পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : আবারও সাময়িকভাবে বরখাস্ত হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি.কে. গউছ। একই সাথে ১নং প্যানেল মেয়র দিলীপ দাসকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল রোববার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখা থেকে হবিগঞ্জ পৌরসভায় ২টি ফ্যাক্স বার্তা আসে। সহকারী সচিব (পৌর-১) একেএম আনিছুজ্জামান স্বাক্ষরিত ফ্যাক্স বার্তায় বলা হয় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ৩১(১) ধারায় মেয়র জি কে গউছ’কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। অপর এক ফ্যাক্স বার্তায় উপসচিব (পৌর-১) আবদুর রউফ মিয়া স্থনীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ৪০(৩) ধারা এবং পৌরসভা কার্যবিধিমালা-২০১২ এর বিধি ও এতদসংশ্লিষ্ট আইন-বিধিবিধান অনুসরণ করে মেয়রের আর্থিক ও দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দিলীপ দাসকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক চার্জসিটে জি কে গউছকে আসামি করা হয়। ২১ ডিসেম্বর সম্পূরক চার্জসিট কোর্টে গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ২৮ ডিসেম্বর তিনি কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন। ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি তাকে প্রথম দফা সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে জি কে গউছ কারাগারে থেকে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। বিগত ৮ জানুয়ারি গ্যাজেট হওয়ার পর সিলেটে তিনি কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্ত হয়ে ২৭ জানুয়ারি শপথ নেন। কিন্তু জেলে থাকায় তিনি হবিগঞ্জে এসে প্রথম সভা করতে পারেননি। হবিগঞ্জ পৌরসভার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়লে স্থানীয় সরকার পৌর-১ শাখার সহকারী সচিব আনিছুজ্জামান ২৯ ফেব্রুয়ারি এক পত্রে জেলা প্রশাসককে ১ম সভা আহ্বান ও প্যানেল মেয়র নির্বাচনের ক্ষমতা অর্পণ করেন। সেই পত্রের প্রেক্ষিতে ৮ মার্চ ১ম সভাটি আহ্বান করেন জেলা প্রশাসক। সেখানে দিলীপ দাসকে ১নং প্যানেল মেয়ার নির্বাচিত করা হলে তিনি এতদিন যাবৎ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
হবিগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও উপ-সচিব আবদুর রউফ জানান, জি কে গউছ সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি তার দপ্তরে আসেনি। তবে তিনি শুনেছেন পৌরসভায় এ সংক্রান্ত চিঠি এসেছে।
হবিগঞ্জ পৌরসভার সচিব নুরে আলম ছিদ্দিকীর সাথে সাংবাদিকরা যোগাযোগ কররে তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তিনি মোবাইল বন্ধ করে দেন। তবে সরোজমিনে পৌরসভায় গিয়ে অফিসের নথিতে চিঠির সন্ধান পাওয়া যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।