Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারাদেশে আনন্দ র‌্যালি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লোকে লোকারণ্য

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের ইউনেস্কো স্বীকৃতির আনন্দ শোভাযাত্রার ঢল নেমেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারী এবং ছাত্রছাত্রীদের আনন্দ শোভাযাত্রায় একদিকে উচ্ছ্বাস, অপরদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লোকে লোকারণ্য হয়ে জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
আনন্দ শোভাযাত্রায় সরকারি দলের নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুলসংখ্যক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তাদের হাতে শোভা পায় বিভিন্ন শ্লোগানের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড। ছিল হাতি, ঘোড়া ও ব্যান্ড পার্টি, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে সমাবেশ স্থলে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাদ্যযন্ত্র, দেশাত্মবোধক বিভিন্ন গানে মুখর হয়ে উঠে সমাবেশস্থল। দুপুর ১২টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি দুপুর ১টার দিকে সোহরাওয়ার্দীতে সমবেত হয়। সবমিলে এই আনন্দ শোভাযাত্রা ঘিরে উৎসবমুখর নগরীতে পরিণত হয় রাজধানী।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই উদ্যানেই ঐতিহাসিক ভাষণটি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, স¤প্রতি যা ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে সরকারি এই শোভাযাত্রাটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে এই শোভাযাত্রাটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা দেয়। এদিকে, দুপুর থেকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, চিকিৎসকদের স্রোত নামে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে। শাহবাগ, মৎস্যভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকাসহ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি সংযোগ রাস্তাই দুপুর থেকে হাজারো মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এসব শোভাযাত্রার অনেককেই রমনা উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও ভিড় করতে দেখা যায়। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমির সামনে কয়েকশ’ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাকে র‌্যালিতে অংশ নিতে দেখা যায়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানারে মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক শোডাউন দেয়। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যর আল আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্বীকৃতি পুরো জাতির জন্য গৌরবের। আমরাও তার উদযাপনে শরিক হয়েছি।
হাতি নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রায় ঘোড়া-হাতি নিয়ে এসেছেন পুরান ঢাকার আবদুল আওয়াল এবং মিরপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল আওয়াল বেশ কয়েকটি ঘোড়ার গাড়িসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ শুভাযাত্রায় যোগ দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। একইভাবে মিরপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মোল্লার নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী-সমর্থক শনিবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে হাতিটি নিয়ে টিএসসি চত্বরে আসে। হাতির গায়ে বিভিন্ন আলপনা আঁকা রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সেই জ্বালাময়ী ভাষণ ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ’ হাতির পিঠে একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। শোভাযাত্রায় অংশ নেয়া শ্রমিকলীগ নেতা বশির বলেন, হাতিটি ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয়েছে। আমরা কচুক্ষেত থেকে শুরু করে মিরপুর ১৪ ও ১০ হয়ে শেওড়াপাড়া দিয়ে ধানমন্ডি হয়ে এখানে এসেছি। আরেক কর্মী আশরাফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা খুব খুশি। সেই খুশিতে আনন্দ শোভাযাত্রায় হাতি নিয়ে এসেছি।
এদিকে রাজনৈতিক ও দলীয় সমাবেশ না হলেও যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন রশিদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরীর সম্রাটের নেতৃত্বে প্রায় ২০ হাজার যুবক আনন্দ র‌্যালি ও সমাবেশে অংশ নেয়। তারা সমাবেশের শুরু থেকেই বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ মাতিয়ে রাখে।
আনন্দমিছিলে শিক্ষার্থীরা : আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে দলে দলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভাস্থালে প্রবেশ করছে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১২টার পর থেকেই সভাস্থলে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টার মধ্যেই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকা। রাজধানীর সেগুনবাগিচার রহিমা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি শোভাযাত্রা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এসে পৌঁছায় টিএসসির দিক থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে প্রবেশের রাস্তায়। এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থী মায়মন আক্তার বলে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই আনন্দে আমরা শোভাযাত্রা করছি। আমাদের সাথে আমাদের ম্যাডামরাও আছেন। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের এক শিক্ষার্থী ‘পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারে না’ শ্লোগান লেখা একটি প্ল্যাকার্ড হাতে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। টিএসসিতে দেশসেরা সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা র‌্যালি নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসেন। