাত করতেন। স্পেনে মুসলমান উচ্ছেদের মত এ দেশ থেকেও মুসলমান নির্মূল করতেন। কিন্তু তারা সংখ্যায় কম, যুক্তিতে দুর্বল, নৈতিকতায় অক্ষম, কৌশলে বর্ণচোরা আর কর্মপন্থায় পরগাছা। কিছু মিডিয়াকে ব্যবহার করলেও তারা বেশি সুবিধা করতে পারছেন না। তবে তারা নিজেদের হাল ছাড়ার পক্ষপাতি নয় কেননা তাদের নিয়োগকর্তা ও পৃষ্ঠপোষকরা নাছোড়বান্দা। বিশ্ব ইসলাম বিরোধী সম্মিলিত শক্তি তাদের অর্থ দেয়, পেছনে থেকে ইন্ধন যোগায়। বাংলাদেশ তাদের কবল থেকে কখন সম্পূর্ণ মুক্ত হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বাংলাদেশে শতকরা ৯২ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। মুসলমানের এ দেশে সব ধর্ম ও মতের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করছেন। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল সমমনাদের নিয়ে জোটবদ্ধ হয়ে এখন ক্ষমতায়। সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনীতেও সকল ধর্মের মানুষের সমান মর্যাদা ও অধিকার স্বীকৃতি পেয়েছে। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে উল্লেখ করা হলেও অন্যান্য ধর্মকেও সমমর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। ৭২-এর সংবিধানের মত বর্তমান সংবিধানেও ধর্ম নিরপেক্ষতাকে স্যেকুলারিজমের আভিধানিক অর্থ ধর্মহীনতা বোঝাতে রাখা হয়নি বরং বঙ্গবন্ধুর মত তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অতি সম্প্রতি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন যে, স্বাধীন দেশে সকল নাগরিক স্ব স্ব ধর্ম সমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নির্বিঘেœ পালন করবে, এর নিশ্চয়তাই ধর্মনিরপেক্ষতা। এ নীতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ইসলাম বিরোধিতা বা মুসলিম বিদ্বেষের কোন সাংবিধানিক সুযোগ থাকার কথা নয়। তাছাড়া, ইতিহাসে বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও পরমতসহিষ্ণুতা একটি প্রবাদ হিসাবে প্রমাণিত এবং প্রতিষ্ঠিত। সব ধর্মের মানুষের এই সহবস্থানে তারা খুশি নন। দেশব্যাপী কিছু মানুষের বক্তব্য, ভূমিকা ও কার্যক্রমে এ বাস্তবতাকে সম্মান না জানিয়ে বরং হিংসা, বিভেদ, বিদ্বেষ এমনকি গৃহযুদ্ধ উস্কে দেয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টা তাদের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা প্রতিটি বিবেকবান নাগরিক খুব ভাল করেই আঁচ করতে পারছেন। সাধারণ মানুষও প্রতিনিয়ত এ হীণতৎপরতার বিষাক্ত বাতাসে আক্রান্ত ও আহত বোধ করছেন। দায়িত্বশীল পর্যায়ে তাদের এ দুঃখ ও ক্ষোভের সংবাদ পৌঁছে কিনা জানা না গেলেও তৃণমূল থেকে শিখর পর্যন্ত এসব ধর্মবিদ্বেষী অপপ্রচার এবং ইসলামবিরোধী কর্মতৎপরতার ফলে দানা বাঁধছে অসন্তোষের আগ্নেয়গিরি। যার দহন ধূমায়িত হয়ে যে কোন সময় লাভা উদগীরণের সম্ভাবনা বিপুল। উৎপীড়িত ধার্মিক মানুষ ও ধর্মপ্রাণ আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা ভগ্নহৃদয় আর ব্যথাভারাতুর অন্তরে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীলদের দিকে চেয়ে আছে, নিজেদের ধর্মীয় অধিকার সুরক্ষার আশা নিয়ে। নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতি নিয়ে নিরাপদে স্বদেশে জীবনধারণের সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশের প্রত্যাশায়। 

