পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইমরান মাহমুদ : রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হাজারো কোটি টাকা উধাও, সুন্দরবনের নদীগর্ভে কয়লাবোঝাই কার্গো ডুবি, ‘প্রধান বিরোধীদল’ বিএনপি’র বহুল কাক্সিক্ষত কাউন্সিল- গত পরশু দিনের প্রধান আলোচ্য বিষয় হতে পারতো এই তিনটির যে কোন একটি। তবে সেদিন দুপুর থেকেই এই তিনটি জাতীয় ইস্যুকে পেছনে ফেলে সকলের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে একটি বিষয়- আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃক বাংলাদেশের দুই বোলার তাসকিন আহমেদ আর আরাফাত সানির নিষেধাজ্ঞা। লম্বা ছুটি কাটিয়ে অফিস আর স্কুল কলেজে ফেরা মানুষগুলোর মুখে তো বটেই, পাড়ার মোড়ে চায়ের দোকানে বন্ধুদের আড্ডাতেও আলোচনার বিষয়বস্তু এটি। কেন? অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ হতেই পারে যে কোন বোলার! তাদের ডেকে নিয়ে নিষিদ্ধতার দায়ে নির্বাসিত করতেই পারে বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক আইসিসি! এমনটা কি এবারই প্রথম? আগেও বহুবার হয়েছে, বাংলাদেশেই আছে এর ‘উজ্জ্বল’ দৃষ্টান্ত। অবৈধ বোলিং অকশনের দায়ে উদীয়মান পেসার আল-আমিন হোসেনকেও এই শাস্তি পেতে হয়েছিলো। অ্যাকশন সুধরে আবারও মাঠে ফিরেছে আরো বিদ্ধংসী হয়ে, যার প্রমাণ ভালোই টের পেয়েছে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মত দলগুলো। তবে এবার এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে এত সরব কেন বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ? ছেলে, বুড়ে, নারী, পুরুষ, আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা- সকলেই কেন এত সোচ্চার?
গতপরশুর তারিখটা কি মনে আছে ক্রীড়ামোদী বাঙালীর? ১৯ মার্চ ২০১৫! বাংলাদেশ দলকে এতো বড় ধাক্কা দেয়ার পেছনে ষড়যন্ত্রটা যাদের, ক্রিকেট কি তাদের কাছে নিরাপদ? শ্রীলংকার গ্রেট স্পিনার মুরালী ধরনের বোলিং অ্যাকশনকে বার বার সন্দেহের তালিকায় এনে শ্রীলংকানদের গণশত্রু অস্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার ড্যারেল হেয়ার। তাসকিন, আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এই দুই বোলারের টি-২০ বিশ্বকাপ শেষ করে দেয়ায় এখন বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে গনশত্রু রবি সুন্দরম ও রড টাকার। সর্বশেষ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে পক্ষপাতিত্বমূলক আম্পায়ারিং মেনে নিতে না পেরে মিডিয়ায় মুখ খুলেছিলেন আইসিসি’র তৎকালীন সভাপতি আ.হ.ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)। মেলবোর্ন অবিচারের এক বছর পূর্তির একদিন পর আর একটি অবিচার!
এমনটা এবারও মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশের ১৬ কোটি (হ্যাঁ আমি ১৬ কোটিই বলবো) মানুষ। প্রতিবাদে মুখর বাংলাদেশ। যার প্রমাণ পাওয়া গেছে ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, গতকাল বাসা হতে অফিসে আসবার পথে প্রেস ক্লাবের সামনে দেখা গেলো এর প্রতিবাদে মানববন্ধনও! বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম-বোয়াফের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘তাসকিন-সানিকে নিষিদ্ধ করা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’। সংগঠনটির মতে, তাসকিন-সানির বোলিং অ্যাকশনকে পরিকল্পিতভাবে অবৈধ ঘোষণা করে ও তাঁদের নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্র ও ক্রিকেট নিয়ে নোংরা রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে আইসিসি। তাদের ব্যানারে ‘তিন মোড়লের ক্রিকেট নিয়ে নোংরা রাজনীতি প্রতিহত ও আইসিসির ষয়যন্ত্র রুখে দাঁড়াতে ক্রিকেট ভক্তদের এগিয়ে আসার আহ্বান’ জানিয়ে আইসিসির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন বোয়াফ নেতৃবৃন্দ ও ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকেরা। সংগঠনের সভাপতি কবীর চৌধুরী বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া, তাসকিন-সানির বোলিং অ্যাকশনকে পরিকল্পিতভাবে অবৈধ ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে সেই ষড়যন্ত্র ও ক্রিকেট নিয়ে নোংরা রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে আইসিসি। যা নিয়ে বিশ্বের কোটি কোটি ক্রিকেট-ভক্তর সঙ্গে বাংলাদেশের ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রেমীও মর্মাহত, লজ্জিত।