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা আনন্দিত এ ভাষণের স্বীকৃতিতে। সেই আনন্দ ভাগাভাগি করতে এসেছি। মৎস্যভবন মোড় দিয়ে অগ্রসর হওয়া এ কে হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সাবিনা আক্তার বলেন, বাঙালির জাতির সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে এই ভাষণটি ছিল প্রকৃত দিক-নির্দেশনামূলক। সেটির স্বীকৃতির উদযাপনে অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে। এসব স্কুল, কলেজ ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ র‌্যালি ও সমাবেশে অংশ নিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশে সমবেত হন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সমাবেশের মূল ভেন্যু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে পারেনি। এসব হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের সোহরাওয়ার্দীর পাশের রমনা উদ্যানে রঙ-বেরঙের ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে জমায়েত হতে দেখা যায়।
আমাদের চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় গতকাল বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বাঙালি জাতির এ অসামান্য অর্জনকে উদযাপনে আনন্দ র‌্যালি শোভাযাত্রা বের করা হয়। নগরীর সরকারি-বেসরকারি দফতর, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যলয়, কলেজ, স্কুলের হাজারো শিক্ষার্থী ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নান। এর আগে নগরীর সার্কিট হাউজে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, সিএমপি কমিশনার মোঃ ইকবাল বাহার, জেলা প্রশাসক মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
এছাড়া চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল মাদরাসা, বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র‌্যালি ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা চুয়েট ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।
ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল মাদরাসার উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালি শেষে বক্তব্য রাখেন মাদরাসার উপাধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল অদুদ আল-কাদেরী, আল্লামা মুহাম্মদ শফিউল আলম নেজামী, অধ্যাপক আলী আজগর, অধ্যাপক মাহফুজুল হক, আল্লামা শফিউল আলম আজিজি, প্রভাষক সাইদুল আলম, মাওলানা মাঃ লেয়াকত আলী, খাজা আহাম্মদ, মহিউদ্দিন প্রমুখ।
বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বায়তুশ শরফ মাদরাসা প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদরাসা অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সাইয়েদ মুহাম্মদ আবু নোমান। আলোচনা অংশগ্রহণ করেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা আমিনুল ইসলাম, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা ফরহাদ আলম, প্রভাষক জামাল উদ্দিন, ইকরামুল হক প্রমুখ।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে র‌্যালি বের করা হয়। এর আগে সিইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষের সভাপতিত্বে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহ-সভাপতি শহীদ উল আলম, যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, আসিফ সিরাজ, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর প্রমুখ।
খুলনা ব্যুরো জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্যাপন ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দ উৎসব পালন উপলক্ষ্যে গতকাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ১১ টায় নগরীর শিববাড়ির মোড়ে বেলুন উড়িয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন করেন। এর পরপরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দ শোভাযাত্রা শিববাড়ি মোড় থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে শুরু হয়ে শেখপাড়া মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টসহ বিভাগীয় প্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশ নেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী ব্যুরো জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উদযাপনে রাজশাহীতে জেলা প্রশাসন এক আনন্দ শোভাযাত্রায় আয়োজন করে। সকাল ১০টায় নগরীর আলুপট্টি মোড় থেকে জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে সাহেববাজার হয়ে রাজশাহী কলেজ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এরপর আলুপট্টি মোড় থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একের পর এক শোভাযাত্রা গিয়ে মিলিত হয় কলেজ মাঠে। জেলা সদরের প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে এসব শোভাযাত্রা বের করা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, নিজ ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা বের করে। একই সময় উপজেলা গুলোতেও কর্মসূচি পালিত হয়। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এ উপলক্ষে বিশাল র‌্যালি বের করে।
বরিশাল ব্যুরো জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষন ইউনেস্কোর ‘মেমোরী অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টার’এর অন্তভর্‚ক্তির মাধ্যমে ‘বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্য’র স্বীকৃতি লাভ করায় সারা দেশের মত দক্ষিনাঞ্চলেও গতকাল সরকারিভাবে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে বরিশাল বিভাগীয় সদরে গতকাল সকালে এক বিশাল বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে শুরু করে নগরীর প্রধান কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে র‌্যলিটি জেলা স্কুলে এসে শেষ হয়। বরিশালের প্রশাসন ও পুলিশ সহ বিভিন্ন সরকারী-আধাসরকারী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের বিভিন্নস্তরের মানুষ এ র‌্যালিতে অংশ নেন।