 দেখা যাচ্ছে অনেক টিভি চ্যানেলের যেন একটিই কাজ; তাহলো ইসলাম ও মুসলমানের বিরোধিতা করা। আলেম ওলামাদের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানো। বিভিন্ন প্রোগ্রামে দর্শক টেলিফোন করে যখন উপস্থাপককে সালাম দেন, তখন তারা এর জবাব না দিয়ে দর্শককে শেখাতে থাকেন শুভ সকাল বা শুভসন্ধ্যা। ভারতের টিভি চ্যানেলগুলোর উপস্থাপকেরা অনুষ্ঠান চলার সময় নমস্কার নমস্তে আর জয়রাম বলে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন; তখন ৯২ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে সালাম, দোয়া, ইনশাআল্লাহ, মাশাআল্লাহ, ইন্নালিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, বিসমিল্লাহ শব্দগুলো যেন টিভি থেকে নির্বাসিত। যদিও বাংলাদেশের সমাজে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা সমাজের সর্বস্তরের মানুষ উঠতে বসতে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি বলে থাকেন। শুধু ধর্মীয় নয় এ শব্দগুলোর ব্যবহার সামাজিক প্রথা হয়ে গেছে। অথচ ইদানিং কোন সাহিত্য, সংবাদ, প্রতিবেদন, টিভি, সিনেমায় ভুলক্রমেও এসব শব্দ উল্লেখ বা উচ্চারিত হতে দেখা যায় না। ভারতীয় টিভি প্রোগ্রামে সহজভাবে পূজা-পার্বণ, ধর্ম-সংস্কৃতি, উপাসনা-আরাধনা প্রদর্শিত হলেও বাংলাদেশে নাটক, সিনেমা, প্রতিবেদনে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রকৃত জীবন সংস্কৃতি, ধর্ম ও আচরণ ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা হয়। ভারতের সিনেমা, নাটক ও প্রোগ্রাম উলুধ্বনি, মা কালি রক্ষা কর, দুর্গা দুর্গা, ভগবানের কৃপায়, ঠাকুরের দয়ায় শব্দগুলি ভক্তি শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারিত হলেও বাংলাদেশে আল্লাহ নামটি পর্যন্ত নিতে দেয়া হয় না। দরকারে মুসলমানরাও বলে গড, ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তা। আজান, তাকবীর, জিকির বা মহান আল্লাহর ৯৯ নাম কিংবা কোরআনের আয়াত উচ্চারণ করার নিয়ম নেই। অথচ যারা টিভি দেখেন তারা প্রত্যাহিক জীবনাচারে এসব শব্দ ব্যবহারে অভ্যস্ত। বরং মাঝে মধ্যে এসব শব্দ বিকৃতভাবে কিংবা মন্দ চরিত্রের ভূষণ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়। পজেটিভ কোন ধর্মীয় বিষয় আনা হলেই এটা সাম্প্রদায়িক হয়ে যায়।

কিছু টক শো এমন আছে যেখানে উপস্থাপক অযাচিতভাবে ইসলাম ও মুসলমানকে সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু বানান। আলোচকরাও ইনিয়ে বিনিয়ে নানা ছুঁতোয় ইসলামকে সাম্প্রদায়িক আর মুসলমানদের মৌলবাদী জঙ্গী সন্ত্রাসীর সমার্থক বানানোর চেষ্টা করেন। মাদ্রাসা শিক্ষা তাদের কাছে গাত্রদাহের বিষয় হয়। কেউ পাল্টা বক্তব্য দিলে, যুক্তিতর্ক তুলে ধরে জবাব দিলে মোক্ষম সময়টিতে উপস্থাপক প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে অন্যদিকে চলে যাওয়ার প্রয়াস পান। অনেক সময় মনে হয়, তারা পরামর্শ করেই পক্ষপাত করতে বসেছেন। সাজানো আলোচনার মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানকে হেয় করার পাতানো খেলা চলছে।

অনেক টিভি চ্যানেলের নির্লজ্জপনা দেশের সাধারণ মানুষের সামনে সুস্পষ্ট। ইসলাম বিদ্বেষী এবং তথাকথিত প্রগতিশীলদের গুটি কয়েক একটি সমাবেশকে তারা মহাসমাবেশ বলে দেখায়, নানা শ্রেণীপেশার মানুষের ঢল নেমেছে বলে প্রচার করেন। বিশেষ আয়োজনে তৈরি করেন সাম্প্রদায়িক ও অপসংস্কৃতিপুষ্ট নানা অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ ও ইসলাম বিদ্বেষী মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানী ও বিভিন্ন কর্পোরেট হাউজের অর্থে প্রচার করে উদ্দেশ্যমূলক বহু অনুষ্ঠান, যাতে এ দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে বিকৃত করা হয়। ধর্মীয় ও জাতীয় উৎসবকে ম্লান করতে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয় নতুন পার্বণ, নতুন সংস্কৃতি, নতুন  ট্রেন্ড। এ ধরনের জাতি বিরোধী কর্মকা-ে কিছু টিভি চ্যানেল ও প্রিন্ট মিডিয়া যে কোন কারণেই হোক সম্পূর্ণ নিবেদিত।

যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে গডের উপর আস্থা রাখার কথা ডলারে মুদ্রিত হয়, প্রেসিডেন্টরা বাইবেলে হাত রেখে শপথ নেন, বৃটেনে হাউজ অব কমন্সের প্রথম আসনটি প্রধান ধর্ম যাজকের জন্য নির্দিষ্ট থাকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেশে বা বিদেশে তার পূজাপাঠ, উপবাস ইত্যাদি যথানিয়মে সগৌরবে পালন করেন, সেখানে আমাদের দেশে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস বর্জন করার তাগিদ দেয়া হয়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে মুদ্রিত থাকলেও এর বিরুদ্ধে উঠতে বসতে কথা বলতে শোনা যায়। অর্থ বিকৃত করে নামমাত্র বিসমিল্লাহ রাখা হলেও এর বিরুদ্ধে প্রায়শই বিষোদগার করা হয়। একদিনে গণতন্ত্র চর্চার কথা বলা হয় অন্যদিকে ধর্মীয় সংগঠন নিষিদ্ধের কথা বারবার উচ্চারিত হয়। শাসক দলীয় নেতাকর্মীদের বামপন্থী নাস্তিক্যবাদী বুদ্ধিজীবীরা প্রায় সময়ই নসিহত করেন, আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দল, দেশ এখন ধর্মনিরপেক্ষ, তাহলে তারা কেন ইসলাম ও মুসলমানদের সাথে সংযোগ রক্ষা করেন। তারা সময় সময় নেত্রীকেও খোঁচা মেরে কথা বলেন, তিনি শায়খুল হাদীস-এর সাথে ৫ দফা চুক্তি করেছিলেন। তিনি হেফাজতে ইসলামের সাথে যোগাযোগ রাখেন, তাদের নেতার কাছে দোয়া চান ইত্যাদি। প্রধানমন্ত্রীর ধর্মীয় জীবনাচার নিয়েও অতিবাম ও নাস্তিক্যপন্থী বুদ্ধিজীবীদের কটূক্তি করতে শোনা যায়। যদিও মহাজোটের সুবাদে তারা ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে এ মওসুমেই বেশ নাদুস নুদুস হয়েছেন। আওয়ামী লীগের ছত্রছায়া ছাড়া যাদের শুকিয়ে মরা ছাড়া উপায় ছিল না।