বলিউড শাহেনশাহ খ্যাত অমিতাভ বচ্চনও এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এভাবে, ‘এতোদিন কি করেছে আইসিসি? বিশ্বকাপের মধ্যে একটি ছেলেকে নিষিদ্ধ করা অন্যায়, অবিচার। যদি সত্যি সত্যিই তার বোলিংয়ে সমস্যা থাকে, তবে তার পরিপূর্ণ রিপোর্ট আইসিরি জনসম্মুখ্যে প্রকাশ করা উচিত। যাতে করে সকল সন্দেহ দূর হয়।’
তাদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেন সর্বস্তরের মানুষ। ফেসবুকে বইছে সমালোচনার ঝড়। গতবছরের সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে এই জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী প্রায় ৩ কোটি! প্রায় সকলেরই প্রফাইলে গেলে দেখা যাবে কোন না কোন মন্তব্য আছে আইসিসি’র এই নির্লজ্জ, পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের প্রতিবাদে। আইসিসির সিদ্ধান্তে বিস্ময়ের সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্ত-সমর্থকরা। সবগুলো তো আর দেয়া সম্ভব না, সেখান থেকে কিছু তুলে ধরা হলো দৈনিক ইনকিলাবের পাঠকদের জন্য-
ল্যাবে পরীক্ষা দেয়ার পর দুই বোলারকে নিষিদ্ধের ঘোষণা এলেও ওই পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ফেইসবুকে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা যায় অসংখ্য ক্রিকেট ভক্তকে। পরীক্ষায় বেশিরভাগ ডেলিভারিতে সানির কনুই বোলিংয়ের সময়ের সর্বোচ্চ সীমা ১৫ ডিগ্রির বেশি বেঁকে যায়; আর তাসকিনের সব ডেলিভারি বৈধ ছিল না উল্লেখ করে শনিবার বিকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের সাময়িক নিষিদ্ধের কথা জানায় আইসিসি। এর প্রতিক্রিয়ায় জানেসার আজাদ নামে এক তাসকিন ভক্ত ফেইসবুক পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘যদি তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন ভুল হয়, তাহলে ক্রিকেটই ভুল।’
বাংলাদেশি দুই বোলারের এই নিষিদ্ধের মধ্যে ক্রিকেট রাজনীতি রয়েছে বলে মনে করেন আহমেদ আল মারুফ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজের একটি পোস্টের মন্তব্যে ভারতীয় দলের বোলার রবিচন্দ্র অশ্বিন ও জাসপ্রিত বুমরার বোলিং অ্যাকশন নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি। মারুফ লেখেন, ‘অশ্বিন বুমরারা খেলে যাক- আর তাসকিন, সানিরা নিষিদ্ধ হোক। জয় ক্রিকেট পলিটিক্স। স্যালুট আইসিসি।’
বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া ক্রিকেটকে পেছনে ঠেলে দেয়ার জন্যই এই নিষিদ্ধের আয়োজন মন্তব্য করে ভবিষ্যতে মুস্তাফিজুর রহমানকেও নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। যেখানে তাসকিনের মত বোলারকে নিষিদ্ধ করা হয়, সেখানে মুস্তাফিজকে নিয়ে ভয়ে পড়ে গেলাম। তাসকিন থেকে মুস্তাফিজ বেশি ভয়ঙ্কর, সো তাকে খেয়ে দিতে পারলেই বাংলাদেশ ক্রিকেট কয়েক বছর পেছনে ঠেলে দেয়া যাবে। মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম।’
গত ৯ মার্চ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে সানি ও তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠে। ১২ মার্চ ধর্মশালা থেকে চেন্নাইয়ে গিয়ে পরীক্ষা দেন তারা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়াও সঙ্গে সদস্য দেশগুলোর ঘরোয়া ক্রিকেটে বল করতে পারবেন না সানি-তাসকিন। তবে বিসিবির অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বল করতে পারবেন তারা। বিষয়টিকে ‘স্পষ্টতই ক্রিকেট রাজনীতির অংশ’ বলে মনে করা বাংলাদেশ দলের সমর্থকরা এ ঘটনায় বিসিবিকে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। নাজিম রনি নামের একটি নিক থেকে বিসিবি পেজের পোস্টে হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে মন্তব্য করা হয়, ‘প্লিজ বিসিবি রাইজ ইউর ভয়েস অ্যাগেইনস্ট আইসিসি নাউ। আজ যদি প্রতিবাদ না করেনÑ তাহলে আর কোনো দিনই প্রতিবাদ করা যাবে না। এখনই সময় আওয়াজ তোলার।’
