পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বি এম হান্নান ও মামুনুর রশিদ পাঠান : চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মো. শামছুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, কোরআন ও সুন্নাহ’র আলোকে জীবন পরিচালিত করলে যেমনি ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে, তেমনি সফলকামও হওয়া যায়। তাই প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব হচ্ছে কোরআন ও সুন্নাহ’র অনুসরণ করা। গতকাল ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার ফরিদগঞ্জ ইসলামপুর শাহ্ ইয়াছিন (রহ:) ফাযিল মাদ্রাসা ময়দানে ইছালে ছাওলাব মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শামছুল হক ভূঁইয়া এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে অনেক আসমানি কিতাব নাযিল হয়েছে। কিন্তু একমাত্র পবিত্র কোরআন শরীফকেই আল্লাহ্ নিজে সংরক্ষণের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই জন্যই কোরআনের কোন সংশোধন হয়নি এবং হবেও না। আমরা সৌভাগ্যবান যে, আল্লাহ্ আমাদেরকে সেরা নবীর উম্মত হিসেবেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাই আমি নগণ্য মানুষ হিসেবে আশা করবো একজন মুসলমান হিসেবেই আল্লাহ্ যেন আমাদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় করেন।
তিনি ফরিদগঞ্জবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমি একটি দলের প্রতিনিধি হয়ে নির্বাচিত হলেও শপথ গ্রহণের পর থেকেই পুরো উপজেলাবাসীর একজন সেবক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। তাই আপনারা যে কোন দল ও গোষ্ঠীর অনুসারী হোন-না কেন সবার জন্যই আমার দরজা খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আল্লাহ্র হুকুম মোতাবেক আদর্শিক পথে চললে দুনিয়াতে সম্পদের অভাব হয় না। যার প্রমাণ সমুদ্রের তলদেশে যে খনিজ ও ধাতব সম্পদ বিজ্ঞানিরা আবিষ্কার করছে তা আল্লাহ্র-ই অশেষ রহমত। তিনি দেশের মানুষকে খুন, রাহাজানী, জঙ্গি মতবাদ থেকে মুক্ত থাকার আহ্বান জানান এবং মসজিদ-মাদরাসা তৈরি ও রক্ষা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরো বলেন, মুসলমানদের উপর এত অত্যাচারের পরও দিন দিন সারাবিশ্বে মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই আলোকে আগামী শতাব্দীতে মুসলমানরাই সারাবিশ্ব নেতৃত্ব দেবে। তিনি বলেন, শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামী হুকুমত পালনপূর্বক আল্লাহর পথে থেকে দ্বীন-ইসলামের প্রসার এবং বিশেষ করে যুবসমাজকে এক হয়ে কোরআন ও সুন্নাহ্’র পথে কাজ করার আহ্বান জানান।
দু’দিনব্যাপী ইছালে ছাওয়াব মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে কোরআন ও সুন্নাহ্র আলোকে বয়ান করেন আল্লামা মুফতি এনায়েত উল্ল্যাহ আব্বাসী, মাওলানা শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল-আযহারী, পীরজাদা শাহ্ মোহাম্মদ নাইমুর রহমান, মাওলানা নেছার আহম্মদ, মাওলানা মো. আলমগীর হোসাইন আনসারী, মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান।
মাহফিলের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বয়ান করেন মাওলানা মো. আব্দুল্লাহিল মারুফ ছিদ্দিকী, মো. বেলাল হোসাইন চিশ্তী, ফরিদগঞ্জ ইসলামপুর শাহ্ ইয়াছিন (রহ:) ফাযিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আমির হোসাইন, মাওলানা জোবাইর হোসাইন, মাওলানা আবু জাফর প্রমুখ। ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর কিশোর শিল্পী মো. আবু রায়হান ও মো. হোসাইন আদনান। মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এএনজেড প্রোপ্রাটিজের কর্মকর্তা আবুল খায়ের।
ফুরফুরা শরীফের মুজাদ্দিদে জামান, পীরে কামিল, শাহ্ সুফী আলহাজ হযরত মাওলানা মো. আবু বকর ছিদ্দিক (রহ:)-এর সুযোগ্য খলিফাদ্বয় পীরে কামিল আলহাজ শাহ্ মো. ইয়াছিন (রহ:) ও পীরে কামেল আলহাজ শাহ্ সুফী মো. খলিলুর রহমান-এর প্রতিষ্ঠিত ইছালে ছওয়াব মাহফিল প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার ৭২তম ইছালে ছওয়াব মাহফিলে অংশ নিতে দূর-দুরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা জুমার পর মাহ্ফিল ময়দানে জমায়েত হয়। গভীর রাত পর্যন্ত তারা ইসলামী চিন্তাবিদদের মূল্যবান বয়ান শুনেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।