দেশে ভিন্ন ধর্মের মানুষ তাদের উৎসব পূজা-পার্বণ জীবনভর নির্বিঘেœ পালন করছেন। লাইসেন্সপ্রাপ্ত বার ও হাউজি-জুয়াও চলছে। ক্লাবগুলোয় নাচগান হয়। কিন্তু কোনো ধার্মিক মুসলমান এসব জায়গায় হামলা করেছে বা কোন ভিন্নমতাবলম্বী লেখক বুদ্ধিজীবীর উপর আক্রমণ করেছে, এর কোন নজির বাংলাদেশে নেই। কিছুদিন ধরে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের যে কর্মকা- শুরু হয়েছে, ধরপাকড় ও বিচার হচ্ছে, এসবের সাথে মূলধারার ধর্মীয় শ্রেণী, মাদরাসা, মসজিদ, ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের কোন সংশ্লেষ পাওয়া যাবে না। আলেম-উলামা, ইমাম-খতিব, পীর-মাশায়েখ, ধার্মিক, শিক্ষিত সমাজ এসবের নিন্দা শুধু নয়, এসব প্রতিহত করার জন্য রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। যে জন্য ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আর মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতা বিরাজ করছে। কিন্তু কৃত্রিমভাবে কিছু লোক এমন একটি আবহ তৈরি করে রেখেছেন যে, কোন সন্ত্রাসী ঘটনার পর মূল আসামী ধরা হোক বা না হোক গোটা ধার্মিক মুসলমানদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার শুরু হয়। যার ফলে, তারা পরিবেশের কলুষতায় হতভম্ব ও আহত হয়ে পড়েন। আইন-শৃংখলা বাহিনীর একাংশ এতই নির্লজ্জ সন্দেহ, বেপরোয়া আচরণ, অশালীন ভাষা প্রয়োগ ও তত্ত্বতালাশ শুরু করে যা কোন স্বাধীন দেশের নাগরিকের জন্যই শোভনীয় নয়। মিডিয়া, পুলিশ, র‌্যাব ও দলীয় ক্যাডারের কিছু লোকজন নানাভাবে নিরীহ ধর্মপ্রাণ মানুষকে হয়রানি শুরু করে দেয়। যা জনগণের মনে কষ্ট দুঃখ, ক্ষোভ ও অপমানবোধের আগুন জ্বেলে দিয়ে থাকে।

নামগোত্রহীন জঙ্গিদের কোনো শ্রেণী পেশা বা সম্প্রদায়গত পরিচয় থাকে না। সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয়ও সঠিক নয়। সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই। কিন্তু তারা ধর্মের নামে কার্যক্রম চালায় বলেই ধর্ম ও ধার্মিক মানুষকে বদনাম করার কী উদ্দেশ্য। বিশ্বব্যাপী প্রতিটি সন্ত্রাসের পেছনে রাজনীতি, সা¤্রাজ্যবাদী লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, জুলুম-নির্যাতন ইত্যাদি থাকে। তাহলে এর সামগ্রিক বিশ্লেষণ না করে কেবল ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম সম্প্রদায়কে সামনে নিয়ে আসাও একটি লক্ষ্য নিয়েই করা হয়ে থাকে। এ খ-িত বিশ্লেষণ যুক্তিযুক্ত হতে পারে না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে সব সময় খুঁজতে হয় এর আদর্শিক ও রাজনৈতিক সমাধান। কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী দমন করলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সমূলে উৎপাটিত হয় না। জঙ্গিদের দমন করার চেয়ে যদি শান্তিপ্রিয় মানুষকে আঘাত করার কাজই বেশি হয় তাহলে সীমিত জঙ্গিবাদ গণরোষের রূপ নেয়াও বিচিত্র নয়। অধিকার বঞ্চিত-লাঞ্ছিত মানুষ প্রতিরোধ স্পৃহা নিয়ে ধৈর্য ধরে বসে থাকে, সমাধানের পথ খোঁজে। কোনো যৌক্তিক ও নিয়মতান্ত্রিক পথ না পেলে এদের একাংশ সন্ত্রাসের পথই বেছে নেয়। সন্ত্রাস দমনে টেকসই পন্থা হচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক কর্মপন্থা।

এদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে আমার বাবা মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)-এর অবদান অনেক। তিনি মাদ্রাসার প্রসারে অসামান্য অবদান রেখেছেন। আমি সারাদেশের মাদ্রাসার শিক্ষকদের সংগঠনের জমিয়াতুল মোদারেছীন সভাপতি। সে সুবাদে সারাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষক, আলেম ওলামারা সব সময় যোগাযোগ রাখেন। আমিও তাদের খোঁজ-খবর রাখি। কথা হলেই তারা দুঃখ দুর্দশা ও দুর্বিসহ জীবন যাপনের কথা বলেন। মাদ্রাসায় যারা চাকরি করেন তাদের নাম ঠিকানা সরকারের খাতায় রয়েছে। ইচ্ছা করলেই সেখান থেকে সেটা সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু দেশের স্বীকৃত ও ঐতিহ্যবাহী মাদরাসাগুলোয় ৫/৭ বার গোয়েন্দারা গিয়ে শিক্ষকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে। কোনো ঘটনা ঘটামাত্রই মাদরাসা মসজিদে আইনশৃঙ্খলার লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়, এর হেতু কী? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর জন্য তো এটি একটি মানহানিকর বিষয়। বড় বড় আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখকে দুঃখ করে বলতে শোনা যায়, বর্তমান সরকারের আমলে আমরাই হয়ে গেলাম দেশের সবচেয়ে অসম্মানিত নাগরিক। সারা জীবন সততা, বিশ্বস্ততা, দেশপ্রেম, সমাজসেবা, ধর্ম ও নৈতিকতার অগ্নিপরীক্ষা দিয়েও আমরাই আজ সন্দেহভাজন। দেশের মানুষকে নিয়মশৃঙ্খলা, আইন-শরীয়ত, সততা, মানবতা ও ঈমানদারী আমরা শিক্ষা দেই। আমাদের যখন মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবী, পুলিশ ও ক্যাডাররা বদনাম করে তখন আমরা কার কাছে যাব? প্রধানমন্ত্রী কি জানেন, দেশে সম্মানিত নাগরিকদের সাথে কারা এমন আচরণ করছে? কেন, কী উদ্দেশ্যে করছে? এতে কি দেশ ও জনগণের কাছে তার ভাব-মর্যাদা ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে, না কমছে?

ইসলামী পোশাক ও সংস্কৃতি নিয়ে পাশ্চাত্যে মুসলমানরা সংগ্রাম করছে, ভারতে ধর্মীয়-বিধান পালনে মুসলমানরা ক্ষেত্র বিশেষে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তারা ভয় ও আতংকেও আছে। কিন্তু ৯২ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে মুসলমানরা ধর্ম পালনে শংকিত ও ভীত, এ কথা কে বিশ্বাস করবে? কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অবস্থা তো তাই। নামাজী ও দাড়ি-টুপিওয়ালা, হিজাব বোরকাধারী নারী-পুরুষ এদেশে বেশ আতংকেই আছেন। পুলিশ গাড়ি অটোরিকশা থামালে বেছে বেছে দাড়ি-টুপিওয়ালা চালকদেরই থামায়। জিজ্ঞাসাবাদ করে, নানা কটূক্তি করে। যেন এদের কেউ নাই, এরা দেশের নাগরিক নয়, এরাই যত খারাপ, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্ত। এক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী সংস্কৃতি ও লেবাস-পোশাক নিষিদ্ধ করে ভিসি স্বয়ং এ ধরনের ছাত্রছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। অভিভাবক কর্তৃক মেয়েকে শালীন পোশাক ও হিজাব-নিকাব ব্যবহারে নির্দেশদান নিষেধ করে দিয়েছেন আদালত। আইন শৃংখলা বাহিনীর আচরনে আস্কারা পেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কিছু ইসলামবিদ্বেষী শিক্ষক ও কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় সংস্কৃতি পালনে বাধা দিচ্ছেন। অনেকে ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য করছেন। সেনাবাহিনীতে মেধা ও যোগ্যতায় উতরে যাওয়া প্রার্থীকে শুধু তার ধর্মীয় পারিবারিক পরিচয়, নামাজ, টুপি, দাড়ি ইত্যাদি কারণ দেখিয়েই অকৃতকার্য করে দেয়া হচ্ছে। কোরআন, হাদীস, ইসলামী দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সাহিত্যের বই দেখামাত্র হল থেকে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার, নির্যাতন, গ্রেফতার ও নিগৃহীত করা হচ্ছে। কোনো সুনির্দিষ্ট অপরাধ বা মামলা ছাড়াই ইসলামী ভাবধারার শিক্ষার্থী ও তরুণ তরুণীদের আটক-রিমা- হেফাজতের নামে অকথ্য নির্যাতন করে পঙ্গু অকর্মন্য ও জীবম্মৃত করে দেয়া হচ্ছে। গুম, খুন ও মামলার জাল বিছিয়ে অচল করে দেয়ায় সংস্কৃতি তো দিন দিন জোরদারই হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশ কোন দিকে যাবে? জাতির পরিণতিই বা কী হবে? জনগণের মনে আজ এটিই জিজ্ঞাসা।

