পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকায় পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভূমিধসে চাপা পড়ে ৮ শিশু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের এই এলাকাটিতে কয়েক দিন ধরে প্রবল বর্ষণ হয়। স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র লুৎফর রহমান গতকাল বলেন, আফগান সীমান্তবর্তী সুসাম গ্রামে গত শনিবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। লুৎফর রহমান বলেন, ৮টি শিশুকে উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সেনাসদস্য, পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা কাজ করছে। তাদের সবাই মারা গেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাত্র দু’টি লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় থানার প্রধান কর্মকর্তা সুলতান বেগ বলেন, শনিবার বিকেলে সুসাম গ্রামের কাছে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগটি ঘটে। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের চিত্রল শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার (২৪ মাইল) উত্তরে গ্রামটি অবস্থিত। এই শিক্ষার্থীরা স্কুল শেষে বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও কর্তৃপক্ষ তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে। ডেপুটি মেয়র মোহাম্মাদ আলি বলেন, ‘আটকা পড়াদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই কম।’ তবে তিনি এ-ও বলেন, ‘কিন্তু মানুষকে বরফে চাপা পড়ার প্রায় ২০ ঘণ্টা পরও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।’
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারী বর্ষণের কারণে ৯ মার্চ থেকে পাকিস্তানজুড়ে অন্তত ৭৯ জনের মৃত্যু ও ১০১ জন আহত হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে দেশটির ২৪০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা আরো বলেছে, বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সূত্র : এএফপি ও এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।