দিনাজপুর অফিস জানান, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব স্বীকৃতি পাওয়ায় গতকাল দিনাজপুরে আনন্দ শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। সকাল ১০টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে। জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম ও পুলিশ সুপার মোঃ হামিদুল আলমের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
এছাড়া জেলা শীপ ম্যাজিষ্ট্রেসী ও অন্যান্য আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের নেতৃত্বে আদালত চত্বর থেকে ও হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেমের নেতৃত্বে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লাতেও সরকারের উন্নয়নের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অন্যতম সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর- এলজিইডি কুমিল্লার কর্মকর্তা কর্মচারীরা গতকাল সকালে আনন্দ শোভাযাত্রাসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এলজিইডি কুমিল্লা অফিস থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় শোভাযাত্রা বের হয়ে কুমিল্লা টাউনহলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মূল শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রা নিয়ে টাউন হলে যোগদানের আগে এলজিইডি কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছোহরাব আলী বলেন, দীর্ঘ ৪৬ বছর পর হলেও ৭ মার্চের ভাষণকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে জাতিসংঘের মতো বিশ্বসংস্থার স্বীকৃতি নিংসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ ভাষণ সমগ্র বাঙালি জাতিকে নজিরবিহীনভাবে ঐক্যবদ্ধ ও স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল। শোভাযাত্রায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি কুমিল্লার সহকারী প্রকৌশলী সুমন তালুকদার, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) বিপ্লব বিশ্বাস, উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম হেদায়েত, মো. আনোয়ারুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় গতকাল শেরপুর জেলা প্রশাসক অফিসের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালির নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এ টি এম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খালিদ বিন নূর, উপজেলা চেয়ারম্যান ছানোয়ার হোসেন ছানু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল। এছাড়া জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পূষ্পার্ঘ অর্পণ করা হয়।
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় গতকাল গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে পৌর পার্কে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ মোখলেসুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রশাসক চৌধূরী এমদাদুল হক, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, পৌর মেয়র কাজী লিয়াক আলী লেকু, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদোজা বদরসহ আরো অনেকে।
খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় খাগড়াছড়িতেও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রা শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জিএম সোহাগ ও পুলিশ সুপার আলী আহমদ খানসহ উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড’ ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার এর অন্তর্ভুক্তিতে গতকাল পাবনা জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালোর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা পাবনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আনন্দ র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন জেলা ও দায়রা জজ নুরুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাফিউল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, সিভিল সার্জন ডা: এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন, প্রমুখ
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষনকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনন্দ র‌্যালী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। কে এম কলেজের অধ্যক্ষ মোশায়েদ হোসেন ঢালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাত হোসেন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কাজী ফয়সালসহ । অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী সাইদুর রহমান,উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন প্রমুখ।
লক্ষীপুর সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষনের ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উপলক্ষে লক্ষীপুরে আনন্দ শোভাযাত্রা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্প অর্পন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউজে বন্ধবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্প অপর্নের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়। পরে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় থেকে জেলা প্রশাসক বেগম হোমায়ারা বেগম ও পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, পৌর মেয়র আবু তাহের, জেলা আওয়ামীলীগের সধারান সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম¥দ নুরুজ্জামান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপ প্রমুখ।