দেশে ব্লগারদের নিয়ে একটি বাহাস শুরু হয়েছে। যত মানুষ ব্লগে মত প্রকাশ করেন তারা সবাই ব্লগার। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইসলামবিরোধী নাস্তিক ব্লগারদেরই ব্লগার বলা হচ্ছে। সামান্য দিনের ব্যবধানে বেশকিছু ব্লগার হতাহত হয়েছেন। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে যে, যাদের ধর্মদ্রোহী বলে আখ্যা দেয়া হচ্ছে তারা সবাই মূলত ধর্মদ্রোহী নন। কে বা কারা তাদের হতাহত করছে সেটাও স্পষ্ট নয়। যখনই একটি হত্যাকা- ঘটছে তখন হয় কেউ দায় স্বীকার করছে নয়তো গ্রেফতারকৃতরা কোন তথ্য দিচ্ছে। এতে নানা সংগঠনের নাম পাওয়া যাওয়ায় সরকারের কেউ কেউ বলেছেন, যারা জঙ্গি তারাই আনসারুল্লাহ, তারাই আনসার আল ইসলাম, তারাই হরকাতুল জিহাদ। সরকারের কেউ হয়তো বলছেন, বিএনপি নেত্রী দেশে গুপ্তহত্যা চালাচ্ছেন। গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা বলছেন, সরকারের জ্ঞাতসারেই এসব হত্যাকা- চলছে। সর্বশেষ নিহত প্রকাশক দীপনের পিতা প্রফেসর আবুল কাসেম ফজলুল হকের একটি খেদোক্তির মর্মার্থ বুঝতে অক্ষম হওয়ায় এক নেতা তাকেই হত্যাকারী গ্রুপে ফেলে দিয়েছিলেন। এমন যখন গোলমেলে অবস্থা তখন অধ্যাপক জাফর ইকবাল মন্তব্য করেছেন, সবাই কেবল ব্লগার হওয়াটাকেই বড় করে দেখছে কিন্তু খুনটা কেউ দেখছে না। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের কিছু উক্তি স্মরণে রাখা উচিত। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থ ধর্মহীনতা নয়। আমাদের সংবিধানে এর অর্থ হচ্ছে সকল ধর্মের মানুষের স্ব-স্ব ধর্ম পালনের অধিকার। এ দেশে সবাই স্বাধীনভাবে নিজ ধর্ম পালন করবে। অন্যের ধর্মীয় অধিকার হরণ করতে পারবে না। পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, মত প্রকাশের অধিকার সবারই আছে কিন্তু এক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করা যাবে না। ব্লগ লিখতে গিয়ে অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত যেন না আসে। সীমালঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আবার আইন নিজের হাতে তুলে নেয়াও যাবে না। র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ এক টিভি টক শোতে বলেছেন, খুনীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। অনেককেই ধরা হয়েছে। তদন্ত ও বিচার চলছে। সরকার কিছুই করছে না, এ কথা যারা বলেন তারা ঠিক বলেন না। তবে একটা বিষয় আমি তাত্ত্বিক দিক থেকে বলতে চাই মুক্তমনা ব্লগার নামে যারা নাস্তিকতা প্রচার করেন বা ধর্মের বিরোধিতা করেন তারা অনেকেই সবধর্ম বাদ দিয়ে মুক্তমনের পরিচয় দেয়ার জন্য একমাত্র ইসলামের উপরই আক্রমণ চালাতে থাকেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ইসলামকে আঘাত করাই কি মুক্তমনের পরিচয়? নাস্তিক হলে সব ধর্মের বিরুদ্ধে রুচিশীল পন্থায় যুক্তি-তর্ক করতে পারেন কিন্তু অন্যের ধর্মবিশ্বাসে আঘাত হানার অধিকার আপনাকে কেউ দেয়নি। শুধু তাই না সর্বশক্তিমান আল্লাহ, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)- এর উপর এমন জঘন্য ভাষায় আক্রমণ, কটূক্তি এমনকি অকথ্য গালাগালি করা হয় যে কোন সভ্য মানুষই এতে সংক্ষুব্ধ না হয়ে  পারে না। অতএব, সংশ্লিষ্ট ব্লগারদের অবশ্যই এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাসম্ভব নিরাপত্তা দেবে এবং অপরাধীদের গ্রেফতার, তদন্ত ও বিচারও করা হবে। 

কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে সকলকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় হিতে হবে। আদর্শিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রতিহিংসার অবসান ঘটাতে হবে। 

বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস মোকাবেলায় ব্যর্থতা ও আগ্রাসন আক্রমণের পথ ধরে সমূহক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে পশ্চিমা নেতারা এখন যথেষ্ট বাস্তববাদিতার পরিচয় দিচ্ছেন। বাংলাদেশেও দায়িত্বশীলদের বিবেচনাবোধের পরিচয় দিতে হবে। সততা ও  প্রজ্ঞার মাধ্যমে ১৬ কোটি মানুষের দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ধরে রাখতে হবে।