কেউ কেউ প্রতিবাদ হিসেবে বিশ্বকাপ বয়কট করে আসার আহ্বানও জানাচ্ছেন অধিনায়ক ও বিসিবির কাছে। দুই বোলারকে ‘অন্যায়ভাবে’ অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে মন্তব্য করে এমডি সুফি শাফিন রহমান নামে একটি নিক থেকে আইসিসির এই সিদ্ধান্তকে প্রতারণাপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বলা হয়। শাফিন লেখেন, ‘মুরালিকে চাকিং এর অভিযোগে যখন অস্ট্রেলীয় আম্পায়ার অন্যায়ভাবে বার বার নো দিচ্ছিল- তখন প্রতিবাদস্বরূপ রানাতুঙ্গা তার দল নিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ভাবা যায়, সেদিন যদি রানাতুঙ্গা বীরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত না নিতেন তাহলে কি মুরালি সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বোলার হতে পারত?? আজ সময় এসেছে বিসিবি আর মাশরাফিরও ঐ ধরনের বীরত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক কিছু করার।’
এর আগে গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে যায় এমন কয়েকটি সিদ্ধান্তে বাজে আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনা হয় ক্রিকেট বিশ্বজুড়েই। ম্যাচটিকে প্রভাবিত করার অভিযোগে ওঠে আইসিসির সেসময়ে চেয়ারম্যান ভারতীয় এন শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে। ওই সময় ফেইসবুক সমালোচনায় আইসিসিকে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বলে মন্তব্য করতেও দেখা গেছে।
তাসকিন-সানিকে নিষিদ্ধ করায় ‘ক্রিকেট রাজনীতিতে’ ভারতকে দুষছেন বেশিরভাগ ক্রিকেট প্রেমী বাংলাদেশি। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শাহরিয়ার সনি তার ফেইসবুকে পেজে মন্তব্য করেন, ‘বিসিবি র সেই ক্ষমতা নাই যে ইন্ডিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বিরুদ্ধে কিছু বলার। দুই সপ্তাহ পর যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা তা এত তরিঘরি করে কেন দিল? বিসিবির কোন দিনই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়ার ক্ষমতা নাই। কিংবা আপিল ও করবে না। যদি .... কিছু মনে করেন!’
রাজু চৌধুরী নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দুই বোলারকে নিষিদ্ধের পেছনে সরাসরি ভারতকে দায়ী করে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব ম্যাচে ভারতের পরাজয় কামনা করেন, ‘ইন্ডিয়া শুধু শুধু তাসকিনকে নিষিদ্ধ করল। বড় অস্ত্র হারিয়ে আমরা বিশ্বকাপ এ কেমন করব জানি না। কিন্তু সব থেকে খুশি হব যদি ইন্ডিয়া গ্রুপের সবগুলো ম্যাচ হেরে যায়। আমার প্রিয় বাংলাদেশ যদি গ্রুপ পর্বে শুধু একটা ম্যাচ জিতে তাহলেই আমি খুশি। তবে ম্যাচের প্রতিপক্ষ যে ইন্ডিয়া হতে হবে সেটা ত না বললেও চলবে...।’
তবে এসব বাধা ডিঙিয়ে তাসকিন-সানি আরও প্রত্যয়ী হয়ে ওঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আশিক ইসলাম। তিনি বিসিবির একটি পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘রুবেল আর মুস্তাফিজ তাসকিনের অভাব ঘুচাতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। আর সানি ভাই এবং তাসকিন ভাইয়ের প্রতি শুভকামনা রইলো। জীবনে বাধা আসবেই, ক্যারিয়ারের শুরুতেই এমন ধাক্কা তাসকিনকে আরও প্রত্যয়ী করে তুলবে।’ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে তাসকিনকে নিয়ে প্রশ্ন না ওঠায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনিও, ‘তবে সমস্যাটি এতদিন কেন ধরা পড়লো না? অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপেও তো দিব্যি বল করেছেন তিনি।’
আইসিসির কোড অব কনডাক্টের ২:১ ধারায় বলা আছে- ‘অভিযুক্ত বোলোরের সমস্যা বিস্তারিত দেবেন ম্যাচ আম্পায়ার।’ তাসকিন-সানির ব্যপারে যেটি এখনও আছে ধোয়াশার মধ্যে। ২ এর ১৩ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট উল্লেখ আছে- ‘কোন বিশেষ ডেলিভারি অবৈধ হলে শুধু সেটির ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে’। তাসকিনের জন্য যেই ডেলিভারির কথা বলা হচ্ছে, সেই বাউন্ড নেদারল্যান্ডস ম্যাচে দেননি একটিও! একই অনুচ্ছেদের ২ এর ৬ নম্বর ধারায় বলা আছে- ‘অভিযুক্ত বল ধরা না পড়লে খেলতে বাধা নেই’। তবে তাসকিনের রিপোর্টে এমন কোন স্পষ্ট ধারণা দেয়নি আইসিসি, যাতে ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁ নিয়েছে তার কোনুই! যা প্রশ্ন তুলেছে পক্ষাপাততুষ্টের, অন্যায়ের। যাকে অনেক ক্রিকেট বোদ্ধাই বলছেন, ‘তাসকিন ইজ দ্য ভিকটিম অব মিসক্যারেজ অব জাস্টিস’। যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘ন্যায় বিচারের গর্ভপাত’। সত্যিই যদি তাই হয়ে থাকে তা শুধু বাংরাদেশের জন্য নয়, অমনি সংকেত পুরো ক্রিকেট বিশ্বের জন্যই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।