পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ গাইবান্ধার ছয়জনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।
১ নম্বর অভিযোগে আসামিদের আমৃত্যু কারাদন্ড এবং ২ ও ৩ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। গত ২৩ অক্টোবর মামলার শেষ ধাপ উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ায় রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। ছয় আসামির অন্য পাঁচজন হলেন- মো. রুহুল আমিন মঞ্জু, মো. আব্দুল লতিফ, আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর হায়দার আলী ও ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন এবং আসামিদের পক্ষে গাজী এম এইচ তামিম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
লতিফের পক্ষে খন্দকার রেজাউল আলম। পরে খন্দকার রেজাউল আলম বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আপিল করব। অন্যদিকে এ মামলার প্রসিকিউটর সায়েদুল হক সুমন বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। ন্যায্য বিচার পেয়েছি।
পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বলেন, এ মামলায় যেসব সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছে তাতে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে না। ২০০১ ও ২০০৭ সালের যেসব দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।
আজিজসহ গাইবান্ধার এই ছয় জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় ২০১৪ সালে। তদন্তের পর ছয় খন্ডে ৮৭৮ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা, যাতে ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়। গতবছর ২৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।