বিগত সময়ে মনে হয় জেদ করেই কিছু লোক মহানবী (সা.) সম্পর্কে একের পর এক কটূক্তি করে গেছে। ইসলাম, আল্লাহ, রাসূল (সা.), কোরআন, হাদীস, সাহাবায়ে কেরাম, মুসলমান ও ইসলামী জীবন বিধান সম্পর্কে মারাত্মক কটূক্তি যেন একটি মহামারির আকার ধারণ করেছে। অনলাইনে যার যেভাবে ইচ্ছা কেবল ৯২ ভাগ মানুষের ধর্মবিশ্বাসকেই উপর্যুপরি আঘাত হানা হয়েছে। ধার্মিক মানুষ এসব দেখে-শুনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিকার আশা করেছেন। নীরবে নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন। ভারাক্রান্ত মনে আল্লাহর দরবারে দোয়া কান্নাকাটি করেছেন। কিন্তু মূলধারার ধর্মপ্রাণ মানুষ তাদের আলেম-উলামা, ইমাম-খতিব ও পীর-মাশায়েখদের নির্দেশনায় ধৈর্য ধারণ করে নিয়মতান্ত্রিক বিচার প্রার্থনা করেছেন। আইন নিজের হাতে তুলে নেননি। কারা চিহ্নিত ব্লগারদের হতাহত করে, কীভাবে-কোন নীতিতে করেÑ এসব ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ জানেনও না। তারা আশা করেন রাষ্ট্র, প্রেসিডেন্ট, বিচারবিভাগ, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিষয়ে কটূক্তি করলে যেভাবে আইন তার নিজস্ব গতিতে সক্রিয় হয়, অনলাইনে অপরাধ করার ফলে যেমন অনেকের বিচার ও শাস্তি হয়, ৯২ ভাগ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী লোকেদেরও সম্ভবত এভাবেই সরকার বিচার করবে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষকে তেমন সচেতন বা সক্রিয় দেখা যায় না। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় কথিত জঙ্গি গোষ্ঠীর নতুন নতুন  পদ্ধতির হত্যাকা-। মানুষ এতে হতাশ, আতঙ্কিত ও সন্ত্রস্ত হয়। সরকারের প্রতি আস্থা হারায়। রাষ্ট্রের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হলে নাগরিকরা ভীত-প্রকম্পিত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সত্যিকার কোন উন্মেষ এবং প্রকৃত উত্থানের আশঙ্কায় জনগণ উৎকণ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাপী এখন যে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এবং এসবের ছুঁতোয় যে আগ্রাসন ও যুদ্ধ চেপে বসে, সেসব চিন্তা করে দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন জীবন কাটায়। তাছাড়া অব্যাহতভাবে আল্লাহ, রাসূল (সা.), ইসলাম ও মুসলমানের প্রতি এমন অন্যায় অশ্লীল বিষোদ্গার আর ইচ্ছাকৃত অপরাধ কখন, কোন ভয়াবহ গজব বয়ে আনে, এ কথা ভেবেও তারা সর্বক্ষণ ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে। সরকারের দায়িত্বশীলরা, আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ, নাগরিক সমাজের নেতৃবর্গ, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে ৯২ ভাগ মানুষের ধর্মীয় মানবিক অধিকারের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। বুঝতে হবে উদ্দেশ্যমূলক আঘাতে আঘাতে যারা ধর্মপ্রাণ গণমানুষের হৃদয়ে রক্তপাত ঘটিয়ে দেশ ও জাতির নৈতিক শক্তিকে চুরমার করে দিতে চাইছে তারা এ দেশের বন্ধু নয়। যারা চিরায়ত সমৃদ্ধ সামাজিক-আধ্যাত্মিক অর্জনগুলো ধ্বংস করছে, ধর্মীয় ভাবধারার পবিত্র ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলাকে তছনছ করতে চাইছে তারা দেশ ও জাতির হিতাকাক্সক্ষী নয়। এরা স্বাধীনতা, স্থিতি, সৌন্দর্য ও শৃঙ্খলার শত্রু। যারা সা¤্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ তথা মানবতাবিরোধী শোষক শক্তির ক্রীড়নক হয়ে বাংলাদেশে ইসলাম ও  মুসলমানের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে একটি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, এদের স্বরূপ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ঘাটন করতে হবে। তার দল ও সংগঠনকে এদের কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করতে হবে। হাজারো কৃতিত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ও অর্জনে ঋদ্ধ বাংলাদেশকে ভেতর থেকে ক্ষয়ে যাওয়া বা ধসে পড়ার আগেই প্রাণপণে রুখতে হবে। সর্বাবস্থায় ৯২ ভাগ মানুষকে তাদের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ রক্ষায় বৃহত্তর আঙ্গিকে পূর্ণ আস্থায় আনতে হবে। যে কোন বাস্তববাদী শাসকের জন্য এটি আবশ্যিকভাবেই অপরিহার্য।

 

 

Bmjvg I gymjgv‡bi weiæ‡× Ggb msNe× jovB †Kb?

