পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজকোষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগের পর নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. ফজলে কবির। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আস্থা ফিরিয়ে আনাই এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আর এ জন্য সব ধরনের কার্যক্রমে কোয়ালিটি ও কোয়ান্টিটি মেইনটেইন করা হবে। একই সঙ্গে রিজার্ভ থেকে টাকা চুরির ঘটনায় সরকারের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটির রিপোর্টের পরেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলে উল্লেখ করেছেন। গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ফজলে কবির রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এদিকে গতকাল রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রথমদিনের মতো অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে আগামী এক মাস এ ব্যাপারে কোনো কথা বলবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, কথা বললে তদন্ত ব্যাহত হবে।
গভর্নরের দায়িত্ব নিয়ে ফজলে কবির বলেন, যে টাকা বের হয়ে গিয়েছে সেটা রিকোভারি (উদ্ধার) করা আমার প্রথম কাজ। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। ব্যাংকিং খাতে সংস্কার করা হবেÑ অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নতুন গভর্নর বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের ভুলভ্রান্তি, ত্রুটি-দুর্বলতা থাকলে সেটা চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে। তিনি বলেছেন, সব ব্যাংকের আইটি নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। প্রয়োজন বোধে সেই সার্কুলারে আরও সংযোজন-বিয়োজন করা হবে। নয়া গভর্নর ফজলে কবির বলেন, এই ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আস্থা সংকট দেখা দিতে পারে। আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবেন বলেন জানান তিনি। এটি আমাদের জন্য ওয়েকআপ কল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সব চলমান কর্মসূচী চলতে থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদানের আগে ফজলে কবির সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসেন। এসময় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনা তদন্তে সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি প্রথমবার বৈঠক করেছে। গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বাসায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফরাসউদ্দিন বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমি আগামী এক মাস এ ব্যাপারে কোনো কথা বলব না। কথা বললে তদন্ত ব্যাহত হবে। বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্র ২০ মিনিট প্রথম বৈঠক হয়েছে। কমিটিতে আরও সদস্য নেয়া হবে কি না, জানতে চাইলে ফরাসউদ্দিন বলেন, না, প্রয়োজন বোধ করছি না।
তদন্তের স্বার্থে ফিলিপাইনে বা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর বলেন, সেটা পরে দেখা যাবে। এখনো ঠিক করিনি। কমিটি কার্যবিধি অনুসারে কাজ করবে ও যথাসময়ে প্রতিবেদন দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।