পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা স্বপ্না আক্তার (৩৮) দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহাঙ্গীর নামে একজন সিএনজি চালককে আটক করেছে। বুধবার মধ্য রাতে স্বপ্নার বড় আমির হোসেন বাদী হয়ে ৬/৭জনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা জিনোদপুর ইউনিয়নের দশমোজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় জিনোপদুর ইউনিয়নের দশমোজা এলাকায় ওয়ার্ড আ’লীগের সম্মেলনে যোগ দেন স্বপ্ন আক্তার, জেলা আ’লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক শিব শংকর দাসসহ নেতা-কর্মীরা। সম্মেলন শেষে রাত প্রায় সোয়া ৯টার দিকে দশমোজা এলাকা থেকে স্বপ্ন আক্তার ও শিব সংকর দাসসহ দলীয় নেতাকর্মীরা চলে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্মেলন শেষ হওয়ার পর স্বপ্না আক্তারের মোবাইলে একাধিক ফোন আসে। তার অবস্থান জানার জন্য। এসময় স্বপ্না আক্তার ওই রোডে চলন্ত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জিনোদপুরের উদ্দেশ্যে উঠেন। জিনোদপুর-বাঙ্গুরার সড়কের মাঝামাঝি বাঙ্গুরা উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সাটি পৌঁছলে একদল দুর্বৃত্ত পথরোধ করে স্বপ্ন আক্তারকে মাথার ডান পাশে কান এবং চোখের মধ্যবর্তী স্থানে গুলি করে দ্রæত পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দলীয় নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তফা আশরাফ জানান, হাসপাতালে আনার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, জিনোদপুর বাজার কমিটি, মাদক ব্যবসায় বাধা প্রদান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন এবং ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার সাথে অনেকের বিরোধ ছিল। এসব কোন কারণে হয়ত প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করতে পারে।
নবীনগর থানার ওসি আসলাম সিকদার জানান, গ্রাম্য ও দলীয় কোন্দলের জেরই হত্যার কারণ হতে পারে বলে ধারণা করছে। তবে হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়। এরা হলো জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসক রানা নুরুস শামস, চিকিৎসক আজহার রহমান তুহিন, চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন। ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক রানা নুরুস শামস জানান, বুলেটের কারনে হেড ইনজুরিতে তার মৃত্যু হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) চিত্তরঞ্জন পাল মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।