\ G Gg Gg evnvDÏxb \

GK we¯§qKi †`k GB evsjv‡`k| eo A™¢zZ wKQz †jvK Av‡Q G‡`‡k| gymjgv‡bi N‡i Rb¥ wb‡qI Bmjvg‡K AcQ›` K‡ib| gymjgv‡bi mšÍvb n‡qI Zviv GB cweÎ cÖMwZkxj wPi AvaywbK I gnvweÁvbgq ag©‡K AeÁv-‡nq K‡i| ag©we‡Ølx ag©‡`ªvnx n‡q Zviv Bmjvg Z¨vMx gyiZv` n‡q hvq| Z_vKw_Z ag© wbi‡cÿZv Avi cÖMwZkxjZvi bv‡g Avjøvn‡K A¯^xKvi K‡ib| Zviv wb‡Riv kvwšÍi ag© Bmjvg gvbyK bv gvbyK G wb‡q RvwZi †Zgb gv_ve¨_v wQj bv; wKš‘ mgm¨v nj GB †h, Zviv wb‡R‡`i gy³g‡bi AwaKvix `vwe K‡i Kvi‡Y AKvi‡Y Bmjv‡gi Aegvbbv K‡i| gnvb Avjøvn I Zvi ivm~j‡K (mv.) Akvjxb fvlvq MvjvMvwj K‡i J×Z¨ †`Lvb| gZ cÖKv‡ki bv‡g wb‡R‡`i eøM Bmjvg wb‡q we‡Ølc~Y© †jLv‡jwL K‡ib| G‡`i K_v I KvR, †jLvq †ZŠwn`x RbZv AvnZ‡eva Ki‡jI A‡b‡KB Avevi cÖfvweZ nq| KwZcq bvw¯ÍK¨ev`x gvbyl G †`‡ki ivóª, miKvi, cÖkvmb, AvBbk„•Ljv, wkÿv, mgvR, ms¯‹…wZ, e¨emv-evwYR¨, wgwWqvmn mgv‡Ri bvbv ch©v‡q RvqMv K‡i e‡m‡Q| Giv kvmK‡`i Dci fi K‡i bvbv Bmjvgwe‡ivax KvR Kwi‡q †bqvi †PóvI K‡ib| †hLv‡b Bmjv‡gi Aven †mLv‡bB Zviv we‡lv˜Mvi K‡ib, evav †`b, ÿwZ K‡ib| `vwo Uzwc Ges Bmjvgx a¨vb aviYv ïb‡jB Zviv Zz”QÁvb K‡ib| Avi Bmjvg weewR©Z mKj wKQzB Zv‡`i fv‡jv jv‡M| Giv Bmjvgewnf©~Z mKj ixwZbxwZ Acms¯‹…wZ Pvjyi c‡ÿ IKvjwZ K‡ib| Giv †hb ag©nxb ev Agymwjg kw³i ZíxevnK| Bmjvg Qvov Ab¨ mKj a‡g©i wel‡qB Zviv D`vi| ivóª I miKv‡ii ¸iæZ¡c~Y© c‡` Zv‡`i ÿgZvqY, c`vqb, cÖwZôv, mg„w× I AMÖMwZi Rb¨ Zviv AvZ¥ewj`v‡b cÖ¯‘Z| Avi kZKiv 92 fvM gymjgv‡bi me©bv‡ki Rb¨ Giv m`vm‡Pó| †`‡ki kZ mgm¨v-msKU, mvaviY gvby‡li `ytL`y`©kv Zv‡`i Kv‡Q wKQz bv| `yb©xwZ, wePvinxbZv, cÖkvmwbK Ryjyg-wbh©vZb, nZ¨v, al©Y, Lyb, ¸g, ivR‰bwZK I mvgvwRK msKU Zv‡`i Kv‡Q Av‡jvP¨ welq bq| Zv‡`i `„wó‡Z G †`‡k mgm¨v GKUvB| Avi Zv n‡jv Bmjvg I gymjgvb| †`‡ki gvby‡li g‡a¨ nZvkv, †eKviZ¡, mykvm‡bi Afve, e¨emv evwY‡R¨i wb¤œgywLZv, msKU wKsev A_©‰bwZK cðv`c`Zv Zv‡`i Kv‡Q †Kvb mgm¨v bq| Zv‡`i †Pv‡L mgm¨v ag©cÖvY gvby‡li Rxeb‡eva, Zv‡`i fvlvq †gŠjev` Avi gvby‡li ag©xq cwiPq Zviv hvi bvg w`‡q‡Qb mv¤úª`vwqKZv| gvby‡li ag©xq wek¦vm, †PZbv, Abyf~wZ I g~j¨‡eva‡K Zviv bvg †`q ag©vÜZv| evsjv‡`‡ki 92 fvM gvby‡li D`vi mv¤úª`vwqK mwnòzZv mnve¯’vb I m¤úªxwZ Zviv †Pv‡L †`‡L bv| Zviv †KejB mZ¨ †Mvcb K‡i Ges mZ¨‡K wg_¨vi cÖ‡jc w`‡q weåg I mskq m„wó K‡ib| G‡`i †Pv‡L PwiÎnxb gv`Kvm³ `vjvj †kÖYxI cÖMwZkxj e‡j MY¨ nq| bxwZevb †`k‡cÖwgK, Cgvb`vi gvbyl Zv‡`i Kv‡Q cðv`c` cÖwZwµqvkxj|

evsjv‡`‡ki ZiæYiv gmwR‡` †M‡j G‡`i gb Lvivc nq| ZiæYxiv cweÎZv I ˆbwZKZvi Abykxjb Ki‡j, bvixiv wnRve-wbKve I c`©vi weavb cvjb Ki‡j G‡`i MvÎ`vn nq| Giv evsjv‡`‡ki wPivqZ ms¯‹…wZ cÖexY‡`i kÖ×v, gv-evevi AvbyMZ¨, Av‡jg Djvgv, cxi-gvkv‡qL, ImZv` I ¸iæi cÖwZ fw³kÖ×v‡K †m‡K‡j g‡b K‡ib| hviv hy‡Mi ci hyM a‡i Bmjvgx a¨vb-aviYv jvjb K‡i gymwjg cwievi wn‡m‡e mgv‡R L¨vwZ †c‡q‡Qb †mB HwZn¨evnx cwievi †hgb gybkx, †gvjøv, wkÿK, L›`Kvi, KvRx I cxi Lv›`v‡bi ˆewkó¨ Ges gh©v`v webv‡ki gva¨‡g mgvR‡K bxwZnxb Dk„•Lj Ki‡Z m‡Pó| Zviv mr, bvgvwR, AvgvbZ`vi, nvRx, MvRx, mydx e¨w³‡`i K_vq K_vq  †nqcÖwZcbœ K‡ib; bvK wmUKvb| A_P jy‡Uiv, `yb©xwZevR, PwiÎnxb, g`¨c, mš¿vmx e¨w³‡`i †kÖôZ¡ cÖ`v‡b Zv‡`i evav †bB| KviY G‡`i Kv‡Q Zviv cÖMwZkxj|

