ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
আজকের লেখার শিরোনামটি ধার করা। এ নামে প্রখ্যাত নাট্যকার আবদুল্লাহ আল মামুনের রচিত ও নির্দেশিত মঞ্চ নাটকটি খুব দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। অন্যসব নাটকের মতোই এ নাটকেও তিনি সমাজে বিদ্যমান নানা সমস্যা, অনিয়ম এবং তদজনিত কারণে মানুষের দুঃখ দুর্দশার চিত্রই তুলে ধরেছিলেন। সেই সত্তর দশকে আবদুল্লাহ আল মামুন তৎকালীন সময়কে দুঃসময় বলে অভিহিত করেছিলেন। বলা নিষ্প্রয়োজন, চল্লিশ বছর পরেও সে অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। বিদ্যমান বাস্তবতায় এখনও যে কারো কাছেই মনে হতে পারে একটি কঠিন দুঃসময় আমাদেরকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে আছে।
দুঃসময় কেন মানুষকে ঘিরে ধরে তার কোনো স্বীকৃত ব্যাখ্যা আছে কীনা জানি না। সমাজবিজ্ঞানীরা এটা ভালো বলতে পারবেন। তবে, সাধারণত মানুষ যখন স্বার্থপরতা কিংবা লোভের দ্বারা চালিত হয়, তখনই সমাজ ব্যবস্থায় নানা রকম অসঙ্গতি দেখা দেয়। আত্মস্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ বিবেকের সব দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়। যে কোনো অনৈতিক কাজ করতে তাদের বিবেক বাধা দেয় না। এমন কি নিষ্ঠুরতার চরমেও উঠে যায় কেউ কেউ। যার ফলে সমাজপরিবেশ হয়ে উঠে শ্বাসরুদ্ধকর। আর তখনই মানুষকে দুঃসময় ঘিরে ধরে।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে নাট্যকার মামুনুর রশীদের একটি ধারাবাহিক নাটক প্রচারিত হয়েছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনে। নাটকটির নাম ছিল ‘সময়-অসময়’। সে নাটকের শুরুতেই একটি নেপথ্য সংলাপ ছিল এ রকম, ‘অখন্ড ভূমির পৃথিবী। স্বত্বাধিকারের সংঘাতে খন্ডিত হয় ভূমি। সেই সঙ্গে খন্ডিত হয় মানুষের ভালোবাসা। মানুষকে ঘিরে আসে দুঃসময়।’ বস্তুত, স্বার্থের সংঘাতে যখন মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমে যায়, সমাজ-সংসারে দুঃসময় নেমে আসে সে সময়েই।
আজ আমাদের সমাজে যে পরিবেশ-পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে আমরা যে একটি দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, সে বিষয়ে বোধ করি কেউই দ্বিমত পোষণ করবেন না। এমন একজন লোক পাওয়া দুষ্কর যিনি বলবেন ‘ভালো আছি, শান্তিতে আছি’। সর্বত্র আজ দুর্নীতিবাজ, অসৎ, অপরাধীদের দোর্দন্ড প্রতাপ। আইন তাদের কাছে অসহায়। অপরাধী হিসেবে যাদের জেলখানায় থাকার কথা, তাদের অনেকেই অবস্থান করছে সমাজ বা রাষ্ট্রের উচ্চাসনে। কেউ কেউ বনে গেছেন আইন প্রণেতা! তারা আইনের কাছে দায়বদ্ধ নয়, বরং আইনই তাদের কাছে আবদ্ধ! চিহ্নিত চোরাচালানী, মাদক ব্যবসায়ী যখন সমাজের কেউকেটা হিসেবে সমাদৃত হয়, তখন যদি কেউ বলে সমাজটা পচে গেছে, তাহলে কি তা খুব একটা দোষের হবে?
মানুষ আজ হাঁসফাঁস করছে একটু শান্তির সুবাতাসে নিশ্চিন্তে নিঃশ্বাস নেয়ার আশায়। অন্যায় অপরাধ এমনভাবে থাবা বিস্তার করে ফেলেছে যে, ইজ্জত-সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকাই নীরিহ মানুষদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনের নিরাপত্তা বলতে আজ আর অবশিষ্ট কিছু আছে কীনা, তা গবেষণা ছাড়া বলা দুষ্কর। ছিনতাই রাহাজানি তো পেশাদার অপরাধীদের কাজ। তাদেরকে দমন করার জন্য রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী আছে। তারা কী করছে তা আজ একটি বিরাট প্রশ্নবোধক চিহ্ন। পত্র-পত্রিকায় এসব বিষয়ে নিয়মিতই খবর বেরোয়। সন্ত্রাসী-অপরাদীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যের মাখামাখির খবরও অজানা নয় কারো। কোথাও কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সাধারণ মানুষ বলে, থানা-পুলিশের সাথে যোগাযোগ না থাকলে এটা সম্ভব ছিল না। পুলিশ বা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সম্বন্ধে জনমনে এ নেতিবাচক ধারণা একদিনে বা এমনি এমনি জন্ম নেয়নি। মানুষ দেখতে দেখতে এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কোথাও কোনো অপরাধী আটক বা গ্রেফতারের খবর শুনলে মানুষ প্রথম যে মন্তব্যটি করে তাহলো- এই তো ছাড়া পেলো বলে। বাস্তবেও তাই দেখা যায়। কী জাদুমন্ত্রের বলে যে ওরা নিমিষেই বেরিয়ে আসে কেউ বুঝতে পারে না।
পেশাদার অপরাধীদের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশের অপরাধে জড়িয়ে যাওয়া এখন মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ হঠাৎ গুম হয়ে যাচ্ছে মানুষ। দিন মাস পেরিয়ে যায়, কেউ ফিরে আসে, কেউ আসে না। যারা ফিরে আসে, তারা রহস্যময় নীরবতা পালন করে গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে। প্রতিনিয়ত মানুষের এভাবে গুম হয়ে যাওয়া কোনো সুস্থ সমাজের পরিচয় বহন করে কি?