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় নীলফামারীতে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। এ উপলক্ষে গতকাল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের বড়মাঠ থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও ও রাজনৈতিক দলের প্রায় ১০ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় চাঁদপুরে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় চাঁদপুর স্টেডিয়াম থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এর আগে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে অস্থায়ীভাবে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় নাটোরে আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে কর্মসূচির সূচনা করেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য। এরপর জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারী দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর এক বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে নাটোর রাজবাড়িতে এসে শেষ হয়।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন ইউনে¯ো‹া কর্তৃক “মেমোরী অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল” রেজিষ্টার-এর অন্তর্ভুক্তিসহ স্বীকৃতি লাভ করায় নওগাঁয় পুস্পস্তবক অর্পন, আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছ। পুস্পস্তবক অর্পন, আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল মালেক এমপি। পরে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক ড. মোঃ আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যোর মধ্যে পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী বকু, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহসান হাবিব প্রমুখ।
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, ইউনেস্কো কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ^প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় মানিকগঞ্জে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। গতকাল সকালে বিজয়মেলা মাঠ থেকে এই আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো প্রমুখ।
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি েেদয়ায় নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা পালিত হয়েছে। গতকাল র‌্যালিটি বন্দরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর স্কুলের মাঠে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্বরূপকাঠি পৌরসভার মেয়র মো.গোলাম কবির, মুক্তিযোদ্বা কমান্ডার জাহিদ হোসেন সহিদ,ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার ঠাকুর প্রমুখ।
শাবি সংবাদাতা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্র শুরু হয়। এসময় ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. রাশেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। শোভাযাত্রায় বিশ^বিদ্যালয়ের স্কুলগুলোর ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন হল প্রভোষ্ট, কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বিশ^প্রমাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় গতকাল উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, থান অফিসার ইনচার্জ ইসমাঈল মিঞা ও উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের প্রমুখ।
রাজাপুর (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ উপলক্ষে ঝালকাঠির রাজাপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল উপজেলা চত্তর থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রফেসর মনিরউজ্জামান, নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা বেগম পারুল, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিলন মাহমুদ বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ এইচ এম খায়রুল আলম সরফরাজ, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু, রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন।



 

Show all comments
  • মোঃ আনোয়ার আলী ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:০৮ এএম says : 0
    যে কবিতা মুক্তি দিয়েছিল অামাদের। অবশ্যই শ্রেষ্ঠ কবি ও তার কবিতা।
    Total Reply(0) Reply
  • Tasnia Jahan Nipa ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:০৯ এএম says : 0
    we should feel proud of it
    Total Reply(0) Reply
  • Titu ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:১৩ এএম says : 0
    শুধু সরকারী লোকেরা গেলো আমরা বেসরকারিরা কি দোষ করলাম। আমাদেরওও যদি বাধ্য করতেন তাহলে ঘুরতে পারতাম উদ্যানে
    Total Reply(0) Reply
  • শামীম ভূঁইয়া ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:১৩ এএম says : 0
    ভূলি নাই , ভূলব না বঙ্গবন্ধু তোমায় । তুমি রবে, অনাদিকাল ধরে, এই সবুজ বাংলার ঘাঠ মাঠ ার পথ প্রান্তরে । আমাদের হৃদয়ের মনি কোঠায় ।
    Total Reply(0) Reply
  • কমল ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:২৬ এএম says : 0
    আগে তো একটা সমাবেশ হয়েছিলো, এই আনন্দ র‌্যালিটার কী খুব দরকার ছিলো ?
    Total Reply(0) Reply
  • Rajibul Haque Khan ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:২৬ এএম says : 1
    Good job
    Total Reply(0) Reply
  • Mamunur Rahman ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:২৯ এএম says : 0
    কয়েকদিন আগেই তো সমাবেশ করলেন, আবার আজ সমাবেশ, আপনাদের তো অনুমতি লাগেনা,আর অন্য কেউ করলে তো সব বন্ধ করে দেন।।
    Total Reply(0) Reply
  • Sohanur Rahaman ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:২৯ এএম says : 0
    জোর করে সমাবেশে না নিয়ে সঠিক সময়ে অফিস করার বাধ্যবাধকতা তৈরি করলে দেশের উন্নয়ন হত।
    Total Reply(0) Reply
  • Mamun ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:৩০ এএম says : 0
    আনন্দ বাধ্যতামুলক! না করিলে খবর আছে!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Fazle Bari Shakil ২৬ নভেম্বর, ২০১৭, ৫:৩১ এএম says : 0
    আজব সরকারের আজব সরকারী কর্মচারী।। আর যে কত কিছু দেখতে হয়।।।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৭ মার্চ

৭ মার্চ, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