AwcÖq n‡jI mZ¨ †h Z_vKw_Z GB cÖMwZev`xiv Rbwew”Qbœ Ges mvaviY gvby‡li m‡½ m¤úK©nxb| mvaviY gvby‡li `ytL `y`©kvq G‡`i KL‡bv AvnZ‡eva Ki‡Z †`Lv hvq bv| A_P AvPi‡Y GivB †hb mevi ÎvZv| ÿgZv I Rbmg_©b _vK‡j Giv Mv‡qi †Rv‡i evsjv‡`‡k bvw¯ÍKZv ev weag©xq e¨e¯’v Pvjy Ki‡Zb| †mvwf‡qZ ej‡kwfK wecø‡ei gZ gymwjg wbab Ki‡Zb| Zzi‡¯‹i †mKz¨jvi wecø‡ei gZ Bmjvgx Av`k© I ms¯‹…wZ mg~‡j DrLvZ Ki‡Zb| †¯ú‡b gymjgvb D‡”Q‡`i gZ G †`k †_‡KI gymjgvb wbg©~j Ki‡Zb| wKš‘ Zviv msL¨vq Kg, hyw³‡Z `ye©j, ˆbwZKZvq Aÿg, †KŠk‡j eY©‡Pviv Avi Kg©cš’vq ciMvQv| wKQz wgwWqv‡K e¨envi Ki‡jI Zviv †ewk myweav Ki‡Z cvi‡Qb bv| Z‡e Zviv wb‡R‡`i nvj Qvovi cÿcvwZ bq †Kbbv Zv‡`i wb‡qvMKZ©v I c„ô‡cvlKiv bv‡Qvoev›`v| wek¦ Bmjvg we‡ivax mw¤§wjZ kw³ Zv‡`i A_© †`q, †cQ‡b †_‡K BÜb †hvMvq| evsjv‡`k Zv‡`i Kej †_‡K KLb m¤ú~Y© gy³ n‡e Zv GLbI ¯úó bq|

evsjv‡`‡k kZKiv 92 fvM gvbyl Bmjvg a‡g© wek¦vmx| gymjgv‡bi G †`‡k me ag© I g‡Zi gvbyl mgvb AwaKvi wb‡q emevm Ki‡Qb| gyw³hy‡× †bZ…Z¡`vbKvix `j mggbv‡`i wb‡q †RvUe× n‡q GLb ÿgZvq| msweav‡bi me©‡kl ms‡kvabx‡ZI mKj a‡g©i gvby‡li mgvb gh©v`v I AwaKvi ¯^xK…wZ †c‡q‡Q| Bmjvg‡K ivóªag© wnmv‡e D‡jøL Kiv n‡jI Ab¨vb¨ ag©‡KI mggh©v`v cÖ`vb Kiv n‡q‡Q| 72-Gi msweav‡bi gZ eZ©gvb msweav‡bI ag© wbi‡cÿZv‡K †m¨KzjvwiR‡gi AvwfavwbK A_© ag©nxbZv †evSv‡Z ivLv nqwb eis e½eÜzi gZ Zvi Kb¨v cÖavbgš¿x †kL nvwmbvI AwZ m¤úªwZ e¨vL¨v w`‡q e‡j‡Qb †h, ¯^vaxb †`‡k mKj bvMwiK ¯^ ¯^ ag© mgvb my‡hvM-myweav wb‡q wbwe©‡Nœ cvjb Ki‡e, Gi wbðqZvB ag©wbi‡cÿZv| G bxwZi †cÖwÿ‡Z evsjv‡`‡k Bmjvg we‡ivwaZv ev gymwjg we‡Ø‡li †Kvb mvsweavwbK my‡hvM _vKvi K_v bq| ZvQvov, BwZnv‡m evsjv‡`‡ki gvby‡li ag©xq m¤úªxwZ I cigZmwnòzZv GKwU cÖev` wnmv‡e cÖgvwYZ Ges cÖwZwôZ| me a‡g©i gvby‡li GB mne¯’v‡b Zviv Lywk bb| †`ke¨vcx wKQz gvby‡li e³e¨, f~wgKv I Kvh©µ‡g G ev¯ÍeZv‡K m¤§vb bv Rvwb‡q eis wnsmv, we‡f`, we‡Øl GgbwK M„nhy× D‡¯‹ †`qvi Ae¨vnZ cÖ‡Póv Zv‡`i g‡a¨ jÿ¨ Kiv hv‡”Q| hv cÖwZwU we‡eKevb bvMwiK Lye fvj K‡iB AuvP Ki‡Z cvi‡Qb| mvaviY gvbylI cÖwZwbqZ G nxYZrciZvi welv³ evZv‡m AvµvšÍ I AvnZ †eva Ki‡Qb| `vwqZ¡kxj ch©v‡q Zv‡`i G `ytL I †ÿv‡fi msev` †cuŠ‡Q wKbv Rvbv bv &a



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে এমন সংঘবদ্ধ লড়াই কেন?
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