প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললে বা টিভি নিউজ দেখলে ধাক্কা খেতে হয়। খুন আর ধর্ষণের খবর প্রাধান্য বিস্তার করে থাকে। রোমহর্ষক সেসব খবর পড়ে বা দেখে সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়, আপন মনেই বলে উঠে, এ কোন সমাজে বাস করছি আমরা? খুন-ধর্ষণ যাই হোক আমাদের কর্তাব্যক্তিদের একটি বাক্য সব সময়ই শোনা যায়, ‘অপরাধী যে-ই হোক ছাড় দেয়া হবে না। দ্রুত তাকে বা তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে’। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। পুলিশ বা গোয়েন্দারা প্রাণান্ত চেষ্টা করেও তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারে না।
এসব কিছুর জন্য বেশিরভাগ মানুষ রাজনীতি বা রাজনীতিকদের দায়ী করে থাকেন। তাদের বক্তব্য, রাজনৈতিক দল বা নেতারা আপন আপন শক্তি বৃদ্ধির জন্য সন্ত্রাসী-অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন। রক্ষা করেন বিপদে আপদে। বাজপাখির আক্রমণ থেকে বাঁচাতে মুরগী যেমন নিজ পক্ষপুটে আশ্রয় দেয় তার ছানাদের। এসব কথাও কারো অজনা নয়, নতুনও নয়। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক হলো, ওইসব নেতাই আবার সন্ত্রাস-অপরাধের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে জ্বালাময়ী ভাষণ দেন। নীরিহ জনগণ সেসব ভাষণ নিবিষ্ট মনে শোনেও। কেউ কিছু বলে না। বলবে কী করে! বললেই যে নির্যাতনের খড়গ নেমে আশা অবধারিত। তাই ‘সব দেখ, সব শোন, বলিও না কিছু’-এ নীতিকেই যেন সবাই শিরোধার্য করে নিয়েছে। খুনের আসামী কিংবা চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী যখন প্রভাবশালী মন্ত্রীর পাশে উপবেশন করে থাকে, আমজনতার সাধ্যি কি তার দিকে আঙ্গুল তোলে!
এ মুহূর্তে দেশে কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। যাদের সাধ্য এবং সুযোগ আছে, তারা নিরাপত্তার চাদর তৈরি করে নিশ্চিন্তে জীবন কাটানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু যাদের সে সুযোগ নেই, তাদের কী অবস্থা? প্রতিনিয়ত তাদেরকে জীবন-সম্পদ হারানোর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত খুন হচ্ছে মানুষ। কখনো কখনো খুনি ধরাও পড়ছে। বিচারও হচ্ছে দু’য়েকটির। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খুনি থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। খুন-ধর্ষণের খবর এখন আর তেমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না মানুষের মনে। কেমন যেন গা সওয়া হয়ে গেছে। সবাই হয়তো বা ধরেই নিয়েছে, এটাই সমাজের স্বাভািবক চিত্র। এর মাঝেই কৌশল খাটিয়ে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সে কৌশল বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করে। কেউ চোখ কান বন্ধ করে নীরিহ গো বেচারা সাজে, আবার কেউ শক্তিমান ওই সমাজবিরোধীদের সঙ্গে অলিখিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে নিরাপদ থাকার চেষ্টা করে। এর ব্যতিক্রম যারা তারা পড়ে নানা বিপদে। যারা এসব অনিয়ম-অপরাধের প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেন, তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে থামিয়ে দেয়া হয়। তারপরও যারা বেপরোয়া হয়ে এগিয়ে আসেন, তারা নিজের জীবন দিয়ে খেসারত দেন। ফলে আমাদের সমাজে প্রতিবাদী মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায়ই বলা হয়, সন্ত্রাসী-অপরাধীদের সম্পর্কে জনসাধারণ কোনো তথ্য দেয় না, পুলিশকে সহযোগিতা করে না। করবে কীভাবে? যাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য বা তথ্য দেবে, তাদেরকেই যদি থানার ওসি কিংবা এসপি সাহেবের অফিসে এক টেবিলে বসে চা খেতে ও খোশ গল্প করতে দেখা যায়, তখন কার সাহসে কুলোয় ওই শক্তিধর ব্যক্তির বিষয়ে কোনো কথা বলতে? এটা কোনো গয়রহ মন্তব্য নয়। এর ব্যতিক্রমও আছে। এমন পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন, যাদের নাম শুনলে বা ছায়া দেখলে অপরাধীদের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার যোগাড় হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, সেসব কর্মকর্তা রাজনৈতিক চাপের কারণে সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে না। একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আলাপ প্রসঙ্গে একবার আমাকে বলেছিলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি পুলিশকে তাদের দায়িত্ব প্রভাবহীনভাবে পালন করতে দিত, তাহলে দেশে অপরাধের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসত। সরকারে যারা যখন থাকেন, তারা সব সময় বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, পুলিশ স্বাধীনভাবে তার কাজ করবে। কিন্তু ইথারে ছড়িয়ে দেয়া ক্ষমতাসীনদের সেসব কথা ইথারেই ভেসে বেড়ায়। বাস্তবে তার কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায় না। উদাহরণ হাতের কাছেই রয়েছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনী হত্যার পর পাঁচ বছর চলে গেছে, তাদের শিশু সন্তান মেঘের বয়সও বেড়েছে, কিন্তু ওই হত্যাকান্ডের রহস্য পুলিশ আজও উদঘাটন করতে পারেনি, খুনিদের ধরা তো দূরের কথা। কুমিল্লার সোহাগী জাহান তনু হত্যার ঘটনাও একই পরিণতি পেয়েছে। জানাই গেল না, ওই হতভাগ্য তরুণীকে কে বা কারা নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করলো। অথচ দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এবং মানুষের বিবেককে ভীষণভাবে নাড়া দেয়া এসব হত্যাকান্ডের পর খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের বিষয়ে রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায় থেকে জনসাধারণকে বারবার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। কিন্তু সে আশ্বাসের বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হয়নি। কেন হয়নি সে প্রশ্ন এখানে অবান্তর।
শুধু কি আইন শৃঙ্খলা? দেশের অন্যসব ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজমান। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ প্রবাদটিই যেন এখন আমাদের সমাজের অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। যার জোর আছে, সে সরকারি কাজের টেন্ডার পাবে, ঋণের নামে ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা লোপাট করা সুযোগ পাবে, সে টাকা আবার বিদেশে অবৈধ পথে পাচারের সুযোগও তারা পেয়ে যায়। পত্রিকায় মাঝে মাঝেই খবর বেরোয় অমুক ব্যাংকের অত শত কোটি টাকা লোপাট। দু’য়েকটি ঘটনায় লোপাটকারীদের আটকের খবরও পাওয়া যায়। তবে, লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধারের কোনো খবর পাওয়া যায় না। যেখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে টাকা হাওয়া হয়ে যায়, সেখানে আর ভরসা রাখার জায়গা থাকে কোথায়? বেশিরভাগ লোপাটকারীর বিরুদ্ধেই কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। একটি রাষ্ট্রায়ত্ব বানিজ্যিক ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের চাক্ষুষ প্রমাণ থাকা সত্তে¡ও আজ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কারণ, তিনি ক্ষমতাসীন দলের একজন ‘মাননীয় সংসদ সদস্য’। একটি কথা অনেককেই বলতে শোনা যায়, আমাদের দেশে শত বা হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারীদের কিছু হয় না। কোমরে দড়ি পড়ে পাঁচ দশ হাজার টাকা কৃষি বা ক্ষুদ্র ঋণ যারা নেয় তাদের। এ কথার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিছু নেই।
যারা দুর্নীতি-অনিয়ম করে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, তাদের কেশাগ্র কি স্পর্শ করতে পারছে আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ? বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন গত ২১ নভেম্বর দুদকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বলেছেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪-এ ১১ বছরে দেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি ডলার। ভেবে দেখার বিষয় বৈ কি! যারা এ অর্থ পাচার করেছে তারা কারা? কীভাবে তারা এ বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করতে পারল সেটাও ভেবে দেখা দরকার।
লেখাটি শুরু করেছিলাম দুঃসময় নিয়ে। আসলেই আমরা এখন চরম দুঃসময় পার করছি। চারিদিকে খারাপ খবর, আর অনিয়মের মচ্ছব চলছে। এ দুঃসময় আপনা আপনি নেমে আসেনি। আমাদেরই সমাজের আত্মস্বার্থে বিভোর কিছু বিবেকহীন মানুষের অনৈতিক কার্যকলাপই এ অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এ দুঃসময় অতিক্রম করে আমরা একটি সুস্থ সুন্দর সামাজিক পরিবেশ আর পাব কীনা, এ প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর সে সুসময়ের জন্য এ দেশের মানুষকে আরো কত দিন অপেক্ষা করতে হবে কে জানে!
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।